ওয়েবডেস্ক: অসমে আবার সাংবাদিক নিগ্রহের অভিযোগ। তাও আবার প্রকাশ্য দিবালোকে। ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আক্রান্তের পরিবারের আশঙ্কা, প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না করে, তাহলে আবারও আক্রমণ হতে পারে মিলন মোহন্ত নামের ওই সাংবাদিকের উপর।
অসমের প্রথম সারির দৈনিক ‘অসমিয়া প্রতিদিনে’র সাংবাদিক মিলন মোহন্ত (৪২)। প্রায় দু’দশক ওই সংবাদপত্রটির সঙ্গে যুক্ত মিলন। গুয়াহাটি এবং সংলগ্ন এলাকায় যে কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় তাঁর কলম। এহেন সাংবাদিককে রবিবার প্রকাশ্যে গুয়াহাটি থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে মির্জা এলাকায় একটি ইলেকট্রিকের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করে কিছু দুষ্কৃতী। হামলার জায়গা থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরেই আমরাঙা গ্রামে মিলনের বাড়ি। জানা গেছে, আশেপাশের কেউ কেউ তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরও আক্রমণ করা হয়। গুরুতর যখন হন মিলন। আপাতত তিনি বিশ্রামে।
মিলন বলছিলেন, ‘আমার মনে হয়, ওরা আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আমি ওদের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ ফাঁস করে দিয়েছিলাম। সেদিন যারা আমাকে বাঁচাতে আসছিল, তাদেরও আক্রমণ করেছে। আশ্চর্যের বিষয় হল, ঘটনার পর তিনদিন হয়ে গেলেও পুলিশ আমার বাড়িতে একবার খোঁজ পর্যন্ত নিতে এল না।’ মিলনের উপর এই আক্রমণের প্রতিবাদ যে হয়নি, তা নয়। মির্জার স্থানীয় সাংবাদিকরা রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ করেছেন। নীরেন মালি নামের স্থানীয় এক সাংবাদিক বলছেন, একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে এভাবে মারধর করা হল। অথচ, পুলিশ এখনও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারল না? আমাদের সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য কঠোর আইন প্রয়োজন।
উত্কণ্ঠায় দিন কাটছে মিলনের পরিবারের। তাঁদের ধারণা, ওই সাংবাদিকের উপর ফের আক্রমণ হতে পারে। মিলনের স্ত্রী বলছিলেন, ‘ও খুব সত্ সাংবাদিক। কখনও খবরের জন্য ঘুষ নেয়নি। আমরা ওঁর কাজের প্রতি নিষ্ঠাকে সম্মান করি।’ পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সেটা বুঝতে পারছে না মিলনের পরিবারও। স্থনীয় পুলিশ প্রশাসনের দাবি, ওই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। প্রত্যেকের মোবাইলও বন্ধ, তাই লোকেশন ট্রেস করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে, তাদের সন্ধান চলছে।