কক্সবাজার ও সৌদি আরব থেকে উখিয়ার কুতুপালং ও মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত আসা দুই শিশুসহ পাঁচ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছেন পুলিশ সদস্যরা। পরে তাঁদের উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ও মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক নাঈমুল হক।
আটক রোহিঙ্গারা হলেন মিয়ানমারের আকিযাব (বর্তমান নাম সিটুয়ে) এলাকার মৃত হোসেন আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস (৩০), তাঁর স্ত্রী হুরায়রা বেগম (২১), মিয়ানমারের পুইমালির বাসিন্দা আজগর আলীর ছেলে মোহাম্মদ জাহিদ (২৫) এবং দুই শিশু (৩ বছর ও ৯ মাস বয়স)।
এপিবিএন অধিনায়ক নাঈমুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে উখিয়ার কুতুপালং ও মধুরছড়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান চালান। এ সময় কক্সবাজার ও সৌদি আরবফেরত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
আটক রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে এপিবিএন কর্মকর্তা বলেন, মোহাম্মদ ইউনুস ২০০১ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসার পথে নাফ নদী পার হওয়ার সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা হারিয়ে যান। পরে তিনি কক্সবাজার সদর থানার ইসলামপুরের পাহাড়তলী এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে মাছ ধরার বোটে কাজ করে জীবন যাপন করে আসছিলেন। পরে রোহিঙ্গা নারী হুমায়রা বেগমকে বিয়ে করেন তিনি। কক্সবাজারে অভাব-অনটনের কারণে তাঁর স্ত্রী-সন্তানসহ গত ২২ আগস্ট কুতুপালং-৪ নম্বর ক্যাম্পে শাশুড়ির ঘরে চলে আসেন। সেখান থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে।
অন্যদিকে মোহাম্মদ জাহিদ ২০১১ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে চট্রগ্রামের চকবাজার এলাকায় ১০ দিন বসবাসের পর সৌদি আরবে থাকা তাঁর মামা রফিকের মাধ্যমে ভিসা ও দালালের সহযোগিতায় পাসপোর্ট সংগ্রহ করে সৌদি আরবে চলে যান। তিন মাস পর ইকামা না থাকায় সৌদি আরব পুলিশ তাঁকে আটক করে জেলে পাঠায়। দুই মাস আগে জেল থেকে বের হলে পাসপোর্ট রেখে সৌদি সরকার তাঁকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন। এরপর জাহিদ মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাঁর চাচা আবুল হাশেমের ঘরে আশ্রয় নেন। পরে খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা তাঁকে আটক করেন।
নাঈমুল হক বলেন, সংশ্লিষ্ট শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জকে (সিআইসি) অবহিত করা হলে তিনি পাঁচজনকে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানোর নির্দেশনা দেন। সেই অনুযায়ী বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে তাঁদের ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।