পঙ্কজকুমার দেব, হাফলং: শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট করিডোর এন এইচ ২৭ জাটিঙ্গা- হারাঙ্গাজাও ২৫ কিলোমিটার পথ নির্মাণ করতে গিয়ে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইণ্ডিয়া (নাহাই) ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি এই সামান্য পথ সচল রাখতেও সক্ষম হয় নি নাহাই। ফলে পাহাড় বরাকের সাধারণ জনগণকে এই পথ ধরে চলাচল করতে যমের যন্ত্রণা ভুগতে হচ্ছে।
জাটিঙ্গা-হারাঙ্গাজাও সড়ক পথের জাটিঙ্গা পয়েন্ট থেকে মিয়ুংক্রো পর্যন্ত পথ কিছুটা ভালো যদিও পথের প্রস্থ একেবারে কম। ফলে দুটি ছোট গাড়ি একে অপরকে পাস দিতে গিয়ে সমস্যা হয়। শনিবার জাটিঙ্গা- হারাঙ্গাজাও সড়ক পথের সরেজমিন দেখতে হাফলং থেকে হারাঙ্গাজাও উপস্থিত হলে পথের বেহাল স্বরূপ ধরা পড়ে।
পঁচিশ কিলোমিটার পথের অধিকাংশ এলাকায় কংকালসার এবং বিপদসংকুল। কিছু এলাকায় বিটুমিনের কালো আস্তরণ রয়েছে। বাকি এলাকায় শুধু মাটি আর পাথর। কোথাও যদি পথ ধসে গেছে তো আবার কোথাও গর্তের সমাহার। বেশ কয়েকটি স্থানে পথের অস্তিত্ব সঙ্কটে এসে দাঁড়িয়েছে।
বর্ষায় জল কাঁদায় একাকার হওয়ার বিপরীতে শুকনোর মরশুমে বর্তমানে ধুলোর ঝড় উঠছে। তবে সুখবর হলো বেহাল পথের হাল ফেরাতে এবার মেশিন পত্র নিয়ে পথে নেমেছে ঠিকাদারি গোষ্ঠী।শনিবার একাধিক বিশাল আকৃতির মেশিন নিয়ে পথের ট্রিটমেন্টে নাহাইর অনুমোদিত ঠিকাদারি গোষ্ঠী রত্না ইনফ্রার কর্মীরা ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
আসলে পার্বত্য জেলায় এক দশক আগে জেলার আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে দায়ী করে মহাসড়ক নির্মাণ কাজ রুখে দেওয়ার বিপরীতে বর্তমানে ভূতাত্ত্বিক সমস্যাকে হাতিয়ার করে মহাসড়ককে হিমঘরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তথাপি পথ সচল হলে স্থানীয় জনগণ কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন।
শনিবার হারাঙ্গাজাওয়ের জনৈক নাগরিক অভিযোগ করেন যে গত এক দশক ধরে এই পথের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়েছে। কিন্তু পাহাড়ের লাইফ লাইন হওয়ার পরও এক্ষেত্রে সরকার গুরুত্ব দেয়নি। অর্থাৎ সরকার বদল হলেও বাস্তবে জনগণের ভাগ্য বদল হয়নি। কবে নাগাদ এই পথের চেহেরার পরিবর্তন হয় তা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল।





