হাইলাইটস
- ১০ সদস্যের চিনা বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে
- সোমবারই তাঁরা ঢাকায় পৌঁছেছেন
- বাংলাদেশের কোভি়ড হাসপাতালগুলিতে তাঁরা পর্যবেক্ষণে যাবেন
- যাবেন কোয়ারানটিন কেন্দ্র গুলিতেও
- গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে ৪২ জন করোনার বলি
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চিন। সেইমতো ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক দল সোমবারই ঢাকায় পৌঁছেছে। শেখ হাসিনার দেশে সোমবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সাড়ে ৬৮ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা প্রায় হাজার (৯৩০) ছুঁইছুই। কোভিডে মৃত্যুহার অন্য অনেক দেশের তুলনায় কম হলেও, পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগে চিনা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হয় ভারতের প্রতিবেশী এই দেশটি।
সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞ দলের বেশির ভাগই শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত অসুখের চিকিত্সক। বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন কোভিড-১৯ হাসপাতালে তাঁরা যাবেন। কোয়ারানটিন সেন্টারগুলিতেও ঘুরবেন। কী ভাবে বর্তমানে চিকিত্সা চলছে তা নিয়ে বাংলাদেশের ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি হাসপাতালগুলির চিকিত্সা পরিকাঠামোও তাঁরা দেখবেন। কোভিডে মৃত্যু কী ভাবে সামাল দেওয়া যাবে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেবে চিনা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের এই দলটি।
দলটিতে ছ-জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা চিকিত্সক রয়েছেন। চিনে বিশেষজ্ঞরা ঢাকায় পৌঁছলে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ডাক্টর একে আবদুল মোমেন ও সেখানকার চিনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, একটা দেশের একার পক্ষে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সেই কারণে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের প্রয়োজন রয়েছে।
বাংলাদেশের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেসের সোমবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৩০। গোটা দেশজুড়ে সংক্রামিত ৬৮ হাজার ৫০৪ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২,৭৩৫ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
গত মাসে বাংলাদেশকে ৩০ হাজার আরটি-পিসিআর কোভিড-১৯ টেস্ট কিট পাঠায় ভারত। সার্কের প্রথম দেশ হিসেবে ভারতের থেকে কোভিড টেস্ট কিট নেয় বাংলাদেশ। গত এপ্রিলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টোলিফোনে কথা হয়। মোদী হাসিনাকে আশ্বস্ত করে বলেন, বাংলাদেশে কোভিড নিয়ন্ত্রণে ভারত প্রয়োজন মতো সহযোগিতা করবে। এই সময়