পশ্চিমবঙ্গ নিউজ ডেস্ক: ছয় কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচনের ফল দেখে উচ্ছ্বসিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিরোধীদের দুরমুশ করে ছটিতেই জিতেছেন ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থীরা। পাঁচ জেলার ছ’টি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে গত ১৩ নভেম্বর। কোচবিহারের সিতাই, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার তালড্যাংরা এবং উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটিতে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় ভোটগণনা। ফলপ্রকাশের পর সোশাল মিডিয়া পোস্টে জয়ীদের শুভেচ্ছা জানালেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উপনির্বাচনের ফল নিয়ে সমাজমাধ্যমের পোস্টে মমতা লিখেছেন, ‘‘আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে মা-মাটি-মানুষকে জানাই প্রণাম। আমরা জমিদার নই। মানুষের পাহারাদার। মানুষের আশিস আজীবন আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে থাকবে।’’ তৃণমূলের এই ফলাফল অবশ্য প্রত্যাশিত ছিল। চিন্তা ছিল একমাত্র বিজেপির দখলে থাকা মাদারিহাট নিয়ে। শনিবার সকালে ভোটগণনার শুরু হয়। বেলা যত গড়িয়েছে, ততই ঘাসফুল শিবিরের জয়ের রাস্তা মসৃণ হয়েছে। মাদারিহাটের গেরুয়া গড়ও হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে ঘাসফুলের দাপটের কাছে।
এদিকে এ বারের উপনির্বাচনে ঘোষিত বা অঘোষিত কোনও প্রকার জোট হয়নি বাম-কংগ্রেসের। উভয় দলই আলাদা আলাদা ভাবে প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু একক ভাবে লড়েও ভোটের ময়দানে খুব একটা লাভ হলো না। সর্বত্রই জামানত জব্দ হয়েছে বাম ও কংগ্রেসের। ভোটের যা ফলাফল, তাতে রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা মানছেন প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র সুমন রায়চৌধুরী। অন্যদিকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য,’ আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের পুনর্জাগরণ ঘটাতে গেলে বামপন্থার পুনর্জাগরণ অবশ্যম্ভাবী।”