আরাকান নিউজ ডেস্ক: ইন্দো- বাংলা সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন টাউট বা মধ্যস্তকারীদের সহায়তায় অবৈধভাবে রোহিঙ্গা ভারতে প্রবেশ করছে। এ বিষয়ে অসম পুলিশ ও জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) যৌথভাবে ত্রিপুরা সহ বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালিয়েছে। ওই অভিযানে ত্রিপুরা থেকে ২৫ জন সহ বিভিন্ন রাজ্যের মোট ৪৭ জন টাউট বা মধ্যস্তকারীদের আটক করা হয়েছে বলে অসম পুলিশের তরফে এক বিবৃতি জারি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে করিমগঞ্জ রেল স্টেশনে ত্রিপুরা থেকে আসা একটি ট্রেনে রোহিঙ্গাদের একটি দল শনাক্ত করা হয়েছিল। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, তাঁরা অবৈধভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন।
ওই ঘটনার পর অসম পুলিশের তরফ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। অভিযানে অবৈধভাবে প্রবেশকারী ৪৫০ জন রোহিঙ্গাদের বর্ডার গার্ডিং ফোর্সের সহায়তায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে অভিবাসীদের অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশে সহায়তা করেছিল টাউট বা মধ্যস্থকারীরা। যাঁরা অনুপ্রবেশে প্রধান ভূমিকা পালন করছে।
পুলিশি তদন্তকালে আরও জানা গিয়েছে, টাউটদের অস্তিত্ব শুধু ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দুই পাশেই নয়, মূল ভূখণ্ডেও রয়েছে। এরপরই চলতি বছরের জুলাই মাসে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) ও অসম পুলিশ টাউটদের নেটওয়ার্ক নির্মূল করার জন্য একটি অপারেশন শুরু হয়েছিল। ওই অভিযানে দশ জন টাউট বা মধ্যস্থকারীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছিল। তদন্তে আরো জানা যায়, যে ভারত জুড়ে টাউটদের নেটওয়ার্ক বিদ্যমান ছিল।
অতএব, অসম রাজ্যকে জাতীয় বিরোধী কার্যকলাপের করিডোর হিসেবে ব্যবহার করার জন্য অসম সরকার ভারত সরকারের কাছে একটি মামলা এনআইএ -এর কাছে স্থান্তারিত করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল। তদনুসারে, এনআইএ মামলাটি গ্রহণ করে এবং অসম পুলিশের সাথে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ১৭টি টিম দেশ ব্যাপী অভিযান শুরু করে।
ওই অভিযানে ত্রিপুরার ২৫ জন, আসামের ৫জন ,পশ্চিমবঙ্গের ৩জন , কর্ণাটকের ৯জন, হরিয়ানার ১জন, তেলেঙ্গানার ১জন এবং তামিলনাড়ুর ৩জন সহ মোট ৪৭জন মধ্যস্তকারীদের আটক করে। ত্রিপুরা থেকে ধৃত ২৫ জনকে ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে আজ বুধবার দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।