করোনার কারণে পর্যটনসহ অর্থনীতির সকল খাতই বিপর্যস্ত। সঙ্কট কাটিয়ে আগের অবস্থায় ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টায় বিশ্বের দেশগুলো। এই অবস্থায় তুরস্কের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে একটি খবর। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসেই তুরস্কে ৫৪ লাখ বিদেশি পর্যটক এসেছে। যা এই দুর্যোগকালীন সময়ে তুরস্কের জন্য বিরাট সংবাদ। সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। খবর আনাদোলু।
সরকারি উপাত্তে দেখা গেছে, কভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ে বিদেশি পর্যটক আগমন ৭৮ শতাংশ কমেছে। গত বছরের একই সময়ে তুরস্কে বিদেশি পর্যটক এসেছিল ২ কোটি ৪৭ লাখ।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বৈশ্বিক লকডাউন ঘোষণায় বেশির ভাগ মানুষকেই ঘরে অবস্থান করতে হচ্ছে, যাতে আক্রান্ত হয়েছে অর্থনীতি। সবচেয়ে বড় ধকল যাচ্ছে পর্যটন, ভ্রমণ ও এভিয়েশন খাতের ওপর।
গত ফেব্রুয়ারির পর জুন নাগাদ পর্যটন মৌসুমের ইতি ঘোষণা করে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। এতে অসংখ্য মেলা ও এক্সপো বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
গত জুন থেকে সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয় এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলো ফের চালু হতে শুরু করে, তবে ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা হয়।
জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে তুরস্কের সবচেয়ে বেশি পর্যটন আকর্ষণকারী স্থান ছিল ইস্তাম্বুল, যেখানে দেশটির মোট পর্যটকের ৫০ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বা ২৭ লাখ পর্যটক এসেছে।
বুলগেরিয়া ও গ্রিস সীমান্তবর্তী এডির্নেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ লাখ ১৭ হাজার ২৯২ জন পর্যটক এসেছে। আনাতোলিয়ায় দেশটির মোট পর্যটকের ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বা ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬৮ জন পর্যটক আগমন হয়েছে।
এর মধ্যে জার্মানি থেকেই এসেছে মোট পর্যটকের ১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ বা প্রায় ২৬ লাখ ৭০ হাজার পর্যটক। তার পরেই রয়েছে বুলগেরিয়া (৮.৩৩%), জর্জিয়া (৬.৩৯%), রাশিয়া (৬.১২%) ও ইউক্রেন (৪.৮৭%)।