ক্রীড়া প্রতিবেদক: ডারবানে শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে আরো ২৬৩ রান করতে হবে। ২৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে অতিথিরা ১১ রান তুলতেই হারিয়েছে ৩ উইকেট।
বাংলাদেশের জন্য পঞ্চম দিনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে বাংলাদেশ জয়ের আশা ছাড়ছে না। পঞ্চমদিন পুরোটা সময় ব্যাটিং করে জয় পেতে চায় মুমিনুলের দল। এমন কথা বলেছেন, দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
দলের প্রতিনিধি হয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলনে এসে খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘জানি কাজটা কঠিন। কাল জিততে হলে ২৬৩ রান করতে হবে। কিন্তু ড্র করতে হলেও পুরো ৯০ ওভার ব্যাট করতে হবে। আমি মনে করি সারাদিন যদি আমরা ব্যাটিং করতে পারি অবশ্যই ম্যাচ জেতার সুযোগ থাকবে।’
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান জয় সাজঘরে ফিরেছেন। মুমিনুল ও সাদমান আবারো হতাশ করেছেন। ক্রিজে আছেন শান্ত ও মুশফিক। তাদের দিকে তাকিয়ে খালেদ মাহমুদ। সঙ্গে ব্যাটিংয়ের অপেক্ষায় থাকা লিটন, ইয়াসির ও মিরাজের থেকে বড় কিছুর প্রত্যাশা করছেন তিনি।
তার ভাষ্য,‘প্রথম কথা হচ্ছে কাল সকালে কেমনভাবে শুরু করি। এখনো বেঞ্চে ভালো তিনজন খেলোয়াড় আছে। মুশফিক-শান্ত উইকেটে আছে। এরপরে লিটন, ইয়াসির ও মিরাজ আছে। এখনো আমাদের সুযোগ আছে। আমি জানি কন্ডিশন কঠিন, বল টার্ন করছে, নিচু হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করব। এখনো আমরা জেতার আশা ছাড়ছি না।’
বাংলাদেশের নিজেদের রেকর্ড অবশ্য খুব ভালো নয়। চতুর্থ ইনিংসে ৩৩ ম্যাচে জিতেছে মাত্র ৪টিতে। হেরেছে ২৪ ম্যাচ। ড্র করেছে ৫টি। ২০০৯ সালে সর্বোচ্চ ২১৭ রান করে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিপক্ষে। কলম্বোতে শততম টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল ১৯১ রান তাড়া করে। এছাড়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০১ রান এবং নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ৪২ রান করে জিতেছিল।
এবারের লক্ষ্যটা পাহাড়সম। নিউ জিল্যান্ডের পর দক্ষিণ আফ্রিকাতেও কি টেস্ট জিততে পারবে বাংলাদেশ? অতিথিরা অনুপ্রেরণা পাচ্ছে প্রথম ইনিংসে জয়ের ব্যাটিংয়ে।
‘আমার মনে হয় জয়ের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং পুরো দলের জন্যই অনুপ্রেরণার ব্যাপার। একটা ছেলে নতুন এসে এরকম ব্যাট করেছে। মুশফিক আমাদের সবচেয়ে সিনিয়র, সবচেয়ে অভিজ্ঞ। তার থেকে আমাদের প্রত্যাশা অবশ্যই বেশি থাকবে। শান্ত আছে উইকেটে। যেটা বলছিলাম লিটন দাস, রাব্বি আছে। মিরাজেরও সেঞ্চুরি আছে টেস্ট ম্যাচে। ’
‘আমরা আশাবাদী এখনো যদি ধৈর্য্য নিয়ে ব্যাট করতে পারি, সময় নিয়ে ব্যাট করি তাহলে এই ম্যাচে আমাদেরও জেতা সম্ভব। এখান থেকে ড্র করার সুযোগ কম।’ – বলেছেন খালেদ মাহমুদ।