গুয়াহাটি, ১১ ডিসেম্বর : সম্প্রসারিত মন্ত্রিপরিষদে ব্যাপক রদবদল করে দফতর বণ্টন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। গৃহ, রাজনৈতিক, কৰ্মচারী ইত্যাদি নিজের হাতে রেখে অন্য মন্ত্রীর দফতর বণ্টন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবনিযুক্ত চার মন্ত্রীর হাতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব দিয়ে কয়েকজনের কাছ থেকে কর্তন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি দফতর।
গৃহ, সাধারণ প্রশাসন, রাজনৈতিক, কৰ্মচারী, পূর্ত (বিল্ডিং ও হাইওয়ে) সহ যে সকল দফতর বণ্টন হয়নি সে সব গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ তাঁর হাতে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা। নতুন মন্ত্ৰী প্ৰশান্ত ফুকনকে বিদ্যুৎ, দক্ষতা বিকাশ, উদ্যোগ ও কর্মসংস্থান, চিকিৎসা (মেডিক্যাল) শিক্ষা ও গবেষণা এবং প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত যোজনার তত্ত্বাবধান দফতর।
কৌশিক রাইকে খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ, উপভোক্তা বিষয়ক, খনি ও খনিজ এবং বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগ। কৃষ্ণেন্দু পালকে পশুপালন ও পশুচিকিৎসা, মৎস্য, পূর্ত (সড়ক) দফতর। রূপেশ গোয়ালাকে শ্ৰমিক কল্যাণ, চা উপজাতি ও আদিবাসী কল্যাণ এবং গৃহরক্ষী (কারা, হোমগার্ড ও সিভিল ডিফেন্স) দফতর।
এছাড়া পুরনো যে সকল মন্ত্রীর দফতর রদবদল করা হয়েছে সেগুলি – রঞ্জিতকুমার দাসকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, বিচার বিভাগ এবং পর্যটন বিভাগ। তাঁর হাত থেকে নেওয়া হয়েছে খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ এবং সাধারণ প্ৰশাসন দফতর।
শরিক অগপ সভাপতি তথা বোকাখাতের বিধায়ক অতুল বরার হাতে কৃষি, আবগারি এবং সীমান্ত সুরক্ষা ও উন্নয়ন দফতর। তাঁর হাত থেকে নেওয়া হয়েছে পশুপালন দফতর। কেশব মহন্ত (শরিক অগপর কার্যনির্বাহী সভাপতি)-এর হাতে রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্ৰযুক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগ। অন্যতম শরিক দল ইউপিপিএল-এর উৰ্খাওগৌরা ব্ৰহ্মের হাতে হস্ততাঁত, বস্ত্রশিল্প ও রেশম চাষ, মৃত্তিকা সংরক্ষণ এবং সমতল জনজাতি উন্নয়ন (বিটিআর, বড়োল্যান্ড)। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব যাঁদের দেওয়া হয়েছে তাঁরা সিনিয়র মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারিকে বন ও পরিবেশ, অ্যাক্ট-ইস্ট পলিসি বিষয়ক এবং সংসদীয় পরিক্ৰমা বিভাগ। ডা. রণোজ পেগুকে বিদ্যালয় শিক্ষা, উচ্চ শিক্ষা এবং সমতল জনজাতি উন্নয়ন (বিটিআর এলাকার বাইরে)।
অশোক সিংঘলের হাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং জলসেচ। অজন্তা নেওগের দফতর বদল হয়নি। তাঁর হাতে রয়েছে অর্থ, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতর। পীযূষ হাজরিকার হাতেও আগের দফতরগুলি রয়েছে, সেগুলি তথ্য ও জনসংযোগ, জলসম্পদ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন। বিমল বরার হাতে রয়েছে সাংস্কৃতিক বিষয়ক, শিল্প ও বাণিজ্য এবং গণ-উদ্যোগ।
জয়ন্তমল্ল বরুয়ার হাতে রয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর। দক্ষতা বিকাশ ও উদ্যোগ এবং পৰ্যটন দফতর কর্তন করে দেওয়া হয়েছে হাউজিং ও নগরোন্নয়ন। যোগেন মহনের হাত থেকে রাজস্ব বিভাগ কৰ্তন করে দেওয়া হয়েছে পরিবহণ দফতরের দায়িত্ব। তাঁকে দেওয়া হয়েছে পাৰ্বত্য উন্নয়ন, সমবায়, জনজাতি বিশ্বাস দফতর।
নন্দিতা গারলোসার হাতে রয়েছে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতর। বিদ্যুৎ, কো-অপারেশন, খনি ও খনিজাত সম্পদ কৰ্তন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং পূর্ত (বিল্ডিং ও জাতীয় সড়ক)।
এদিকে রাজ্যবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা মনে করিয়ে দিয়ে সকল মন্ত্রীকে নিজের নিজের দফতরের কাজকর্ম সুচারুরূপে সম্পাদন করার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা।