ফলাফল ঘোষণার পর ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা গ্রুপ ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন। আগামী দুই বছর ক্লাবকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এই ১৫ জনকে ক্লাব সদস্যরা বেছে নিয়েছেন।
আলোক চিত্রে লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব নির্বাচন- ২০২২
দ্বিবার্ষিক সভা- ২০২২ শেষে সভাপতির বিদায়ী বক্তব্যের মাধ্যমে বিদায় নিচ্ছেন লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব নির্বাচন- ২০১৯ এ নির্বাচিত নির্বাহী কমিটির সদস্যগণ।বিদায়ী ট্রেজারার মাসুম ভাইয়ের হাতে সন্মাননা ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মুহিব ভাই; জুবায়ের ভাইয়ের হাতে সন্মাননা ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন সাবেক সভাপতি বেলাল আহমেদ ভাই ও সাবেক সভাপতি নাহাস পাশা ভাই; এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মতি ভাইয়ের হাতে সন্মাননা ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন সাবেক সভাপতি নবাব উদ্দিন ভাই।প্রথম ছবিতে ফরীদ আহমেদ রেজা ভাই নির্বাহী কমিটিকে দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। দ্বিতীয় ছবিতে সারওয়ার-ই আলম ভাই নিজের আইডি কার্ড প্রদর্শন করছেন- আমি পাইলাম ইহাকে পাইলাম।আগের ছবিতে আনাস ভাই ঠান্ডা পানির জন্য অপেক্ষা করছেন। পরের ছবিতে জাকি রেজোয়ানা আপা মেম্বারশীপ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েছেন।প্রথম ছবিতে কবি দিলু নাসের ভাই ও মাহী মাসুম ভাই ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় বসে আছেন। দ্বিতীয় ছবিতে কাউবয় হ্যাট মাথায় একজন আগন্তুক এক কোণে বসে সবাইকে খুব ভালোভাবে অবজার্ভ করছেন।অত্যন্ত হাসিখুশি ও প্রাণোচ্ছল এই দুই জোড়া দম্পতি মিলনায়তনে উপস্থিত সকল দর্শকের দৃষ্টি কেড়েছেন। আড়ালে কেউ কেউ তাদের লাভ বার্ড বলে ডেকেছেন।কিনু ভাই ও তাঁর সহযোগি কমরেডগণ ফটো সাংবাদিক খালিদ হোসাইন ভাইকে তাঁর নতুন আইডি কার্ড বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ক্লাবের নামাজী সদস্যগণ নামাজের সময় জামাতে নামাজ আদায় করছেন।প্রথম ছবিতে ভিআইপি ক্যাম্পেইনার উদয় শংকর দা স্বতন্ত্র প্রার্থী জিআর সোহেল ভাইয়ের পক্ষে ক্যাম্পেইন করছেন। দ্বিতীয় ছবিতে শাহিন ভাই বৃটিশ বাংলাদেশি কনিষ্ঠ এমপি আপসানা বেগমের সাক্ষাতকার নিচ্ছেন।স্টার ক্যাম্পেইনার লিটন ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী রুমান ভাই ও তানিম ভাইয়ের পক্ষে ক্যাম্পেইন করতে গিয়ে ভাবীকে হারিয়ে ফেলেছেন। পরে গুগল করে ভাবীকে অ্যালায়েন্সভুক্ত প্রার্থীদের ক্যাম্পেইনে খুঁজে পেয়ে হাসছেন।আগের ছবিতে বিলেতের একমাত্র সুদর্শন নায়ক সেতু ভাইয়ের সাথে সবাই ছবি তুলছেন। পরের ছবিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সাথে সেতু ভাই হাসিমুখে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন।বাবু ভাইয়ের পাওয়ার হাউজ রেবেকা ভাবী বাবু ভাইয়ের জন্য ভোটারদের কাছে হাসি মুখে ভোট চাইছেন। এই হাসি দিয়েই তিনি ভোটারদের কাবু করেছেন।তারেক ভাই চশমার নিচ দিয়ে তাকিয়ে আছেন। কাইয়ুম ভাই গভীর মনোযোগ সহকারে তারেক ভাইয়ের দৃষ্টি কোনদিকে বোঝার চেষ্টা করছেন।ভোট দিতে যদি কেউ দেখে ফেলেন, এই ভয়ে প্রথম ছবিতে চিন্তিত মনসুর ভাই। নাহ, ভোট দিতে কেউ দেখেনি দ্বিতীয় ছবিতে হাসি মুখে মনসুর ভাই।পাশাপাশি দুই মাহবুব ভাই রাতের আধাঁরে দু:খিত দিনের আলোয় ব্যালট বক্স ভরছেন। ব্যালট বক্স ভরতে সময় বেশি লাগায় আগামীতে দু’জনেই ইভিএম এ ভোট করার দাবী জানিয়েছেন। ১৪ বছর পর নিজের ভোট নিজে দিতে পেরে খুশি সালাহউদ্দিন ভাই, বদরুজ্জামান বাবুল ভাই ও ফারুক ভাই।ফলাফল ঘোষণার আগেই ‘বিজয় চিহ্ন’ বা ‘ভি-চিহ্ন’ দেখাচ্ছেন আবদুল মুনিম জাহেদী ক্যারল ভাই, আজহার ভাই, এনাম ভাই ও হাসনাত চৌধুরী ভাই।শ্যালিকাকে ভোট দিয়ে ব্যালট পেপার বক্স এ ভরছেন মোস্তাক বাবুল ভাই। ব্যালট পেপার বক্স এ ভরার আগে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন মাহফুজ ভাই, পাক্কু ভাই ও সাজু ভাই।তবারক ভাই, কাওছার ভাই ও শোভন ভাই ভোটটা ঠিকঠাক দিলেও পরে খাবারের মান ও পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। খাবারের মান ও পরিমাণ ঠিক না হলে পরেরবার নির্বাচন বয়কট করার ঘোষণা/হুমকি দিয়েছেন।নির্বাচনে নেমে নাম বিড়ম্বনায় ভোগা দুই সোহেল ভাই হাসিমুখে ভোট দিচ্ছেন। বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ জিআর সোহেল ভাই সাহিদুর রহমান সোহেল ভাইকে ভোট দিয়েছেন। সাহিদুর রহমান সোহেল ভাই জিআর সোহেল ভাইকে ভোট দিয়েছেন।পিকচারস অব দ্যা ডে: প্রথম ছবিতে তারেক ভাই জিতলে কিভাবে পোজ দিবেন মনসুর ভাইকে অভিনয় করে দেখাচ্ছেন। দ্বিতীয় ছবিতে হারলে কিভাবে কাঁদবেন নবাব ভাইকে অভিনয় করে দেখাচ্ছেন, নবাব ভাই তারেক ভাইকে মিছে সান্তনা দেওয়ার ভান করছেন।কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের নিমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ক্লাবের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা, নির্বাচন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন।নিমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে এসেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ভিপি খসরুজ্জামান এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম. এ মালিক ও সেক্রেটারি কয়সর এম আহমেদ।প্রথম ছবিতে ফারহান মাসুদ ভাই খাবারের জন্য অপেক্ষা করছেন। দ্বিতীয় ছবিতে খাওয়া শেষে হাসিমুখে দুই জনের কাঁধে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়াচ্ছেন।মধ্যাহ্ন ভোজন শেষে সন্মানিত ক্লাব সদস্যগণ হাসিমুখে গ্রুপ ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন। ফয়সাল মাহমুদ ভাই নাহাস ভাইয়ের পেটে হাত দিয়ে খাবার পরিমাপ করছেন।বাদিকের ছবিতে আগন্তুক মিট বিরিয়ানীর মাঝে অন্য কিছুর অস্তিত্ব পেয়ে কাটা চামচ দিয়ে তন্ন তন্ন করে খুঁজছেন। ডান দিকের ছবিতে বাহাতে ইদুরের লেজ ধরে নাকমুখ কুঁচকে ফেলেছেন।অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে নিমন্ত্রিত অতিথিদের পদচারণায় মুখরিত মিলনায়তনে দাঁড়িয়ে সবাই সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করছেন।ভাইসাবরে তুই জলে ভাসা সাবান আইন্যা দিলানা…মঞ্চে উর্মি আপা গান গাইছেন। উর্মি আপার গান শোনে ফাহমিদা নবী পেছনে বসে পড়েছেন। ভুল বললাম। উর্মি আপা আবৃত্তি করছেন- হিলিয়াম গ্যাস ভরা রঙিন বেলুন।ঐ দেখা যায় তাল গাছ, ঐ আমাগের গাঁ, ঐ খানেতে বাস করে কানা বগীর ছা…জুবায়ের ভাই আবৃত্তি করছেন। ওহ! না, সন্মাননা পর্বে জুবায়ের ভাই নিমন্ত্রিত অতিথিদের ডেকে ডেকে মঞ্চে তুলছেন।মঞ্চে জুবায়ের ভাই মাননীয় হাইকমিশনারকে জিজ্ঞাসা করছেন, আপনি আপনার সাইজ ডাবল করেছেন? জুবায়ের ভাইয়ের প্রশ্ন প্রথমে বুঝতে না পেরে তিনি কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছেন। স্টার অব দ্যা শো জুবায়ের ভাই প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নিয়েছেন। ছবিতে ফাহমিদা নবী জুবায়ের ভাইয়ের উপস্থাপনার প্রশংসা করে গান গাইতে অনুরোধ করলে লজ্জাবতী জুবায়ের ভাই লজ্জা পাচ্ছেন।দয়াল বাবা কলা খাবা গাছ লাগায়ে খাও, পরের গাছে পানে কেনো মিটিমিটি চাও বাবারে, পরের গাছে পানে কেনো মিটিমিটি চাও। জুবায়ের ভাই ও ফাহমিদা নবী একান্তে কথা বলছেন। মাঝখানে তিনি মিটি মিটি চাইছেন।বাদাম বাদাম বুবু কাঁচা বাদাম, আমার কাছে নাই গো বুবু ভাজা বাদাম, আমার কাছে পাবে শুধু কাঁচা বাদাম। মিছবাহ জামাল ভাইকে ফাহমিদা নবী গান গাইতে অনুরোধ করছেন, মিছবাহ জামাল ভাই কাঁচা বাদাম গান গাইছেন।নাচ ও গানে মঞ্চ মাতাচ্ছেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত সঙ্গীত শিল্পী ফাহমিদা নবী। একটা গানে তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা রানা খান।গান গাইছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, দন্ত রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: অরুপ রতন চৌধুরী।প্রথম ছবিতে নির্বাচন কমিশনারগণ সহযোগিদের নিয়ে গ্রুপ ছবি তুলছেন। দ্বিতীয় ছবিতে ব্যালট বাক্স খুলে ভোট গুণছেন। তৃতীয় ছবিতে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করছেন।ফলাফল ঘোষণার আগ মুহুর্তে নিজ নিজ প্রার্থীকে নিয়ে চরম টেনশনে উদয় শংকর দা ও বেলাল আহমেদ ভাই।জয়ের আগাম খবর শোনে ৩২ দাঁত বের করে সারোয়ার হোসেন ভাই হাসছেন। পরের ছবিতে নিজের প্রার্থীর ফেইল করার খবর শোনে ইউসূফ ভাই মনের দু:খে ব্যাক স্টেইজে গান গাইছেন, আমায় ভাসাইলিরে আমায় ডুবাইলিরে।এমাদ ভাই পাস করবেন এই কথা নবাব ভাই আগেই বলেছেন। ফলাফল ঘোষণার পর সেই কথা মনে করে দু‘জনেই হাসছেন।সামনে নবনির্বাচিত এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সাঈম ভাই ইভেন্ট সেক্রেটারি মৃধা ভাইয়ের সাথে ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছেন, পেছনে বিদায়ী এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মতি ভাই দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নিচ্ছেন।কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভোটে দাঁড়িয়ে জামানত হারিয়েছিলেন। আজিজুল হক কায়েস ভাই নজরুলের মত জামানত না হারালেও ঘুমন্ত ভোটারকে জাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন।‘লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব নির্বাচন ২০২২’ এর চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর নবনির্বাচিত সভাপতি এমাদ ভাই, সেক্রেটারি তাইসির ভাই ও ট্রেজারার সালেহ ভাই সবার সহযোগিতা ও দোয়া চেয়ে বক্তব্য রাখছেন।
ফটো ক্রেডিট:- খালিদ হোসাইন, মোহাম্মদ এখলাসুর রহমান পাক্কু, নাহিদ আহমেদ জায়গীরদার ও জুবায়ের খান সেলিম।