মণিপুরে অসম রাইফেলসের কনভয়ে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। ঘটনায় সেনার এক কম্যান্ডিং অফিসার সহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্নেলের পরিবারও ছিল সেই কনভয়ে। জঙ্গি হামলায় তাঁদেরও প্রাণ গেছে বলে খবর। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মণিপুরের কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে। শনিবার দুপুরে মণিপুরের চুরাচন্দ্রপুরে ৪৬ অসম রাইফেলসের কনভয়ে জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেনা অফিসারের গাড়িতে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। ঝাঁঝরা হয়ে যান কর্নেল। তাঁর স্ত্রী ও ছেলেও ছিলেন সেই গাড়িতে। হামলায় তাঁদেরও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। নিহত কম্যান্ডিং অফিসারের নাম কর্নেল বিপ্লব ত্রিপাঠী। হামলায় এখনও অবধি ছ’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, অসম রাইফেলসের কর্নেল বিপ্লব ত্রিপাঠি মায়ানমার সীমান্ত থেকে একটি কনভয়ে ফিরছিলেন। সেই কনভয়ে কুইক রেসপন্স টিমের অফিসার সহ অন্যান্য সেনা জওয়ানরাও ছিলেন। চুরাচন্দ্রপুর এলাকায় আচমকাই কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। যদিও ঘটনার বিষয়ে সেনার তরফে এখনও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
মণিপুর এবং সন্নিহিত এলাকায় বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপদ্রব নতুন নয়। বিশেষত এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠীর নেতৃত্বে কেসিপি, কেওয়াইকেএল, ‘প্রেপাক’, পিএলএ এবং ইউএনএলএফ-এর মতো সংগঠনগুলি মহাজোট হিসাবে কাজ করে। নাগাল্যান্ড ও মণিপুরের, এবং উপত্যকা ও পার্বত্য অঞ্চলের স্বতন্ত্র ও পরস্পরবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি বহুদিন থেকেই মাথা চাড়া দিয়েছে। নাগাল্যান্ড-মণিপুরের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি মায়ানমারের সীমান্তবর্তী স্বশাসিত প্রদেশগুলিকে ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে। এর আগেও বহুবার মণিপুরে অসম রাইফেলসের কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এদিনে হামলাকে ন্য়ক্কারজনক বলেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং। তিনি বলেছেন, কাপুরুষের মতো সেনা অফিসারদের কনভয়ে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। কম্যান্ডিং অফিসারের পরিবারকেও ছাড়েনি। সেনা ও রাজ্য পুলিশের যৌথ বাহিনী জঙ্গি দমন অভিযানে নেমেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গোপন ঘাঁটি থেকে জঙ্গিদের বের করে তাদের নিকেশ করা হবে। সূত্র: দ্য ওয়াল ব্যুরো