কমিউনিটি নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতে দণ্ডিত ৫৭ বাংলাদেশির জন্য সরকার কিছুই করবে না বলে আবারও জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, আবারও বলছি, দুবাইয়ে আন্দোলন করে প্রবাসীরা আইন অমান্য করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। এজন্য তাদের শাস্তি হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রবাসীদের ব্যাপারে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রবাসীকল্যাণ ভবনে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিমের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের সিংহভাগ অবদান প্রবাসীদের। একটি মহল বাংলাদেশের শ্রমবাজারটা নষ্ট করতে চাইছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে হতাহতের প্রতিবাদে আমিরাতের বিভিন্ন শহরের বিক্ষোভের কারণে, মাত্র একদিনের বিচারে ৩ বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। আরও ৫৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। তড়িঘড়ির এ বিচারকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের মুক্তি দাবি করেছে। অপরদিকে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী কর্মীদের দায়ী করে তাদের মুক্তি জন্য কিছু করবেন না বলে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার কবে নাগাদ খুলতে পারে- এমন প্রশ্নে শফিকুর রহমান বলেন, যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে চিঠি লিখেছি। আগামী মাসে দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হবে। শ্রমবাজার কবে খুলবে তখন জানা যাবে।
যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৭০ শতাংশ কর্মীকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বায়রাকে বলেছি, কর্মীরা যত টাকা দিয়েছে, তা ফেরত দেওয়ার পর প্রাপ্তি স্বীকারের চুক্তি করে মন্ত্রণালয়কে দিতে হবে। তখন জানা যাবে কতজন মানুষ টাকা পেয়েছে। সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দিতে না পারলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।