পঙ্কজকুমার দেব, হাফলং: অসমের হাফলং সিভিল হাসপাতাল এমনিতেই স্বচ্ছ এবং সুন্দর পরিবেশের মধ্যে রয়েছে। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আর তাই বিগত কয়েক বছর যাবৎ নিয়মিত ভাবেই এই চিকিৎসালয় স্বচ্ছতার পুরস্কার আদায়ে এগিয়ে রয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে প্রথম পুরস্কার পাওয়ার পর এবার ফের রাজ্যিক পর্যায়ে শীর্ষে শৈল শহর হাফলঙের জেলা হাসপাতাল।
তবে বিগত দুই বছরের কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও হাফলং সিভিল হাসপাতালে কোভিড রোগীর চিকিৎসা ছাড়া কোভিড পরীক্ষা এবং অহর্নিশ কোভিড ইস্যুতে থাকতে হয়েছে। কিন্তু এরপরও স্বচ্ছতার দিক নিয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের আপসে যায়নি। যার জন্য গত বছর তৃতীয় স্থানে ছিল।তবে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের কায়াকল্পে শীর্ষে পাহাড়।কায়াকল্প প্রকল্পের অধীনে অসমের ৩৩টি জেলা হাসপাতালের মধ্যে স্বচ্ছতায় শীর্ষে রয়েছে হাফলং সিভিল হাসপাতাল।
সরকারের তরফে এত বড় প্রাপ্তির জন্য হাসপাতালের সর্বস্তরের চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী তথা সাফাই কর্মীদের কৃতিত্ব দেন হাসপাতাল সুপার ডা: কল্পনা কেম্প্রাই। কেম্প্রাই বলেন সবার যৌথ প্রচেষ্টায় এই পাওনা। তিনি এরজন্য ডিমা হাসাও স্বশাসিত পরিষদ কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।উল্লেখ্য, হাফলং সিভিল হাসপাতাল ২০১৭ সালে প্রথমবার স্বচ্ছতার জন্য কায়াকল্পের অধীনে প্রথম পুরস্কার আদায়ে সক্ষম হয়েছিল। এরপরও এই জয়যাত্রা অব্যাহত ছিল। ২০২০ সালে কোভিডের প্রথম ঢেউ দেশজুড়ে আছড়ে পড়ার সময় স্বচ্ছতায় দ্বিতীয় এবং অনুরূপ ২০২১ সালে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আতঙ্কের মধ্যে তৃতীয় পুরস্কার আসে। এবার অবশ্য স্বচ্ছতায় শীর্ষে অর্থাৎ রাজ্যের মধ্যে স্বচ্ছতায় প্রথম হাফলং সিভিল হাসপাতাল।
এরজন্য সরকারের তরফে নগদ পঞ্চাশ লক্ষ ছাড়া শংসাপত্র দেওয়া হবে। জেলা পর্যায়েও একাধিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে অনুরূপ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। হাফলং সিভিল হাসপাতালের অ্যাডমিনিষ্ট্রেটর নয়ণজ্যোতি গোস্বামী এই প্রতিবেদকের সঙ্গে বার্তালাপে জানান যে এই প্রাপ্তি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। এর কর্তৃত্ব চিকিৎসালয়ের সর্বস্তরের কর্মীদের উপর যাওয়ার পাশাপাশি ডিমা হাসাও স্বশাসিত পরিষদের সিইএম দেবোলাল গর্লোসা, স্বাস্থ্য বিভাগের ইএম স্যামুয়াল চাংসান এবং পরিষদের প্রধান সচিবকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হবে। কারণ যে কোনো পরিস্থিতিতে স্বশাসিত সবধরনের সহযোগ করেছে।