কলকাতা: শহরে চলছে ‘বইমেলা ২০২১’। শেষ হবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই পরের বছরের বই মেলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আয়োজক কমিটি । যা বই প্রেমীদের জন্য সুখবর।
করোনার জেরে পিছিয়ে গিয়েছে কলকাতা বই মেলা। কিন্তু বইপ্রেমী মানুষের কথা ভেবে, বই পাড়ার বহু প্রকাশক এগিয়ে এসে আয়োজন করেছে একটি বইমেলার। নাম দেওয়া হয়েছে ‘বইমেলা ২০২১’। বইমেলার আয়োজক- বঙ্গীয় প্রকাশক সমন্বয় কমিটি। কোভিড বিধি মেনেই হচ্ছে এই বইমেলা।
সাংবাদিক কুনাল ঘোষ জানালেন, বই ভালোবাসি তাই বই মেলায় এসেছি। একটু লেখার চেষ্টা করি। বইমেলায় বইপ্রেমী মানুষ যে এভাবে সারা দিবেন,সেটা বইমেলার আয়োজক কমিটিও ভাবেননি।
উল্লেখ্য,’বইমেলা ২০২১’উপলক্ষে সাংবাদিক তথা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের লেখা ‘রাধা-কৃষ্ণ’ বইটি প্রকাশিত হল।
বই মেলা কমিটির আহ্বায়ক তথা দেব সাহিত্য কুটিরের ডিরেক্টর রূপা মজুমদার জানালেন,শুরুতেই বইপ্রেমীদের ঢল দেখে এবার আরও তিনদিন বাড়ানো হয়েছে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল ২৮ -৩১ জানুয়ারি বইমেলা চলবে। পরে তা বাড়িয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।
পাশাপাশি আমরা আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। অর্থাত্ ২০২২ সালেও বইমেলা হবে। তবে কোথায়,কত দিনের,কবে থেকে শুরু হবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
প্রসঙ্গত,২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে বইমেলা উদ্বোধন হয় উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটের হৃষিকেশ পার্কে। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সাধন পান্ডে,ইন্দ্রনীল সেন,অধ্যাপক সৌগত রায়,সাহিত্যিক মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়, সাংবাদিক কুণাল ঘোষ,কমিটির আহ্বায়ক তথা দেব সাহিত্য কুটিরের ডিরেক্টর রূপা মজুমদার ও উপদেষ্টা সমর নাগ সহ বিশিষ্টরা।
প্রজাতন্ত্র দিবসে কলকাতায় এই বই মেলার সূচনা ও প্রচারে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বইমেলার ব্যানার ফেস্টুন ও বেলুন দিয়ে সাজানো হয় একটি ট্রাম। ২৬ জানুয়ারি বিকেলে ধর্মতলায় টায়ার পার্ক থেকে যাত্রা শুরু করে ওই ট্রাম ট্যাবলো। প্রচার ট্রামের সূচনা উপলক্ষে ধর্মতলায় টায়ার পার্কে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়,শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এছাড়া বইমেলার আয়োজক কমিটির সদস্যরা। সুসজ্জিত ট্রামটির যাত্রাপথ ছিল ধর্মতলায় থেকে কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ার পর্যন্ত। যাত্রাপথে ট্রামের মধ্যে চলে বইয়ের আড্ডা, নাচ ও গান ।
কমিটির আহ্বায়ক তথা দেব সাহিত্য কুটিরের ডিরেক্টর রূপা মজুমদার জানালেন,প্রথম বারের বই মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনার ৪৫ টি স্টল রয়েছে। এছাড়া আরও ৫০ টি লিটল ম্যাগাজিন স্টল। বইমেলার বাইরে রয়েছে ফুড স্টল। রোজ থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাহিত্য নিয়ে আলোচনা।