দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসভুক্ত (আসিয়ান) দেশের নাগরিকদের মধ্যে জাপানের প্রতি সমর্থন কমছে।
গতকাল বুধবার জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে। অনলাইন ও সরাসরি জরিপটি চালানো হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে কোন দেশকে তাঁরা গণ্য করেন, সেই প্রশ্ন অংশগ্রহণকারীদের কাছে রাখা হয়েছিল। জরিপে অংশ নেওয়া ৪৮ শতাংশ বা অর্ধেকের কাছাকাছি মানুষ নিজেদের পছন্দের উত্তর হিসেবে চীনকে বেছে নিয়েছেন। অন্যদিকে জাপানকে বেছে নিয়েছেন ৪৩ শতাংশ মানুষ।
এবার প্রথমবারের মতো আসিয়ান অঞ্চলে চালানো জরিপে চীনকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বেছে নেওয়া হলো। ২০১৯ সালে চালানো জরিপে জাপানের অবস্থান ছিল ১ নম্বরে। তখন ৫১ শতাংশ উত্তরদাতা গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে জাপানকে বেছে নিয়েছিলেন। তিন বছরের ব্যবধানে জাপানের প্রতি সমর্থন ৮ শতাংশ কমে গেছে।
জাপানের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম বলছে, করোনা মহামারিতে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে বেইজিং বিনা মূল্যে টিকা সরবরাহ করেছিল। চীনের প্রতি জনসমর্থন বাড়ার এটি একটি কারণ হতে পারে। এ ছাড়া আসিয়ানের কয়েকটি দেশের সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগরের ছোট কয়েকটি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছে চীনের। তা সত্ত্বেও অবকাঠামো নির্মাণসহ বেশ কিছু খাতে চীন ওই দেশগুলোতে উদারভাবে আর্থিক সহায়তা করছে। এটি সাধারণ জনগণের মধ্যে চীন সম্পর্কে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হংকংভিত্তিক একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে জরিপের দায়িত্ব দিয়েছিল। জরিপে মিয়ানমার ছাড়া আসিয়ানের অন্য ৯টি সদস্য দেশের ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ২ হাজার ৭০০ জনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল।