অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে ইসরোর (isro) GISAT-1 উপগ্রহের উত্ক্ষেপণ সঠিক হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর ত্রুটি ধরা পড়ে। যার জেরে কক্ষপথে পৌঁছনোর আগেই তা ভেঙে পড়ে। যা ইসরোর গবেষণার ক্ষেত্রে একটা ধাক্কা। ইসরো জানিয়েছে, রকেট প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে সঠিক ভাবেই কাজ করেছে। পরে ক্রায়োজেনিক স্টেজে ত্রুটি ধরা পড়ে।
সকালেই উত্ক্ষেপণ
পরিকল্পনা মতো এদিন ভোর ৫.৪৩-এ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে উপগ্রহের উত্ক্ষেপণ সম্পন্ন হয়। ইসরোরা তরফে জানানো হয়েছে উত্ক্ষেপণের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ ভালভাবেই সম্পন্ন হয়। GSLV-f10 EOS-03-এর মিশনের অংশ হিসেবেই এই উপগ্রহটিকে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছিল।
ক্রায়োজেনিক স্টেজে ত্রুটি
পরে ইসরোরার তরফে জানানো হয়েছে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ত্রায়োজেনিক আপার স্টেজে গণ্ডগোল দেখা দেয়। ফলে উপগ্রহটি কক্ষপথে স্থাপনের আগেই তা ভেঙে পড়ে। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালন শুরুর আগে যা দেশের কাছে ধাক্কা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার সকালে ২৬ ঘন্টার কাউন্টডাউন শেষে ৫১.৭০ মিটার লম্বা রকেটের সাহায্যে উপগ্রহটিকে পাঠানো হয়। শ্রীহরিকোটার দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে ইটিকে উত্ক্ষেপণ করা হয়। উত্ক্ষেপণের ১২ মিনিট পরে দ্বিতীয় ধাপ সফলতার সঙ্গে পেরিয়ে যাওয়ার পরে এটিকে তৃতীয় ধাপে ক্রায়োজেনিক অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিভান জানিয়েছেন, ইসরোর এই অভিযান সফল হয়নি। ক্রায়োজেনিক স্টে ত্রুটি ধরা পড়েছে। ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন থেকে পারফরমেন্স ডেটা পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী ইসরো এবার তাদের উপগ্রহে ব্যবহৃত ফায়ারিং ক্যাপসুলে কিছু পরিবর্তন করে। ইসরোর তরফে বলা হয়েছিল এবার ৪ মিটার ব্যাস পরিমাপের একটি ওগিভ আকৃতির পেলোড পাঠায়।
ভারতের নজরদারি উপগ্রহ
মহাকাশ থেকে নজরদারি চালানোর জন্য এই উপগ্রহটিকে পাঠানো হচ্ছিল। বিশেষ করে ভয়াবহ বন্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর আগে থেকে পাওয়ার জন্যই এই নজরদারি উপগ্রহ। কৃষি, বন, মেঘ, বরফ এবং হিমবাহ নিয়ে তথ্য পাঠানোর কথা ছিল এই উপগ্রহের। এই উপগ্রহে ছিল ৬ টি ব্যান্ডের অনেকগুলি ইমেজিং সেন্সর। ঠিক ছিল ২৪ ঘন্টায় অন্তত ৪ বার তার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার কথা ছিল।
ইসরোর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের পর থেকে পরপর তাদের ১৪ টি উত্ক্ষেপণ সফল হয়েছে। আর ২০১৭ সালের পরে এটাই ইসরোর প্রথম ব্যর্থতা।