- গুন্ডা লেলিয়ে সমাবেশ পন্ড করার চেষ্টা, মানবাধীকার কর্মীদের প্রতিরোধ।
- বিক্ষোভ সমাবেশে প্রবাসীদের ঢল, শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত হাইকমিশন।
লণ্ডন, ৯ জুলাই: ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী সকল করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবিতে মানবাধিকার সংগঠন ‘ইক্যুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনাল (ইআরআই)’ উদ্যোগে ৮ জুলাই যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাও ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ও মানবাধীকার কর্মীরা অংশ নেন।
সোমবার, লণ্ডন সময় দুপুর ১. ৩০ টা থেকেই সাউথ কেনসিংটনের কুইন্সগেটে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঢল নামে। করিডোর চুক্তি মানি না, মানবো না। সকল করিডোর চুক্তি বাতিল করতে হবে। বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। ইত্যাদি শ্লোগানে শ্লোগানে গোটা হাইকমিশন এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। এসময় হাইকমিশন গুন্ডা লেলিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ পন্ড করার চেষ্টা করলে প্রবাসী মানবাধীকার কর্মীরা একযোগে প্রতিরোধ করেন। প্রবাসীদের প্রতিরোধের মুখে তারা পালিয়ে যান।
ইআরআইয়ের সাধারণ সম্পাদক নৌশিন মোস্তারী মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের যৌথ সঞ্চালনায় উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহসভাপতি মো: রোকতা হাসান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘আমার দেশ ইউকে’র নির্বাহী সম্পাদক অলিউল্লাহ নোমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘অখণ্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ এর আহবায়ক ও ‘দ্যা গ্রেট বেঙ্গল টুডে’ এর প্রধান সম্পাদক হাসনাত আরিয়ান খান।
প্রধান অতিথি ‘আমার দেশ ইউকে’র নির্বাহী সম্পাদক অলিউল্লাহ নোমান বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বাংলাদেশের অনেক অমীমাংসিত বিষয় সমাধান না করে নতুন করে এই চুক্তি করে মূলত বাংলাদেশকে ভারতের হাতে দিয়েছেন। তিনি ভারতের সহায়তায় অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলে রেখে ভারতকে সব লিখে দিচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি শেখ হাসিনা ভারত সফরে দেশটির সাথে ২টি নতুন চুক্তি, ৫টি নতুন সমঝোতা ও ৩টি চুক্তি নবায়নসহ ১০টি চুক্তি সমঝোতা স্বাক্ষর করেছেন। আমাদের বন্দর, সড়কপথ ভারতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন রেল করিডোর দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ পুরো দেশটাই অলিখিতভাবে ভারতের হাতে দেওয়া হচ্ছে। বিনিময়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন দেশের মানুষের অধিকার হরণ করে। ক্ষমতা ধরে রাখতে ভারতের সহযোগিতায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন তিনি। বিনিময়ে ভারতের কাছে সমর্পণ করা হয়েছে আমাদের সার্বভৌমত্ব। ভারত বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সহজে কম খরচে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করতে পারবে। এই চুক্তিতে বাংলাদেশের কোন যাত্রী কিংবা মালামাল পরিবহন করতে পারবে না। তিনি সরকারকে প্রশ্ন করে বলেন, টানা ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পরেও বাংলাদেশের পক্ষে কেন তিস্তা চুক্তি করতে পারলেন না? এখনো ভারত কেন নির্বিচারে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে? গঙ্গা চুক্তির হিস্যা অনুযায়ী পদ্মা নদীতে ভারত আমাদের কেন পানি দেয় না? ভারত কেন ১৪ বিলিয়ন বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করার জন্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের তালিকা অনুযায়ী পণ্য রপ্তানি করার অনুমতি দেয় না? বিএসএফ এর গুলিতে নিহত ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন হয় না? ট্রানজিট চুক্তিতে বাংলাদেশের লাভ কী? তিনি আরও বলেন, দেশের অস্থিত্ব বিনাসী করিডোর চুক্তি ও ট্রানজিট প্রতিরোধে মানুষকে রাজপথে নামতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এখন ভোটের অধিকার, মানবাধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে আগে ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত হতে হবে। ভারতীয় আধিপত্য থেকে মুক্ত হওয়া ছাড়া দেশে গণতন্ত্র ফিরবে না। জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে দেশের বন্দর, রাস্তা ও রেলপথ অন্য দেশকে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।
বিশেষ অতিথি ‘অখণ্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ এর আহবায়ক ও ‘দ্যা গ্রেট বেঙ্গল টুডে’ এর প্রধান সম্পাদক হাসনাত আরিয়ান খান বলেন, বাংলাদেশের অনৈতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিতে বরাবরই ইমম্যাচিওরড ছিলেন। এখন তিনি আরো বেশি ইমম্যাচিওরড। তিনি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন। ‘র’-এর লোকেরা তাঁর দেখাশোনা করতেন। ভারত সরকার তাঁর পরিবারের খরচ দিতেন। একারণে ১৯৮১ সালে দেশে পা রাখার প্রথম দিন থেকেই তিনি ভারতের সেবাদাসী হিসেবে কাজ করে আসছেন। শেখ হাসিনা নিজ মুখে বলেছেন, ভারতকে যা দিয়েছি, ভারত সারা জীবন মনে রাখবে। দেশের জনগণকে না জানিয়ে ভারতকে দেয়ার অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে? সম্প্রতি করিডোর চুক্তি প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি ভারতের হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে বলেছেন, ট্রানজিট দিলে ক্ষতিটা কী? ইউরোপে কোনো বর্ডার নাই, কিচ্ছু নাই। তারা কি বিক্রি হয়ে গেছে? শেখ হাসিনার এই কথায় বোঝা যায়, ইউরোপ সম্পর্কে তাঁর কোন ধারনা নাই। ইউরোপে ভারতের মত কোন সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসী দেশ নাই। ভারত আমাদের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, আন্দামান, বিহার ও উড়িষ্যা ভোগ-দখল করছে। আমাদের জমিতে আমাদেরকেই তারা কাটা তারের বেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছে। একটা তাবেদার সরকারকে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখে বিগত ১৫ বছরে একে একে একতরফাভাবে তাদের সকল স্বার্থ হাসিল করে নিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলিকে সুকৌশলে পঙ্গু করে দিয়েছে। বাংলাদেশের এই স্বাধীন অংশটাকেও তারা এখন গিলে খেতে চাইছে। স্বাধীন সিকিম, হায়দারাবাদকে তারা দখল করে নিয়েছে। কাস্মীরের জনগণের সাথে তারা বার বার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সত্তর বছরেও সেখানে গণভোট হয়নি, উপরন্তু কাস্মীরের স্পেশাল স্ট্যাটাসও তারা তুলে নিয়েছে। ইউরোপের কোন দেশ কি এমন ন্যক্কারজনক আচরণ করছে? ইউরোপের কোন দেশের বর্ডারে কি কাটা তারের বেড়া আছে? এখানে কি সীমান্ত হত্যা আছে। ফেলানীর মত কেউ কি এখানে গুলিবিদ্ধ লাশ হয়ে কাটা তারে ঝুলছে? তাহলে কার সাথে তিনি কার তুলনা করেন? ইউরোপের এক দেশ আরেক দেশের ভেতর দিয়ে তৃতীয় কোন দেশে যেতে পারে। বাংলাদেশ কি ভারতের ভেতর দিয়ে নেপাল, ভূটান, কিংবা চীনে যেতে পারে? যদি তা না হয় তাহলে তিনি কিভাবে ইউরোপের সাথে বাংলাদেশের তুলনা করেন? ভারত আমাদের মাত্র ৩৫ কিলোমিটার ট্রানজিট দেয় না। আমরা কিভাবে, কার স্বার্থে ভারতকে ৮০০ কিলোমিটার ট্রানজিট দিই? ভারতের রেলওয়েতে শক্তিশালী গোয়েন্দা ইউনিটসহ প্রায় ৮০ হাজার অস্ত্রধারী সদস্য আছে। বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে ভারতের রেললাইন স্থাপিত হলে, এই ৮০ হাজার অস্ত্রধারী ও শক্তিশালী গোয়েন্দাদের বাংলাদেশ কিভাবে সামাল দেবে? তিনি বলেন, ইউরোপের কোন দেশের বর্ডারের সাথে বাংলাদেশ আর ভারত বর্ডারের তুলনা করা যায় না। ইউরোপের এক দেশ অন্য দেশের ব্যাপারে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। ইউরোপের কোন দেশের সরকার দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয় না। নৌ চুক্তির সময় বলা হয়েছিল বছরে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মতো লাভ হবে। কিন্তু পরে কি মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে? হয়নি। একারণে শেখ হাসিনা সরকারের সাথে বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী ভারতের এই অনৈতিক ও অবৈধ চুক্তিগুলো বাংলাদেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। শেখ হাসিনা সরকারের কোনো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার সাংবিধানিক অধিকার নাই। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়। কাজেই জাতীয় র্স্বাথে দেশের বন্দর, রাস্তা ও রেলপথ ভারতকে কিছুতেই ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কৃষি জমি এমনিতেই কমে আসছে। এর ওপর ভারতের ট্রেন চলাচলের জন্য রাস্তা ও অবকাঠামো নির্মাণ করতে গেলে কৃষি জমি আরো কমে যাবে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৮ কোটি। কিছুদিন পর ৩০ কোটি হবে, ৪০ কোটি হবে। জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে আগামী ৫০ বছর পর বাংলাদেশের অর্ধেক জমি সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাবে। তখন এই মানুষগুলো কোথায় থাকবে? কী খাবে? এই যে বিভীষিকা, এই বিভীষিকা রোধ করতে হলে ভারতের কাছ থেকে আমাদের টেরিটরিগুলো ফিরিয়ে নিতে হবে। ভারতকে আমাদের টেরিটরিগুলো ফিরিয়ে দিতে হবে। ভারত যেদিন আমাদের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, আন্দামান, বিহার ও উড়িষ্যা আমাদের ফিরিয়ে দিবে একমাত্র সেদিন ভারতকে আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র বলা যাবে। দখলদার ভারতকে কিছুতেই বন্ধুরাষ্ট্র বলা যাবে না। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, গুন্ডা লেলিয়ে প্রবাসীদের বিক্ষোভ সমাবেশ পন্ড করার চেষ্টা করবেন না। কোন লাভ হবে না। আপনি কোন বিশেষ ব্যক্তি, বিশেষ সরকার বা প্রতিবেশি দেশের রাষ্ট্রদূত না। আপনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত; কথাটা ভুলে যাবেন না। আপনি সরকারকে তুষ্ট করতে চান, আপনি পররাষ্ট্র সচিব হতে চান, হয়ে যান। প্রেসিডেন্ট থেকে কেরানি পর্যন্ত চেয়ার যেহেতু আছে, তাই সেগুলোতে কাউকে না কাউকে বসাতেই হয়। বসানোও হয়। সবাই চেয়ারে বসে ধন্য। কিন্তু বসলে চেয়ার ধন্য হবে, এমন কেউ নেই। যদি থাকতো তাহলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ১৩ হাজার বাংলাদেশি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার মত কালো চুক্তি করতে সে আপনার মত অতি উৎসাহী হতো না। প্রবাসীরা সুদুর প্রবাসে মানবেতর জীবন যাপন করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠায়। এই প্রবাসীরা প্রবাসে থাকলে দেশের লাভ ছাড়া কোন ক্ষতি নেই। অথচ আপনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ নিজ স্বার্থে হতভাগ্য প্রবাসীদের বলি দিয়ে এই কালো চুক্তি সম্পাদন করেছেন। আপনাদের এই চুক্তির কারণে কিয়ার স্টারমার বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করার সাহস পেয়েছেন। এতে আমরা যতটা না অপমানিত হয়েছি, কিয়ার স্টারমারের কাছে আপনার লেখা চিঠি পড়ে আমরা তার চেয়ে বেশি অপমানিত হয়েছি। আপনি আপনার চিঠিতে কিয়ার স্টারমারের এই বক্তব্যের নিন্দা জানাননি। ক্ষমা চাওয়ার কথা বলারও সাহস পাননি। এটা খুবই লজ্জার। শেম অন ইউ। আপনারা অবিলম্বে এই কালো চুক্তি বাতিল করুন। ভারতের সঙ্গে সকল অবৈধ চুক্তি বাতিলের দাবিতে দূতাবাসের সামনে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের এই হাইকমিশন ঘেরাও ও বিক্ষোভ সমাবেশের কথা সরকারকে জানিয়ে দিন। বাংলাদেশের আর এক ইঞ্চি ভূমিও আমরা ভারতকে ব্যবহার করতে দিবো না। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ইআরআইয়ের সহসভাপতি মোঃ রোকতা হাসান বলেন, ভারত বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে করে রেলের মাধ্যমে তাদের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে মালামাল ও যাত্রী বহন করবে। এ ট্রেন বাংলাদেশের কোনো মানুষ ব্যবহার করতে পারবে না। এখানে বাংলাদেশের কারো কোনো প্রবেশাধিকার থাকবে না। ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই স্বাধীন দু’টি দেশ। যেকোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ক্ষেত্রে উভয় দেশেরই স্বাধীন মতামত প্রতিফলিত হওয়া উচিত। এখানে একতরফা ভারতের সুবিধা দেয়ার জন্য চুক্তি করা হয়েছে। হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই এই চুক্তি করেছেন। সুতরাং এ চুক্তি বাতিল করতে হবে।
ইআরআইয়ের সাধারণ সম্পাদক নৌশিন মোস্তারী মিয়া বলেন, ভারতকে সর্বপ্রকার সুবিধা প্রদানের বিনিময়ে ভারতের কাছে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ আদায় করতে শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। ম্যান্ডেটবিহীন অবৈধ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির বহির্প্রকাশ। এই সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলেছে। আমাদের সবাইকে এখনই ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে । সেই সাথে সকল দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল করতে হবে ।
ইআইআরএর মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক ও ব্লাগার মোছা: শাকিলা শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গদিতে স্থায়ীভাবে বসে থাকার জন্য নরেদ্র মোদী ও হাসিনা যুগল তাদের ব্যক্তি স্বার্থে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ভারত তার স্বার্থে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে মালামাল, অস্ত্র, গোলাবারদ পরিবহন করে বাংলাদশেকে চীন ও মিয়ানমারের আক্রমণের জায়গা করে দিয়েছে। এই চুক্তির ফলে চীন- মিয়ানমার শক্তির সাথে নতুন করে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবন নাশের আংশকা তৈরি হল। ভারত বাংলাদেশকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূমি, রেললাইন সংস্কার, রেলের সিগনাল ব্যবহারের মূল্যও আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী তারা পরিশোধ করবে না। আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী কোনো দেশের ভূমি ব্যবহার করে কোনো ট্রানজিট নিলে যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়, ভারত তা পরিশোধ করবে না। ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে না। হাসিনা তার গদি টিকিয়ে রাখার জন্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে বিকিয়ে দিচ্ছে। অথচ ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত হত্যা এখনো বন্ধ করে নাই। ভারত সীমান্ত হত্যাকাণ্ড চালিয়ে মানাবাধিকার লঙ্ঘন করছে। তিনি বাংলাদেশ সারকারকে আগে সীমান্ত হত্যা বন্ধের চুক্তি স্বাক্ষর করতে আহবান জানান ও বিতর্কিত করিডোর চুক্তি বাতিল করার আহবান জানান।
উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইআইআরএর সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো: গিয়াস উদ্দিন, মাইনোরিটি রাইটস সেক্রেটারি তাহমিনা আক্তার, মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ রনি, অর্থসম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদুল হাসান, নরউইচ বিএনপি নেতা শেখ আশরাফুজ্জামান, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের জয়েন্ট সেক্রেটারি জয়নাল হোসাইন, বিএনপি নেতা প্রভাষক মোঃ নজরুল ইসলাম, ইআইআর এর জয়েন্ট সেক্রেটারি মোঃ মহিবুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি সেক্রেটারি ইমদাদুর রহমান ফাহিম, প্রচার সম্পাদক শাহীন আহমদ, গুম বিষয়ক সম্পাদক খালেদ আহমেদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি একেএম রুহুল আমিন সরকার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কাজী মো: এমদাদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি তাম্মাম ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুল আলিম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এবাদুর রহমান, মাইনোরিটি রাইটস সম্পাদক আইনুদ্দিন, ইআরআইয়ের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সেক্রেটারি ফায়াজুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ তালিম, সহকারী সম্পদক ফজল আহমদ, জনসংযোগ সম্পাদক মোঃ মুজাক্কির আলী, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, মাইনোরিটি রাইট সেক্রেটারি শাকিল আহমদ তুহিন, ইআরআইয়ের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সেক্রেটারি ফায়াজুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এবাদুর রহমান, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি ইরফানুল আলম নিশান, এক্সিকিউটিভ মেম্বার মোঃ আশরাফুল আলম, সদস্য মো: নাজমুল ইসলাম, সদস্য রেজাউল করিম রাব্বি, সদস্য আহমদ শহীদ তাপাদার, সদস্য তারেক হোসেন, সদস্য আব্দুল মান্নান, ছাত্রদল সদস্য জাহিদুল হাসান, মোঃমিজানুর রহমান, জোমানুল ইসলাম, শিবির নেতা ইমাদুর রহমান ফাহিম, জয়েন্ট সেক্রেটারি ফাহিদুল আলম, জয়েন্ট সেক্রেটারি ও ব্লগার ইয়াস কাউসার, মাইনোরিটি রাইট সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরী, ক্যাম্পেইন সেক্রেটারি আবু জেহাদ, সাংবাদিক শাকিল আহমেদ সোহাগ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ রাব্বানী মিলাদ, সাপোর্ট বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তাকুর রহমান, সাবেক ছাত্রদল নেতা আবু নাসের তানজিম, স্বেচ্ছাসেবক দল ইউকের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোঃ নাসির উদ্দিন, ফাইট ফর রাইটস ইন্টারন্যাশনালের সহসভাপতি আহমেদ আলী, সাবেক সাবেক ছাত্রদল নেতা আলী আশরাফ, যুবদল নেতা মোঃ হাসনাত আল হাবিব, যুবদল নেতা বুরহান উদ্দিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা আলী আশরাফ, সাবেক শিবির নেতা মো: জিল্লুর রহমান সাইমন, সাবেক যুবদল নেতা সদরুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা আবু নাসের তানজিম, ছাত্রদল নেতা মোঃ মোস্তাকুর রহমান, এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি তোফায়েল আহমেদ, সিনিয়র জয়েন্ট সেক্রেটারি মাহমুদ হোসাইন, প্রচার সম্পাদক আবু জেহাদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল জাবির, প্রচার সম্পাদক সৌরভ হোসেন রুমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোরশেদ আহমেদ খান, ইকুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনালের সদস্য মোঃ আশরাফুল আলম, এক্সিকিউটিভ মেম্বার শাহরিয়ার কালাম আজাদ, সাবেক শিবির নেতা ও ইআরআইয়ের গুম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তফুর আহমদ, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেত্রী টিনা বেগম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহমান, সাবেক শিবির নেতা শায়েদ আহমেদ, সাবেক শিবির নেতা আমিনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা লিটন মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ কামাল হোসেন, সাবেক শিবির নেতা মোঃ রাহিদ আলী, লন্ডন মহানগর বিএনপি নেতা আইনউদ্দিন, ছাতক উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক জয়নাল হোসাইন, লন্ডন মহানগর বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান, ছাতক উপজেলা বিএনপি’র সাবেক দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন সুজন, সিলেট মহানগর ছাত্রদল নেতা ফাতিন রহিম নাবিল, জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মুনির আহমদ খান, সাবেক শিবির নেতা নাঈম আহমেদ, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রেজাউল করিম রাব্বি, ইআরআইয়ের সদস্য মো: ছাদিকুর রহমান তারেক, ইআরআইয়ের সদস্য সাবেক ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, ছাত্রদল সদস্য মোহাম্মদ আশিক খান, ছাত্রদল নেতা সৈয়দ গজনফর আলী, ইআরআইয়ের সদস্য মহানগর বিএনপি মোহাম্মদ সাবাজ মিয়া, সাবেক শিবির নেতা মোঃ গিয়াস উদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মোঃ নিজাম উদ্দীন, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ও মানবাধিকার কর্মী ছদরুল ইসলাম লোকমান, সাধারণ সদস্য লন্ডন সিটি যুবদল নেতা ও মানবাধিকার কর্মী আজিজুর রহমান প্রমুখ।
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে মোঃ আবুল কালাম, মাহমুদুল হাসান, মোঃ সিনান সামী, মোঃ ইয়াহইয়া, সাবির আহমেদ, মারুফ আহমেদ, মোঃ শরিফুল ইসলাম, হাসান মোর্শেদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা নিকোলাস মল্লিক, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মোস্তাকুর রহমান, মাসুম আহমেদ, নাহিম আহমেদ, মিসেস জামিলা খানম, মোহাম্মদ মুজিবুর রাহমান, মোস্তফা ইকবাল, মোঃ ফাহাদ হোসাইন, রাকিব আলী, শাহিন আহমেদ, মোঃ কামাল হোসেন, জুনেদ আহমদ, বাবুল তালুকদার, যুবায়েদ হাসান, রায়হান চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম, এম আশরাফ উদ্দীন, দীপা বেগম, মোঃ শাহাদাত হোসাইন, মোহাম্মদ আল আমিন, মোঃ শাহরিয়ার ওয়াহিদ, মোঃ পারভেজ মিয়া সুজা, মেহেদি হাসান ফাহিম, মুনতাসির মুবিন, মোঃ সাহিদুর রহমান, মোঃ পারভেজ মিয়া সুজা, মুনতাসির মুবিন, মীর ইমরান, মো: তানভীর আহমদ, মোঃ জামিল আহমেদ, মোঃ জবলুল আলম বিপুল, মিজানুর রহমান, তানভীর আহমেদ, ইয়াহিয়া আহমেদ, মো: আবু নাসের তানজিম, মো: আশফাকুল ইসলাম ভুঁইয়া, আব্দুল খালেদ ভুঁইয়া, সালমান মিয়া, নাইমুজ্জামান মাহি, মোস্তাক আহমেদ, কারণ বিশ্বাস, মানাতাকা ইস্তিহাদ সৌরভ, মোঃ শাহাদৎ হোসেন, আব্দুল্লাহ আল ইমরান, রাজীব কান্তিশীল, ফরহাদ হোসেন, মাহফুজ আহমেদ, নাজিম আহমদ, মো: শাহাদাত হোসাইন, সোলেমান আহমদ, মোহাম্মদ আল আমিন, মোঃ শাহরিয়ার ওয়াহিদ, জুনেদ আহমদ, মো: জামিল আহমেদ, মো: মুরাদ হোসেন, এস এম শামসুজ্জোহা, মালেক আহমেদ নাজিম, মো: আবুল হাসান, জাফরুল করিম, তারেক মাহমুদ, সাজ্জাদ হোসেন মোহন, মোঃ শরফ উদ্দিন, আব্দুল ওয়াহিদ তালিম, পার্থ বডুয়া, ভুবন দেবনাথ, মোঃ মাজহার আলী, এম এ হাসনাত, আকিবুল হাসান, সৈয়দ মুহিবুর আলী, তাম্মাম ইসলাম, রহিম আহমেদ হাদি, ইয়াহইয়া আহমেদ, মোঃ আবু সুফিয়ান, মোঃ মোতাসিম বিল্লাহ জাজেব, মোঃ শামছুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জনি, মো: মোস্তাফিজুর রহমান, ছয়েফ আহমেদ, আব্দুল আলিম, মোঃ আনোয়ার হোসেন তুহিন, মোহাম্মদ ফাহিদুল আলম, মোঃ দেলোয়ার হোসাইন, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ ইমাদ উজ্জামান, মোঃ আব্দুল মোহাইমিন সোহান, এম এম ইয়াজদিন, মো: রেজান আহমদ, সুফিয়ান আহমদ, মো: সাব্বির আহমদ, মো: মাহবুবুর রহমান তানভীর, শুয়েব আহমেদ, মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জিয়া উদ্দিন চৌধুরী, ওসমান মোঃ শাহজাদা রহমান, মোঃ মাহদীন আল নাহিন, ওয়ালিওর রহমান কারণ, মোঃ আবু সুফিয়ান, মোঃ জোবায়ের তালুকদার, আব্দুল্লাহ হোসেন জাবেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে ইআরআইয়ের সাধারণ সম্পাদক নৌশীন মোস্তারী মিয়া বাংলাদেশ হাইকমিশনের অফিসিয়াল রিপ্রেজেন্টেটিভ এর হাতে সংগঠনের পক্ষে ভারতের সাথে সকল করিডোর চুক্তি বাতিলের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি