।। মাহবুবা নাজরিনা জেবিন।।
সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় নতুন বছর ২০২৩ কে স্বাগত জানিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে আহবান জানিয়েছি মানুষের মন থেকে ঘৃণা, হিংসা, বিদ্বেষ দূর করে দিতে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের মনে হিংসা যেন মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
সম্প্রতি, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের কাল্পনিক মামলায় তারেক রহমান ও ডাক্তার জুবাইদা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সরকারের আজ্ঞাবাহী আদালত। শুধুমাত্র হয়রানী করার জন্যই দুদকের দায়েরকৃত এই কাল্পনিক মিথ্যা মামলা এবং এই সাজানো রায় দেয়া হয়েছে।
সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, তারেক রহমান এবং ডা. জুবাইদা রহমানের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই এমন কিছু সম্পদের সাথে তাদের নাম জড়িয়ে, কাল্পনিক মালিক বানিয়ে এই মামলা দেয়া হয়েছে। ডা. জুবাইদা রহমানের কর পরিশোধ করা সম্পদ নিয়েও নাটকের স্ক্রিপ্ট সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে দুদক।
প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত মইনুল রোডের বাড়িটিকে বুলডোজার দিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে সেখানে কমপ্লেক্স বানানো হয়েছে। আবার সেই ঠিকানায় চিঠি পাঠানোর মতো তামাশা করা হয়েছে দুদকের পক্ষ থেকে।
ডা. জুবাইদা রহমান যে স্বপরিবারে লন্ডনে বসবাস করছেন এটা কারও অজানা নয় এবং তাঁরা কোন গোপন স্থানে বসবাস করেননা। তাঁদের পোস্টাল ঠিকানা পাওয়ার জন্য রকেট সায়েন্সের প্রয়োজন নেই। আর দুদক কি এখনো ই-মেইল ব্যবহার করেনা? ডা. জুবাইদা রহমান এর নামে চিঠি কেন মইনুল রোডের বাসার ঠিকানায় প্রেরণ করা হল? কি কারণে ই-মেইল করা হলোনা?
একজন রাজনীতিবিদ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে তারেক রহমান রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিবেন ও দলের নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত করবেন এটাই স্বাভাবিক। এজন্য তাঁর পরিবার সরকারের রোষানলের শিকার হতে পারেনা।
কিছু হলেই সরকার বিরোধীদলের নেতা কর্মীদের পরিবারকে হামলা মামলা করে হয়রানি করে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে পরিবারকে ভিকটিম করার এই অপসংস্কৃতি থেকে কবে আমরা বের হতে পারবো।
লেখক স্পেশাল কন্ট্রিবিউটর, দ্যা গ্রেট বেঙ্গল টুডে