- আক্ষেপ করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষের
- রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ভাষিক সংখ্যালঘু পর্ষদের রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের কী মানে, প্রশ্ন
শিল্প ও সংস্কৃতি ডেস্ক: অসমের বাঙালিদের যে চূড়ান্ত অবহেলা করা হচ্ছে, তার নগ্ন রূপ আরও একবার ফুটে উঠেছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে। কবিগুরুর ১৬২-তম জন্মদিনে রাজ্যের রাজধানীর আমবাড়িতে অবহেলিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রাজধানীর বুকে বড়ই দন্যদশা সরকার পরিচালিত রবীন্দ্র ভবনের, অবহেলিত ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী রবিঠাকুর।
আজ মঙ্গলবার সকালে রবীন্দ্র ভবনের সামনে কবিগুরুর মর্মর মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে এভাবেই খেদ ব্যক্ত করেছেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। তিনি বলেন, কবির জন্মদিনে যখন দেশ জুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে রবীন্দ্রজয়ন্তী, তখন রাজ্যের বিজেপি সরকারের এভাবে এই মনীষীকে অবহেলা করা উচিত হযনি, ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন বিধায়ক।
আজ রবিঠাকুরের জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে গিয়েছিলেন বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। আর সেখানে গিয়ে তাঁর উপলব্ধি, রাজ্য সরকারের কাছে জন্মদিনে চরমভাবে অবহেলিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি অবশ্য কবিগুরুকে নিজের মতো করে পুষ্পাঞ্জলি ও মাল্যর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
অসম সরকারের সাংস্কৃতিক অধিকরণ পরিচালিত জনমনবশূন্য আবর্জনা পরিবেষ্টিত রবীন্দ্র ভবন প্রাঙ্গণে রবিঠাকুরের আবক্ষ মূর্তির চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মাটি ও বালির স্তূপ। বিশ্ববরণ্যে কবির জন্মদিন উপলক্ষ্যে ভবন কর্তৃপক্ষ যথাযোগ্য মর্যাদায় জন্মজয়ন্তী পালন করা দূরঅস্ত্, শ্রদ্ধা জানানোর স্থানটিও পরিষ্কার করে রাখার কথা চিন্তা করেনি।
আক্ষেপের সঙ্গে উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ভাষিক সংখ্যালঘু পর্ষদ রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করছে। গুয়াহাটির আইটিএ সেন্টারে রবীন্দ্র সংগীত ও নৃত্যের বিশাল আয়োজন করেছে। অথচ রবীন্দ্র ভবনে প্রতিষ্ঠিত কবিগুরুর মূর্তিকে এভাবে অবহেলা করে ভাষিক সংখ্যালঘু পর্ষদ কৰ্তৃক রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের উদ্যোগ কতটা স্বার্থক প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।