গুয়াহাটি, ৩ আগস্ট (হি.স.) : অসমের সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বন্যার জল কমছে। কিন্তু বন্যা পীড়িতদের দুর্ভোগের মাত্রা কমেনি। রাজ্যের ১৭টি জেলার ৩৫টি রাজস্ব চক্রের মোট ৪৯৪টি গ্রাম আজও বন্যার জলের নীচে। সরকারিভাবে স্থাপন করা অস্থায়ী ৩৯টি ত্রাণ শিবিরে বর্তমানে ৭,১৮১ জন বানবাসী আশ্রিত আছেন।
এদিকে প্রলয়ঙ্করী বন্যার কবলে পড়ে রাজ্যের মোট ৩২,০২৮.৮৩ (সোমবারের সরকারি হিসাব) হেক্টর কৃষিজমি জলের নীচে ডুবে রয়েছে। ফলে অসংখ্য কৃষককের বিস্তর ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এখনও রাজ্যের ১৭টি জেলায় বিধ্বংসী বন্যার ফলে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে। অসমে বন্যার কবলে পড়ে মৃত্যু ঘটেছে আজকের একজনকে নিয়ে ১১০ জনের।
২৭টি জেলার মধ্যে বন্যায় অধিকতর ক্ষতিগ্ৰস্ত জেলাগুলো যথাক্ৰমে শোণিতপুর, বিশ্বনাথ চারালি, তিনসুকিয়া, লখিমপুর , বঙাইগাঁও, কামরূপ, কামরূপ মেট্রো, গোলাঘাট, শিবসাগর, ধেমাজি, বরপেটা, ওদালগুড়ি, গোয়ালপাড়া, ডিব্ৰুগড়, ধুবড়, নগাঁও, মরিগাঁও প্রভৃতি।
বানাক্ৰান্ত জেলা সমূহে সরকারিভাবে উদ্ধার কার্য এবং সাহায্য অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দকৃত সেইসব ত্রাণসামগ্রী পৰ্যাপ্ত নয় বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। গোটা রাজ্যের বন্যাক্রান্ত এলাকায় প্ৰায় ২২ লক্ষ পশুসম্পদ ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রলয়ঙ্করী বন্যায় এবার মোট ১১৬,৪০৪ হেক্টর কৃষি জমি বিনষ্ট হয়েছে। এদিকে কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানে শতাধিক বন্যপ্ৰাণীর করুণ মৃত্যু ঘটেছে। বিশু / এসকেডি / অরবিন্দ