আসামের একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণে দুই দমকল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আশপাশের এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় আট হাজার বাসিন্দা। বুধবার ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ওয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের (ওআইএল) মুখপাত্র ত্রিদিব হাজারিকা জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ আগে কূপ থেকে গ্যাস লিক হওয়া শুরু করলে তা বন্ধের চেষ্টা করছেন কর্মীরা।
আসামের মূল শহর গুয়াহাটি থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাঘজান গ্যাসক্ষেত্রটি। এটি পরিচালনা করে ওয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড। গত মঙ্গলবার সেখানকার একটি কূপে প্রাথমিক বিস্ফোরণ হলে দুই দমকলকর্মী নিখোঁজ হয়। বুধবার তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওআইএল-এর মুখপাত্র ত্রিদিব হাজারিকা।
প্রাথমিক বিস্ফোরণের ৩৬ ঘণ্টা পরও প্রায় ১৫ মিটার উচ্চতার আগুন জ্বলতে দেখা গেছে ওই গ্যাসক্ষেত্রে।ওআইএল-এর মুখপাত্র ত্রিদিব হাজারিকা বলেন, ‘গত ২৮ মে থেকে আমরা কূপটির কাছাকাছি থাকা মানুষদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছি। এছাড়া সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি অ্যালার্ট ডিজাস্টার কন্ট্রোল থেকে বিশেষজ্ঞদের উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।’
হাজারিকা জানিয়েছেন, কূপটির আশেপাশের এলাকার আগুন নিভে গেলেও আশেপাশে প্রাকৃতিক গ্যাসের উপস্থিতি থাকায় তা ছড়িয়ে পড়ছে। আগুন দেখতে আশেপাশের বাসিন্দারা এগিয়ে আসছে আর কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে কালো ধোয়া দেখা যাচ্ছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে গ্যাসক্ষেত্রের লিক সারিয়ে ফেলতে কাজ করছেন প্রায় দুইশো প্রকৌশলী ও কর্মী। তবে গ্যাস লিকের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছেন পরিবেশবাদীরা। গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জনপ্রিয় ইকোট্যুরিস্ট সাইট মাগুরি-মোতাপাং। রাষ্ট্রায়ত্ত ন্যাশনাল পার্কের অধীনস্ত এই সাইটটি পরিযায়ী পাখিদের জন্য বিখ্যাত।
ওআইএল-এর তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে লিক শুরু হওয়ার আগে সেখান থেকে প্রতিদিন এক লাখ কিউবিক মিটার প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা হতো।