করোনার প্রথম, দ্বিতীয় ঢেউ-এ একজন মানুষও কোভিড আক্রান্ত হননি অসমের সিকদামাখা গ্রামে। কারণ? করোনার আভাস পেয়েই সরকারের সমস্ত বিধিনিষেধ আরোপ করার আগে থেকেই, নিজস্ব উদ্যোগে ঘরবন্দি হন গ্রামবাসীরা। চাষের প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হননি কেউ। এমনকি ফাঁকা রাস্তাতেও মাস্কবিহীন দেখা যায়নি কাউকেই। প্রতিটা বাড়ির সামনে রাখা থাকে স্যানিটাইজার। আট থেকে আশি, সকলেই নিজে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করে চলেছেন বলেই করোনা এখনও ছুঁতে পারেনি অসমের এই গ্রামের কাউকে। গোটা গ্রামে রয়েছে ৯০ টি ঘর। মোট ছয়শো মানুষের বসবাস। নরেন্দ্র মোদির ‘স্বচ্ছ ভারত’ উদ্যোগের বহু আগে থেকেই পরিচ্ছন্নতায় সর্বাগ্রে জায়গা করে নিয়েছে এই গ্রাম। নিজেদের উদ্যোগে প্রতিটা জায়গা পরিষ্কার করা শুধু নয়, গোটা গ্রামটিই প্লাস্টিকমুক্ত। এমনকি প্রতিটা বাড়িতে রয়েছে পাকা শৌচালয়।
মেঘালয়ের মাওলেনং ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু হোটেল, রেস্তোরাঁ হওয়ায় পর্যটকদের ভিড় জমতে শুরু করে। তারপরেই জায়গা করে নেয় সিকদামাখা। পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা, আত্মনিয়ন্ত্রণের কারণেই এই মারণ ভাইরাস ছুঁতে পারেনি গ্রামবাসীকে। একটা সময় কুসংস্কারাচ্ছন্ন থাকলেও, আধুনিক বিশ্বে বহু আলো ঝলমলে শহরকে এই যুদ্ধে পিছনে ফেলে দিয়েছে আসামের এই গ্রাম।