শিরোনাম
বৃহঃ. ডিসে ৪, ২০২৫

অনুদানের জন্য চলচ্চিত্রের প্রস্তাব

সরকারি অনুদানের জন্য আবারও চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রস্তাব আহ্বান করেছে সরকার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়া হবে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এই সংখ্যা বৃদ্ধি করা হতে পারে। চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য ও অভিনয়শিল্পীদের নামসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ আগামী ৩১ অক্টোবর বিকেল চারটার মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র-২ শাখায় জমা দিতে হবে। উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণা দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখবে এবং একই সঙ্গে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ গল্পের চলচ্চিত্রকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। অগ্রাধিকার পাবে সাহিত্যনির্ভর ও শিশুতোষ গল্প ও চিত্রনাট্য। এ ক্ষেত্রে মূল লেখকের অনুমতি নিতে হবে। কেউ বিদেশি গল্প বা কাহিনি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে কপিরাইট আইনের আওতায় সংশ্লিষ্ট লেখক, সংস্থা, প্রকাশকের অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।

গল্প ও চিত্রনাট্যটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক, শিশুতোষ, সাধারণ শাখা নাকি প্রামাণ্যচিত্র, তা আবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। তা ছাড়া শুধু বাংলাদেশের নাগরিকেরা অনুদান প্রাপ্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে বিদেশি শিল্পী বা কলাকুশলীর প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। তবে নির্মাণাধীন, সমাপ্ত বা মুক্তিপ্রাপ্ত কোনো চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য কোনোভাবেই অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে না।

নির্মাণের সার্বিক পরিকল্পনা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের তালিকাসহ চলচ্চিত্রের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবের ১২টি কপি ও স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য ১০ কপি প্রস্তাবনা জমা দিতে হবে। জমা ছবি থেকে বাছাই করে অনুদানের জন্য নির্বাচন করা হবে ২০টি চিত্রনাট্য। প্রযোজক, পরিচালক, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পেশাদার ব্যক্তিরাই শুধু কাহিনি জমা দিতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, একই প্রযোজক, পরিচালককে সাধারণত দুবারের বেশি অনুদান প্রদান করা হবে না। তবে একই প্রযোজক দ্বিতীয়বার অনুদান পাওয়ার পর চার বছর অতিক্রান্ত হলে পুনরায় অনুদানের জন্য আবেদনের যোগ্য হবেন। একজন প্রযোজক সর্বোচ্চ তিনবারের বেশি অনুদান পাবেন না। অনুদান প্রদানসংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে। অনুদান প্রদানের পরও সরকার যেকোনো যুক্তিসংগত শর্তারোপ করতে পারবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *