আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাদের মুখপাত্র ড. মুহাম্মদ নাইম ওয়ারদাক–এর একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। ড. মুহাম্মদ নাইম ওয়ারদাক দেশটির ওয়ারদাক প্রদেশের চাক জেলায় জন্ম নিয়েছেন এবং পিএইচডি করেছেন পাকিস্তানের ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে। তিনি কথা বলেছেন তালেবানের নেতৃত্বে ভবিষ্যৎ আফগানিস্তান নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তামিম রায়হান।
তামিম রায়হান: আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে নতুন এক রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হলো। তালেবান নেতৃত্বের সামনে এ প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী?
মুহাম্মদ নাইম ওয়ারদাক: মার্কিন সৈন্যদের আফগানিস্তান ত্যাগের পর আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন আফগানিস্তানের দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ব্যর্থ প্রশাসন। দখলদার বাহিনী এবং তাদের সহযোগীরা আফগানিস্তানে যা কিছু ধ্বংস করে গেছে, সেসবের সংস্কার করাও আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।
তামিম রায়হান: আফগানিস্তানের বেশির ভাগ এলাকা এখন তালেবানের দখলে। আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে তালেবান নেতৃত্বের ভাবনা কী?
নাইম ওয়ারদাক: আমরা আফগানিস্তানের সন্তান। আমাদের দেশের স্বাধীনতা এবং আমাদের জাতিকে দখলদার শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করার জন্য আমরা লড়াই করে আসছি। দেশকে পুরোপুরি দখলমুক্ত করার পর পরের ধাপ হলো আফগানিস্তানের পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল এবং উন্নত করা। আফগান জাতিকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করতে চাই। বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বিবাদ মেটাতে চাই। আফগানিস্তানের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসছি। আফগান জাতি হিসেবে আমরা একটি স্বাধীন ইসলামি নেতৃত্বের ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে চাই। আমাদের দরজা সবার জন্য খোলা। দেশবাসীর উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ তৈরি করে সেগুলো কাজে লাগাতে চাই।
তামিম রায়হান: এটা তো সত্যি, তালেবান শাসন নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা ভয়ভীতি আছে। বিরোধীদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ, অন্য ধর্মের মানুষের অধিকার হরণ, ইসলামের নামে সাধারণ মানুষের ওপর জবরদস্তি করে বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেওয়া, নারীকে ঘরবন্দী করে রাখা—তালেবানের শাসন নিয়ে এসব অভিযোগের ব্যাপারে আপনাদের বক্তব্য কী?
নাইম ওয়ারদাক: দেখুন, আমি আল্লাহর প্রশংসা করি, কারণ জাতি হিসেবে আফগানরা মুসলমান। আফগানিস্তানের মানুষ ইসলাম সম্পর্কে ভালোভাবে জানে। ইসলামের জন্য আফগান জাতি যুগে যুগে ত্যাগ স্বীকার করেছে। ইসলামি বিধান পালনে আফগানদের সংগ্রাম ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে। সে কারণে সাধারণ মানুষের ওপর ইসলামি বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে আপনি যা বললেন, তা সঠিক নয়। আর নারীদের ঘরবন্দী করে রাখার নামে কিছু করারও কারণ নেই। আফগানিস্তানের মানুষ মুসলমান। আফগান সংস্কৃতি, রীতিনীতি ও ঐতিহ্যগুলোই এমন যে সেগুলো ইসলামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা কারও এমন কোনো অধিকার হরণ করতে চাই না, যা ইসলাম তাদের দিয়েছে এবং যা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিরোধী নয়। আফগানিস্তানের অন্য ধর্মাবলম্বীরাও আফগানিস্তানেরই সন্তান। কাজেই তারাও তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা পুরোপুরি উপভোগ করবে। কেউ তার ন্যায়সংগত অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, কেউ যেন এসব ব্যাপারে উদ্বিগ্ন না হয় এবং বিভিন্ন মাধ্যমে এ নিয়ে যেসব আজগুবি কথা ছড়ানো হচ্ছে, তাতে যেন কেউ বিভ্রান্ত না হয়।
তামিম রায়হান: নারীদের স্বাধীনতা ও শিক্ষা নিয়ে আফগানিস্তানের তালেবান নীতি তাহলে কী হতে যাচ্ছে?
নাইম ওয়ারদাক: নারীশিক্ষার ব্যাপারে আমাদের নীতি সব সময় স্পষ্ট। নারীকে ইসলাম যে অধিকারগুলো দিয়েছে, তাতে আমরা বিশ্বাসী। ইসলামি শরিয়তে নারীর জন্য শিক্ষা, কাজ ও মালিকানার অধিকার রয়েছে। তা ছাড়া নারীদের ব্যাপারে যুগ যুগ ধরে বিরাজমান আফগান প্রথা ও ঐতিহ্যও ইসলামের বিরোধী নয়।
তামিম রায়হান: আফগানিস্তানে শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় তালেবানের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
নাইম ওয়ারদাক: ইসলামি শরিয়তের আলোকে আমরা আফগানিস্তানের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও শিল্পের সুরক্ষা নিশ্চিত করব। দখলদারদের ছত্রচ্ছায়ায় ইসলাম ও আফগানিস্তানের স্বার্থবিরোধী যে সংস্কৃতি আফগান সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তা আমরা প্রতিরোধ করব। আফগানিস্তান নিজস্ব ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সুবিস্তৃত শিল্প ও ঐতিহ্যের ধারায় পুষ্ট একটি দেশ। আমরা নানাভাবে সেই শিকড়ের কাছে ফিরে যেতে চাই, যা আমাদের পূর্বপুরুষেরা রেখে গেছেন; যার ভিত্তিতে আমাদের সভ্যতা গড়ে উঠেছে।
তামিম রায়হান: দুই দশক আগের তালেবান নেতৃত্বের আদর্শ ও ভাবনার সঙ্গে বর্তমান নেতৃত্বের চিন্তাভাবনার মধ্যে কি কোনো পরিবর্তন এসেছে?
নাইম ওয়ারদাক: দেখুন, মূলনীতি বা আদর্শের কখনো পরিবর্তন হয় না। তবে অভিজ্ঞতার আলোয় সময়ের সঙ্গে চলার ছন্দে পরিবর্তন আসতে পারে। এটি জীবন ও প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম। তাই স্থান–কালের পরিবর্তনে এবং যুগের চাহিদার প্রেক্ষাপটে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলার নিয়মে কিছু পরিবর্তন তো হতেই পারে। এ দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু পরিবর্তন খুব স্বাভাবিক।
তামিম রায়হান: আমরা একটু আঞ্চলিক রাজনীতিতে আসি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আপনারা কী ভাবছেন?
নাইম ওয়ারদাক: প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। এ দেশগুলোর পরস্পর সম্পর্কের ওপর দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ জড়িত। আমরা যদি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে চাই, তাহলে আমাদের একসঙ্গে পথ চলতে হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গেও আমরা সব সময় যোগাযোগ রাখছি। এ সম্পর্ক আমরা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত ও সুদৃঢ় করতে চাই।
তামিম রায়হান: খবরে এসেছে, ভারতের সঙ্গে আপনাদের কথা চলছে। পাকিস্তানের সঙ্গে তো আপনাদের অভিন্ন সীমান্ত। এ দুই দেশের ব্যাপারে আপনাদের নীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে?
নাইম ওয়ারদাক: আমি এখনই যে কথাটা বললাম, সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই। আর এটা কেবল আঞ্চলিক পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও। কোনো দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক তৃতীয় কোনো দেশের স্বার্থের ওপর নির্ভরশীল হোক, সেটা আমরা কখনোই চাই না। তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক কারও জন্য ক্ষতিকর হোক, সেটাও আমাদের কাম্য নয়। বরং আঞ্চলিক পর্যায়ে এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের যোগাযোগ এবং সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা মিলনকেন্দ্র হতে চাই। হোক সেট রাজনীতির, বাণিজ্যের কিংবা সংস্কৃতির।
তামিম রায়হান: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আপনারা কিছু ভাবছেন?
নাইম ওয়ারদাক: বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। বিপুল জনগোষ্ঠীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ মানবসম্পদের বিচারে খনিতুল্য। আঞ্চলিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং ইসলামি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী।
তামিম রায়হান: বাংলাদেশেও কি তালেবানের যোগাযোগের ক্ষেত্রটি বিস্তৃত? আমার সুনির্দিষ্ট প্রশ্নটি হলো, তালেবান আদর্শের কোনো সংগঠন বা কর্মকাণ্ড কি বাংলাদেশে আছে? এ ব্যাপারে আপনাদের ভাবনা কী?
নাইম ওয়ারদাক: দেখুন, এ ব্যাপারে আমাদের নীতি একেবারে স্পষ্ট। অন্য কারও ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। পাশাপাশি আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে কেউ অন্য আরেকটি দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে, সেটাও আমরা হতে দেব না। আবার একইভাবে আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বাইরের কারও হস্তক্ষেপও আমরা মেনে নেব না।
তামিম রায়হান: আশি-নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ থেকে কিছু তরুণ আফগানিস্তানে গিয়ে জিহাদে যোগ দিয়েছিল। আপনাদের কাছে তাদের কোনো তথ্য বা পরিসংখ্যান আছে? এখনো কি আফগানিস্তানে বাংলাদেশি মুজাহিদ আছে? থাকলে তাদের ব্যাপারে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
নাইম ওয়ারদাক: সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে মুসলমানদের লড়াইয়ে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন মুসলিম দেশের তরুণেরা অংশ নিয়েছিল। যুদ্ধ শেষে কেউ আফগানিস্তানে থেকে গিয়েছিল, কেউ কেউ ফিরে গিয়েছিল নিজ নিজ দেশে। সোভিয়েতের পতনের পর আফগানিস্তানে অভ্যন্তরীণ বিবাদ দেখা দিল এবং সর্বত্র দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ল। তখনই ইসলামি শাসনের শুরু। তার মধ্য দিয়ে পুরো আফগানিস্তান ঐক্যবদ্ধ হলো, আফগানরা দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে মুক্তি পেল। সেই সময়টাতে বিভিন্ন দেশের তরুণেরা আফগানিস্তানে ছিল। কিন্তু মার্কিন বাহিনীর হাতে আফগানিস্তান আবারও দখল হয়ে গেলে এই তরুণেরা আফগানিস্তান ছেড়ে নিজ নিজ দেশে চলে যায়। এ মুহূর্তে আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে অন্য দেশের কেউ নেই।
তামিম রায়হান: আপনি আরেকটু স্পষ্ট করে বলুন। বাংলাদেশে কোনো দল, গোষ্ঠী বা সংগঠনের সঙ্গে কি তালেবানের সম্পর্ক আছে? বাংলাদেশে অতীতে বিভিন্ন সময় কিছু সংগঠন তালেবানের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের দাবি করেছিল।
নাইম ওয়ারদাক: না। বাংলাদেশের কোনো দল বা সংগঠনের সঙ্গে তালেবানের কোনো সম্পর্ক নেই।
তামিম রায়হান: আফগানিস্তানের বাইরে অন্য দেশে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠায় আপনাদের ভাবনা কী?
নাইম ওয়ারদাক: দেখুন, আফগানিস্তানের বাইরে আমাদের কোনো অ্যাজেন্ডা নেই।
তামিম রায়হান: আল-কায়েদা অথবা ইসলামিক স্টেটের ব্যাপারে আপনাদের নীতিগত অবস্থান কী?
নাইম ওয়ারদাক: আগেই বলেছি, আফগানিস্তানের বাইরের কোনো দেশে আমাদের কোনো গোষ্ঠী বা অনুসারী নেই। আবারও বলছি, আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে অন্য কোনো দেশের নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতা নষ্ট করার মতো কোনো কার্যকলাপ আমরা হতে দেব না। একইভাবে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার মতো কোনো কিছুও আমরা মেনে নেব না।
তামিম রায়হান: ভূরাজনীতিতে আফগানিস্তানের কৌশলগত অবস্থানটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। চীনের কথা মাথায় রাখলে এর তাৎপর্য আরও গভীর। চীনের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক কেমন?
নাইম ওয়ারদাক: চীন আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবেও চীন বিরাট একটি দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। আমাদের সম্পর্কও স্বাভাবিক।
তামিম রায়হান: আমরা দেখতে পাচ্ছি, তালেবানের ব্যাপারে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন। কিছু দেশ উদ্বিগ্ন, কিছু দেশ নীরবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আরব এবং মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে আপনাদের অবস্থান বা নীতি কী?
নাইম ওয়ারদাক: ইসলামি দেশগুলোর সঙ্গে আমরা ভালো, দৃঢ় ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। এটাই আমাদের নীতি। আমরা সব ইসলামি দেশকে আশ্বস্ত করতে চাই যে তালেবান নেতৃত্বে আফগানিস্তান হবে একটি কার্যকর রাষ্ট্র। আমরা মুসলিম বিশ্বের জন্য উপকারী একটি রাষ্ট্র হিসেবে আফগানিস্তানকে নেতৃত্ব দেব। কারও ওপরে আমরা বোঝা হব না।
তামিম রায়হান: সাবেক তালেবান শাসন পতনের পর আফগানিস্তানে বেশ কিছু দেশ বিনিয়োগ করেছিল, আরও অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠেছিল। তাদের ব্যাপারে আপনাদের নীতি কী হবে?
নাইম ওয়ারদাক: দেখুন, আমরা আফগানিস্তানে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে উৎসাহ ও সমর্থন দিতে আগ্রহী। ন্যায়ভিত্তিক ইসলামি শাসনের ছায়াতলে আফগানিস্তানে বিনিয়োগ ও ব্যবসার অনেক সুযোগ তৈরি হবে, ইনশা আল্লাহ।
তামিম রায়হান: আপনাকে ধন্যবাদ।
নাইম ওয়ারদাক: আপনাকে এবং বাংলাদেশের পাঠকদেরও আমাদের অনেক ধন্যবাদ।





