করিমগঞ্জ (অসম): চলমান করোনা অতিমারির বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে অসমের বিভিন্ন জেলায় চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো বর্ধিত ভাড়া আদায় করছে। এতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। লকডাউনের সময় বাস মালিকরা লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে সাধারণ যাত্রীর কাছে থেকে ৩ থেকে ৪ গুণ বর্ধিত ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে এসইউসিআই (সি)।
এসইউসিআই (সি)-র বক্তব্য, লকডাউনের সময় কর্মসংস্থানের বিচ্যুতি ঘটার জন্য বেকার তথা মূল্যবৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতিতে জর্জরিত সাধারণ মানুষ অত্যন্ত অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। রাজ্য সরকার যুদ্ধকালীন তত্পরতায় আর্থিক সাহায্য অথবা ব্যাপক কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করছে। অথচ বাস মালিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে বর্ধিত হারে সংগৃহীত ভাড়ার ব্যাপারে বিহীত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। অথচ এই অবস্থায় সরকারকে ভরতুকি দিয়ে পরিবহণ ব্যবস্থা চালানোর প্রয়োজন ছিল। অসমে পরিবহন সংস্থা সমূহ বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাত দেখিয়ে বাড়া বৃদ্ধি করাটা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ভাড়া বৃদ্ধির ফলে শ্রমিক-কৃষক তথা সাধারণ নাগরিকরা ইতিমধ্যে লকডাউনের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের উপর বাস ভাড়া বাবদ আরও আর্থিক বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অন্যায় এবং অযৌক্তিক বর্ধিত বাসভাড়ার বিরুদ্ধে এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের অসম রাজ্য কমিটি প্রতিবাদ সাব্যস্ত করছে।
তাদের দাবি অতি শীঘ্র বর্ধিত বাস ভাড়া নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এবং তার সাথে প্রয়োজনে বাস মালিকদের ভরতুকি দিয়ে পরিবহণ পরিষেবাকে চালু রাখতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার সমস্ত রাজ্যে প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি সংগঠিত হয়েছে। এরই অঙ্গ হিসেবে আজ দলের করিমগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচিতে জেলা কমিটির পক্ষে বক্তব্য পেশ করেন দলের অন্যতম সদস্য নন্দন কুমার নাথ, পিকলু দে, সুজিত্ কুমার পাল, সঞ্চিতা শুক্ল, জয়দীপ দাস, রাজদীপ দাস প্রমুখ। বিশু / এসকেডি / অরবিন্দ