আগরতলা : সাজার হার বাড়লেই অপরাধ কমবে। তাই, ত্রিপুরায় প্রকৃত অপরাধীদের সাজার হার আরও বৃদ্ধির জন্য নজর দিতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব গুরুত্ব আরোপ করেছেন। আজ সোমবার মহাকরণের ১ নম্বর কনফারেন্স হল-এ আয়োজিত আইন ও সংসদীয় দফতরের পর্যালোচনা সভায় তিনি আইন ও সংসদীয় দফতরের বিভিন্ন বিষয়ের পর্যালোচনা করে বলেন, সাজার হার যত বৃদ্ধি পাবে তত অপরাধের হারও কমবে। তাই পুলিশ প্রশাসনকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তাঁর কথায়, অপরাধীদের শুধু গ্রেফতার নয়, কীভাবে দ্রুত চার্জশিট প্রদান করে সাজার ব্যবস্থা করা যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নজর দিতে হবে। তবেই সমাজে আইন-শৃঙ্খলার বাস্তবায়ন আরও সহজতর হবে এবং আইনের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়বে। তাঁর দাবি, পুলিশকে প্রতিটি মামলার পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। কারণ, কাস্টোডিয়ান ট্রায়াল যত বেশি হবে ততই অপরাধ কমবে। তিনি গত ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯-এর নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের ৮টি জেলার অপরাধের শাস্তি প্রদানের হার পর্যালোচনা করে বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের হার আরও বাড়াতে হবে। পুলিশ বা জেল হেফাজতে যাতে কোনও অপরাধীর মৃত্যু না হয় সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
ত্রিপুরায় আইন-শৃঙ্খলার যথাযথ বাস্তবায়নে মুখ্যমন্ত্রী দেব রাজ্যের সকল স্তরের জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এদিন বৈঠকে আলোচনার সূচনা করেন আইন দফতরের সচিব বিশ্বজিত্ পালিত। তিনি বৈঠকে গত ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯-এর নভেম্বর পর্যন্ত ৮ জেলার অপরাধীদের সাজার হার তুলে ধরেন। তাঁর কথায়, ধলাই, খোয়াই ও পশ্চিম জেলায় ৩টি জেলা ও দায়রা জজ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। গত ২০১৯ সালে ৩৪টি লোক আদালতে ৩৩,৭০২টি মামলার নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আইনি সচেতনতা শিবির করা হয়েছে ৩৫০টি। বিনামূল্যে আইনি সেবা পেয়েছেন ১,৮০১ জন। এছাড়া জিরানিয়া, মোহনপুর, পানিসাগর, কুমারঘাট, জম্পুইজলা, করবুক, শান্তিরবাজার এবং তেলিয়ামুড়া ৮টি সাবডিভিশনাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ কুমার, পরিকল্পনা ও সমন্বয় দফতরের সচিব অপূর্ব রায়, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের বিশেষ সচিব পি কে গোয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।সন্দীপ / এসকেডি