হ্যাঁ শেষ পর্যন্ত অনুমতি মিলেছে। বাংলাদেশ বিমানের চার্টার্ড ফ্লাইটের অবতরণের অনুমতি দিয়েছে লিজবন কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদেরকে বিমানবন্দরে রেখে অবতরণ অনুমতির জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানোর নজির পৃথিবীর আর হয়েছে কি না, কে বলতে পারে। তবে বিমান তা সম্ভব করেছে।
বুধবার বাংলাদেশ বিমানের একটি স্পেশাল ফ্লাইট ঢাকা থেকে আসার কথা ছিল ইউরোপের দেশ পর্তুগালে। এ ফ্লাইটটি আয়োজনের জন্য বেশ কিছু দিন থেকেই তৎপর ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থানরত পর্তুগাল প্রবাসীরা। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ দূতাবাস লিজবন। কিন্তু অবতরণের অনুমতি না নিয়েই যাত্রীদেরকে টিকেট কাটার আহবান জানানো হয়। এক লাখ দশ হাজার সাতচল্লিশ টাকা দিয়ে যাত্রীরা টিকেট কেনেন।
বাংলাদেশ বিমান থেকে জানানো হয় ২৪ জুন সকাল ১১টায় পর্তুগালের উদ্দেশে বিমানটি যাত্রা করবে। সবাইকে অনুরোধ করা হয় সকাল ৮টার মধ্যে এয়ারপোর্টে উপস্থিত থাকতে। যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চলে আসেন বিমানবন্দরে। আসার পর তারা শুনতে পান ভয়াবহ দুঃসংবাদ। পর্তুগাল থেকে অবতরণের অনুমতি পাওয়া যায়নি!
যাত্রীরা সংবাদ শুনে হতবাক! অবতরণের অনুমতি না পেয়েও তারা কিভাবে যাত্রীদেরকে টিকেট কাটার কথা বলা হলো? কিভাবে যাত্রীদেরকে এয়ারপোর্টে নিয়ে আসা হতে পারে? এটা কিভাবে সম্ভব?
তবে সব দুশ্চিন্তা আর হতাশা কেটে যায় অবতরণের অনুমতি পাওয়ার খবরে। তারা যেতে পারছেন পর্তুগালে।
যাত্রীদের সমন্বয়কারী আহমদ হোসাইন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলেন, এতো কষ্টের মাঝেও যে আমরা যেতে পারছি সেটাই আনন্দের।
শাহ হোসাইন নামে আরেকজন যাত্রী আনন্দ প্রকাশের সাথে সাথে ক্ষোভ ও প্রকাশ করেন। তিনি এইসব ভোগান্তির জন্য দায়ী করেছেন বাংলাদেশ দূতাবাসকে । কেননা বাংলাদেশের দূতাবাসের দায়িত্ব ছিল এই অবতরণ অনুমতি এনে দেয়ার।তাছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস ই-মেইলের মাধ্যমে সবাইকে টিকেট কেনার আহ্বান জানিয়েছিল। কাজেই তারা দায়িত্ব এড়াতে পারে না।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, দূতাবাস নিশ্চিত না হয়ে কিভাবে সবাইকে টিকেট কাটতে বলে?
তবে যাত্রীদের প্রতি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার প্রশংসা করেছেন সবাই। অবশ্য হেলথ অ্যান্ড সেইফটি মেইনটেইনে বেশ অবহেলা লক্ষ্য করা যায়।
যাই হোক, অবশেষে পর্তুগালে ফিরছেন প্রবাসীরা, আপাতত স্বস্তির খবর এটাই। আজ রাত ১২:৩০ মিনিটে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা বহু কাঙ্ক্ষিত সেই ফ্লাইটের। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সবাই। সংবাদ সূত্র: নয়াদিগন্ত

