বাংলাদেশ ডেস্ক: বাংলাদেশে চলছে ইউপি নির্বাচন, চলছে সহিংসতা। আর এই সহিংসতায় বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। গত ৫ মাসে নির্বাচনী সংঘাত ও হানাহানিতে সারা দেশে নিহত হয়েছেন ৯৫ জন। সর্বশেষ শনিবার সকালে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর পিংনা ইউনিয়নে দুই সদস্য পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
একইদিন ঠাকুরগাঁওয়ে এক প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় চার সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আর চুয়াডাঙ্গা ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগ ও ‘বিদ্রোহী’প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ২৪ জন আহত হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নবগঠিত সেনুয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলায় চার সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাদের ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বেলা তিনটার দিকে ওই ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত চার সাংবাদিক হলেন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ইনডিপেনডেন্টের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি তানভীর হাসান, নিউজ বাংলার জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিং বিডির জেলা প্রতিনিধি মাইনুদ্দিন তালুকদার ও ঢাকা মেইলের জেলা প্রতিনিধি জাহিদ হাসান।
শুক্রবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি হামলায় নয়জন আহত হন। সংঘর্ষে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস এবং নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার আমিলাইষ ইউপি নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পূর্ব আমিলাইষ চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে। এই দুই ধাপে যথাক্রমে ৩০ ও ২৬ জন নিহত হয়েছেন। প্রথম ধাপে দুই ভাগে নির্বাচন হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগের নির্বাচন হয়েছে গত সেপ্টেম্বর মাসে। মূলত তখন থেকেই সারা দেশে নির্বাচন ঘিরে সংঘাতময় পরিস্থিতি দেখা দেয়। প্রথম ধাপে ৫ জন, চতুর্থ ধাপে ১০, পঞ্চম ধাপে ২৩ ও ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচন ঘিরে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।