গুয়াহাটি: অসমে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অস্বীকার করেছে তেজপুর মেডিকেল কলেজ।আজ টুইটারে অসমের তেজপুর মেডিকেল কলেজ এই বলে উল্লেখ করেছে যে ঐ ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত যদিও তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে এখনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত ওমিক্রন সন্দর্ভে কাউকে ভুয়ো খবর না ছড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তেজপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।উল্লেখ্য যে, অসমের শোণিতপুরে শনাক্ত হয়েছে রাজ্যের প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী এমনটাই খবর প্রকাশ পেয়েছিল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দ্বারা আক্রান্ত রোগীর নাম সূর্য বাহাদুর তামাং। তিনি সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন। রাতে তাঁকে অসমের তেজপুর চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এদিকে, ওমিক্রন নিয়ে অযথা এত আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। মানুষ অযথা আতঙ্কিত হলে বিপদ বাড়বে। কারণ নতুন স্ট্রেনের হানা মানেই যে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ এদেশে হানা দেবে, এমন ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। এমনটাই মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা।
WHO’র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ডিরেক্টর পুণম ক্ষেত্রপাল এ বিষয়ে বলছেন, নতুন স্ট্রেনের আগমনে অনিশ্চয়তা বাড়ল এটা ঠিক, তবে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে বাড়তি আতঙ্কের কারণ নেই। এদিকে ধীরে হলেও দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের খবর কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে, এইসবের মধ্যেই ভারতের করোনা পরিসংখ্যানে অনেক স্বস্তি। আজ, রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মোট ৭ হাজার ৭৭৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের তুলনায় খানিক কম।
এদিকে মারণ করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩০৬ জন। হিসেব বলছে, দেশে এই মুহূর্তে মৃত্যুহার ১.৩৭ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে ভারতে সর্বমোট মৃতের সংখ্যা হল ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৩৪ জন।
এদিকে, স্বস্তি দিয়ে এদিন আরও কমেছে করোনার অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে ভারতে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী হলেন ৯২ হাজার ২৮২ জন।পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ভারতে ৩ কোটি ৪১ লক্ষ ২২ হাজার ৭৯৫ জন করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসমুক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৬৪ জন।