পঙ্কজকুমার দেব, হাফলং: সবুজে ঘেরা পার্বত্য আসামের ডিমা হাসাও জেলা পরিযায়ী পাখিদের রম্যভূমি তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ জেলার জাটিঙ্গা, উমরাংশু ছাড়া জাটিঙ্গার নিকটবর্তী দয়হাং গ্রামেও ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আসে। এবার মহকুমা সদর মাইবাঙেও পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটছে।জাটিঙ্গাতে বছরের একটি পৃথক সময়ে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখিদের আগমন শতাব্দী পুরনো।
আজও জাটিঙ্গাতে পরিযায়ী পাখিদের আসার পরম্পরা অব্যাহত রয়েছে। জাটিঙ্গার পাশাপাশি উমরাংশুতে আমুর ফ্যালকনরা ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে থাকে। জাটিঙ্গাতে রংবেরঙের পাখির দল বছরের আগষ্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবর অবধি আসে। অনুরূপ ভাবে উমরাংশুতে আমুর ফ্যালকনরা অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে নভেম্বর অবধি থাকে।
তবে এবার পার্বত্য জেলার মহকুমা সদর মাইবাঙের আকাশে বিরল প্রজাতির পাখি ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।সম্প্রতি মহকুমার পক্ষীপ্রেমীরা এই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। তবে শুধু আকাশে নয় আলোর খোঁজে এবার ওই বিরল প্রজাতির পাখি লোকালয়ে চলে আসে। গত রবিবার রাতে আচমকাই মাইবাং শহরের বাসিন্দা সন্দিপ নুনিসার বাড়িতে এক বিশাল আকৃতির পাখি আলোর সন্ধানে গিয়ে নেমে বসে। সন্দীপ বাবু পাখিটিকে এরপর দিন সকালে বন ও পরিবেশ দফতরের মাইবাং রেঞ্জের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন।
বন বিভাগের কর্মীরা ওই পাখিটিকে কালাচান্দের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ছেড়ে আসেন।জনৈক বন আধিকারিক জানান যে রাতের অন্ধকারে মাইবাঙে আলো দেখে উড়ে আসা পাখিটি কিছুটা ঈগল প্রজাতির দেখতে। বাস্তবে এই ধরনের পাখি সাউথ ইস্ট এশিয়ার জঙ্গলে উপলব্ধ। পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম মালাইম নাইট হেরোন।তবে মাইবাঙের আকাশে বা রাতের অন্ধকারে আলো দেখে মালাইম নাইট হেরোন কেন লোকালয়ে চলে আসলো তা নিয়ে বন ও পরিবেশ বিভাগ বেশ উদ্বিগ্ন। কারণ এর আগে হাফলঙের এক বাড়িতেও বিরল প্রজাতির রঙিন পাখী আশ্রয় নিয়েছিল।