ইউরোপের ট্যুরিজমের সেরা গন্তব্য হিসেবে পর্তুগাল নির্বাচিত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ড-২০২০ সংস্করণে সম্প্রতি ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ টানা চতুর্থবারের মতো ইউরোপের সেরা গন্তব্য হিসেবে দেশটি নির্বাচিত হয়।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ড ট্যুরিজমের অস্কার হিসেবে পরিচিত। ট্যুরিজম সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য এ পুরস্কার প্রদান করা হয় জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে; তবে এবার করোনা মহামারির কারণে ভার্চুয়াল এক সভায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
চব্বিশটি ক্যাটাগরিতে ২০২০ সালে পর্তুগাল এ পুরস্কার অর্জন করে। রাজধানী লিসবন ইউরোপের প্রধান সেরা প্রমোদতরী (ক্রুজ) গন্তব্য এবং ইউরোপের প্রধান (ক্রুজ) প্রমোদতরী বন্দর, পর্তুগালের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর পর্তু ইউরোপের প্রধান বিরতির শহর (সিটি ব্রেক), পর্যটন নগরী আলগার্ভ আবারও ইউরোপের প্রধান সমুদ্র সৈকত গন্তব্য এবং পর্তুগালের সাগরকন্যা আছোরেস দ্বীপ প্রধান অ্যাডভেঞ্চারমূলক ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
পর্তুগালের ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর শহর মাদেইরা দ্বীপ প্রধান আকর্ষণীয় দ্বীপ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়া পর্তুগালের পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স টাপ এয়ার পর্তুগাল, লাক্সারি, লাইফ স্টাইল ডিজাইন ইত্যাদির দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট, ইকোপার্ক ইত্যাদি বিভিন্ন সর্বমোট ২৪টি মানদণ্ডে ২০২০ সালের সেরা গন্তব্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
পর্তুগালের ট্যুরিজম বোর্ডের স্টেট সেক্রেটারি রিতা মার্কেশ বলেছেন, এই কঠিন বছরে এ ধরনের একটা পুরস্কার সত্যিই আমাদের জন্য গৌরবের।
উল্লেখ্য, পর্তুগাল গত ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভ্রমণ (পর্যটন) গন্তব্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছে।
ইতোমধ্যে ইউরোপের শ্রেষ্ঠ ভ্রমণ (পর্যটন) গন্তব্য হিসেবে পর্তুগাল ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে, যা বিগত কয়েক বছরে পর্তুগালের পর্যটন ব্যবসায় অনেক বেশি উন্নয়ন ঘটেছে এবং বর্তমানে স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে তা অব্যাহত থাকবে।
পর্তুগালে অধিকাংশ প্রবাসী বাংলাদেশি পর্যটন ব্যবসায় বা এ সংক্রান্ত কাজের সাথে জড়িত বলতে গেলে প্রায় ৯০ শতাংশ। সুতরাং এ খবরটি বিশ্বের পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে এবং প্রবাসীরা করোনা মহামারি সৃষ্ট ক্ষতি আগামী বছরে নতুনভাবে নিজেদের তৈরি করে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন।