শুভ্রদীপ চক্রবর্তী: চলতি মাসের শেষে ভয়ঙ্কর ঘুর্নিঝড় ধেয়ে আসছে বাংলা এবং ওড়িশায়। বিধ্বংসী আমফানের স্মৃতি উস্কে বাংলায় আছড়ে পড়তে চলেছে নতুন ঘূর্ণিঝড়। নাম ‘টাউকতে’। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর চাউর হতেই আতঙ্কের মুখে পড়েছেন অনেকে। কেউ কেউ আগে থেকে সতর্ক থাকতে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। স্বাভাবিক আমফানের বিদ্ধংসীলীলা আর ফিরে পেতে চায়না রাজ্যবাসী। সোশ্যাল মিডিয়া এই খবর ভাইরাল হতেই খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে এই খবর নজর এড়ায়নি হাওয়া অফিসেরও। তাদের তরফে এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে।
মূলত গত কয়েকদিন বিভিন্ন জায়গায় শোনা যায়, ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। মার্চ মাসের শেষ দিকে ১৫০ কিমি গতিবেগে আছড়ে পড়বে এই টাউকতে ঘূর্ণিঝড়। খবর আসতেই উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে এই খবরের সত্যতা বিচার করা হয় এবং তাদের তরফ থেকে জানানো হয়, বাংলায় আগামী ১০ দিনে ঘূর্ণাবর্তের কোনো সম্ভাবনা নেই। এরকম কোনো ঝড়ের পূর্বাভাস থাকলে তা অনেক আগে থেকেই অফিসিয়ালি জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চ মাসে এপার ওপার দুই বাংলা এবং ওড়িশাতে আছড়ে পড়ে আমফান। ঝড়ের গতিবেগে তছনছ হয়ে বাড়ি ঘর, খেত খামার দোকানপাট সব। ঝড়ের তান্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষত্রিগ্রস্ত হয় দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা জেলা। রাস্তায় ধসে পড়ে সারি সারি গাছ। কোথাও আবার আস্ত বাড়ি। তবে এই ঝড় মোকাবিলা করতে সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়েছিল রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় দুই সরকারের। একসময় ঝড়ের এই ভয়াবহতা দেখে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দিয়ে অজান্তে বেরিয়ে আসে ‘সর্বনাশ, সব শেষ’। তবে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করে বঙ্গ জনগন। কিন্তু আমফানের দুঃস্বপ্ন কাটতে না কাটতেই নতুন ঘূর্ণিঝড়ের খবর শুনে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে রাজ্যবাসী। তবে এই খবরটি পুরোপুরি ভুয়ো বলে নাকচ করে আলিপুর হাওয়া অফিস।