চীনের সঙ্গে সীমান্তে সংঘাতের মধ্যেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালের একের পর এক ভারত বিরোধী পদক্ষেপ। এতেই নড়েচড়ে বসছে দিল্লী। তবে এতে একটুও ঘাবড়াইনি নেপাল। ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে!
এবার বিহার সরকারকে সীমান্তে বাঁধ নির্মাণের কাজে বাধা দিয়ে নেপাল ওই অঞ্চল নিজেদের দাবি করছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রকৌশলী উমা নাথ রাম বলেন, প্রায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে বন্যার সৃষ্টি করে এবং প্রতি বছর বাঁধটি মেরামত করা হয়। রাম দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, “আমরা এটিকে আরও শক্তিশালী করতে এবং এর উচ্চতা ৩.৬ কিমি বরাবর কাজটি শেষ করেছি। “তবে নেপাল থেকে আসা কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মীরা আমাদের আর কোনও পদক্ষেপ নিতে বাধা দিয়েছেন।”
রাম বলেন, নেপালের কর্মকর্তারা ৩.১ কিলোমিটার প্রসারিত কাজ শেষ হওয়ার পরেই আপত্তি শুরু করেছিলেন। তবুও, নেপালিরা এসে প্রকল্পটি বন্ধ করার আগে তিনি এবং তাঁর দল একরকম আরও ৫০০ মিটার কাজ শেষ করতে পেরেছিলেন।
জানা গেছে, নেপালের পার্লামেন্টে ভারত নিয়ন্ত্রিত ভূমিসহ দেশের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র অনুমোদনের দু’দিন পরই এ ঘটনার বহিঃপ্রকাশ। অনুমোদিত ওই নতুন মানচিত্রে ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরার অঞ্চলগুলোকে নেপালি ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এই ঘটনায় ভারত বলছে, এটি ঐতিহাসিক প্রমাণ ও ঘটনাবলি সমর্থিত নয়। তাই নেপালের এই দাবি তারা প্রত্যাখ্যান করেছে। বিহারের সাথে নেপালের ৭২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। ভারতের পানি সম্পদ বিভাগ (ডব্লিআরডি) কর্তৃপক্ষ বিহারের পূর্ব চাম্পারান জেলার লাল বকেয় নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণে নেপালের বাধা দেওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে। সূত্র : দ্যা টেলিগ্রাফ