লণ্ডন, ২৪ সেপ্টেম্বর- তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানিয়েছেন, তিনি হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করেন না। বরং এটি এমন একটি স্বাধীনতাকামী সংগঠন, যারা নিজেদের ভূমি রক্ষার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এরদোগান এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘হামাসকে আমি কখনও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করিনি এবং আমি তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখি না’।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ‘হামাস একটি স্বাধীনতাকামী, প্রতিরোধকারী সংগঠন, যারা তাদের ভূমি রক্ষার জন্য সংগ্রাম করছে। সুতরাং আমি কিভাবে এমন একটি দলকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলতে পারি?’
এ সময় এনবিসির সাংবাদিক ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর হামাসের আক্রমণকে কীভাবে দেখেন, জানতে চাইলে এরদোগান বলেন, ‘আপনাকে এ ঘটনার পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যদি পেছনের ঘটনার দিকে তাকাই, তাহলে দেখব- আগে থেকেই চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে কতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল এবং পরিস্থিতি কতটা খারাপ হয়েছিল’।
তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ক্ষেত্রে দুই-রাষ্ট্র সমাধানের সমর্থক। এর মধ্যে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব রয়েছে।
এদিকে এরদোগানের এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। তবে এরদোগান জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরাইলের ক্রমাগত আক্রমণ ও ফিলিস্তিনের ভূমি দখলই মূলত এ সংঘাতের আসল কারণ।
প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায়ও ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। যা নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪১ হাজার ৪৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আহতের সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ৯৫ হাজার ৮১৮-তে। এই হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।