গত ৫ই জুন অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সঙ্গে অনলাইনে সভা করে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। সেখানেই নিরপেক্ষ ভেন্যুতে করোনাভাইরাসে স্থগিত হওয়া এএফসি কাপ আয়োজনের অনুরোধ করে ক্লাবগুলো। ক্লাবগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে আগামী অক্টোবরে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এ আসর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। এদিকে ফুটবল মৌসুমের বাকি অংশ পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় ২০২১ সালের এএফসি কাপে বাংলাদেশের একটি কোটা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসও এএফসি কাপে খেলছে। গত ১১ই মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে আন্তর্জাতিক এই আসরে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি। এখন বন্ধ হয়ে যাওয়া এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচগুলো অক্টোবরে শুরু হয়ে চলবে নভেম্বর পর্যন্ত। গ্রুপ পর্বের খেলা হবে একটি ভেন্যুতেই।
টুর্নামেন্টে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল হবে ২৪ ও ২৫শে নভেম্বর, ইন্টার জোনাল ফাইনাল ২রা ডিসেম্বর এবং ফাইনাল হবে ১২ই ডিসেম্বর। তারিখ জানানো হলেও ম্যাচ শুরুর সময় ও ভেন্যু এখনও জানায়নি এএফসি।
এছাড়া করোনার কারণে খেলার নিয়ম-কানুনেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এএফসির অধীনে ম্যাচ পরিচালনার জন্য একটি নতুন ম্যাচ অপারেশন ম্যানুয়াল তৈরি হচ্ছে। যা এএফসির চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও ফিফার মতামতের সমন্বয়ে প্রণয়ন করা হচ্ছে। এটি প্রকাশ পাবে আগামী জুলাইয়ে। ফিফার পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এএফসি কাপেও এবার বদলি হিসেবে খেলতে পারবেন ৫জন খেলোয়াড়। এছাড়া গ্রুপ পর্ব ও নক আউট পর্বের ম্যাচের আগে নতুন করে খেলোয়াড় নিবন্ধন করা যাবে।
এদিকে ফুটবল মৌসুমের বাকি অংশ পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় ২০২১ সালের এএফসি কাপে বাংলাদেশের একটি কোটা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস খেলার সুযোগ পাবে। লীগ সম্পূর্ণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দলের অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বাফুফে যদি দ্বিতীয় দলের নাম প্রস্তাব করে, সেক্ষেত্রে সে দলটি কারা হবে? এ মৌসুমে টুর্নামেন্ট হয়েছে শুধু ফেডারেশন কাপ। যেখানে চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস এবং রানার্সআপ রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। তাহলে কি ফেডারেশন কাপের রানার্সআপ দলের নামই প্রস্তাব করবে বাফুফে? এ বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘এএফসি কাপ খেলার যোগ্যতা কেবল যে ফেডারেশন কাপ বা প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া তা কিন্তু নয়। আরেকটি শর্ত হচ্ছে এএফসির লাইসেন্সকৃত ক্লাব হওয়া। বসুন্ধরা কিংস আর আবাহনী চলমান এএফসি কাপে লাইসেন্সকৃত ক্লাব হিসেবেই অংশ নিয়েছে। ২০২১ সালের জন্য এএফসি আবার যখন লাইসেন্সিংয়ের কথা বলবে, তখন আমরা প্রিমিয়ার লীগের ১৩ দলকেই চিঠি দেব। যারা কোর্স সম্পন্ন করবে, তাদের মধ্যে থেকে এমন একটি দলের নাম আমরা এএফসি কাপের জন্য পাঠাব, যারা ভালো দল গঠন করে অংশ নিতে পারে। প্রয়োজন হলে এএফসির লাইসেন্স করা সব ক্লাবের সঙ্গে বসে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে দ্বিতীয় দল নির্বাচন করব। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টাই করব যাতে এবারের মতো আগামী বছরও আমাদের দেশ থেকে দুটি ক্লাব এএফসি কাপে খেলার সুযোগ পায়।’