কক্সবাজারের উখিয়ায় করোনা আক্রান্ত দুই রোহিঙ্গার এখনও খোঁজ মেলেনি। করোনা আক্রান্তদের নোয়াখালীর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে- এমন খবরে তারা পালিয়ে যান। তবে তারা ক্যাম্পের ভেতরে লুকিয়ে রয়েছেন বলে ধারণা অনেকের। ফলে ক্যাম্পে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংঙ্কা রয়েছে।
রোহিঙ্গা জানান, কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের নোয়াখালীর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে অথবা আলদা করে হাসপাতালের নির্জন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে ভেবে রোহিঙ্গা শিবিরে অসংখ্য মানুষের জ্বর, সর্দি-কাশি দেখা দিলেও তারা ভয়ে প্রকাশ করছে না। আবার অনেকের করেনা উপসর্গ দেখা দিলেও প্রকাশ না করে দোকান থেকে ওষুধ কিনে সেবন করছেন।।
ক্যাম্প করোনা উপসর্গ দেখা দিলে রোহিঙ্গাদের পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রমুখী করতে বিভিন্নভাবে সচেতন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু তোহা এম আর এইচ ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৩৬৬ জন রোহিঙ্গার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৯ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। তাদের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত করেনা আক্রান্ত হয়ে ৭১ বছরের এক বৃদ্ধ রোহিঙ্গা মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ৭৫০ জন রোহিঙ্গাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে ৬১৮ জনের কোয়ারেন্টাইনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৬শ পরিবারের ১৬ হাজার মানুষ ক্যাম্পে লকডাউনে রয়েছেন।
উখিয়ার ক্যাম্প-২ (পূর্ব) এর রোহিঙ্গা নেতা মো. নূর বলেন, তার ক্যাম্পের করেনা আক্রান্ত এক যুবক আইসোলেশন সেন্টার থেকে পালিয়ে গেছে তাকে খোঁজা হচ্ছে। সে হয়তো ক্যাম্পে লুকিয়ে রয়েছে। ঈদুল ফিতরের পরের দিন করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান মো. আলমের ছেলে মো. আবছার। সন্দেহ হলে চিকিৎসকেরা তাঁর নমুনা সংগ্রহ করেন। পরীক্ষায় তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর আইসোলেশন সেন্টারে নেওয়ার সময় তিনি পালিয়ে যান। গত ১০ দিন পার হয়ে গেলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া ক্যাম্প-১ এর আরও একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলছে না।