উমপুনের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করতে নিজের দলের অন্দরে শক্ত হাতে রাশ ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর নজর প্রশাসনিক আধিকারিকদের ওপর। রাজ্যের ৩৪৪ জন বিডিও, ৬৬ জন এসডিও ও ৬৯ জন এডিএম-এর ওপর সরাসরি নজর রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি আমফানের ক্ষতিপূরণ বিলি নিয়ে শাসকদলের নেতাকর্মীর মতোই প্রশাসনিক আধিকারিকদের দিকেও আঙুল উঠেছে। সেই অভিযোগের কথা নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছয়। তাই এবার জেলা প্রশাসনের সব স্তরের কর্তার কাজের মূল্যায়ন করবেন বলে ঠিক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, উমপুনে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২২ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার আবেদন যোগ্য বিবেচিত হয়। ইতিমধ্যে ১৪ লক্ষ ৮২ হাজার ক্ষতিগ্রস্তের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে। এজন্য খরচ হয়েছে ১ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা।যদিও এই পর্বে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে।
একাধিক ভুয়া আবেদন ধরা পড়ে। প্রকৃতরা ক্ষতিপূরণ পাননি বলে ক্ষোভ তৈরি হয়। সেই কারণে আবেদন করেও যাঁরা উমপুনে ক্ষতিপূরণ পাননি তাঁদেরকে দ্বিতীয়বার আবেদনের সুযোগ দিয়েছে রাজ্য সরকার। গত ৬ ও ৭ আগস্ট স্থানীয় জেলাশাসকের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনা, এই ছয় জেলা মিলিয়ে জমা পড়েছে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার আবেদন।
ঝাড়াই-বাছাই করে আজ, ১৪ অগস্ট আবেদনকারীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে জেলাশাসকের দফতরে বিডিও এবং পুরসভা কার্যালয়ে। ১৯ অগস্ট এর চূড়ান্ত তালিকা দেওয়া হবে ‘এগিয়ে বাংলা’ ওয়েবসাইটে। তাই আবেদনকারী বাছাইয়ের কাজটা যাতে সঠিকভাবে হয় তার জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাবধান করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।