প্রতীক রায়: শীত নামতে শুরু করেছে কলকাতায়। একই সঙ্গে বাড়ছে দূষণও। নভেম্বরের প্রথমেই কলকাতায় ১৯ এ নামল তাপমাত্রা। পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় পারদ ১৪/ ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে।
আগামী দু-তিন দিনে আরও নামবে পারদ, ইঙ্গিত মৌসুম ভবনের। এখনও বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯০ শতাংশের বেশি। রাতে ও সকালে শীতের আমেজ এলেও দিনের বেলায় উধাও হচ্ছে ঠান্ডা ভাব।
শনিবার (০৭ অক্টোবর) মেঘমুক্ত আকাশ ছিল কলকাতায়। সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি নিচে। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি উপরে। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৩২ থেকে ৯৫ শতাংশ ছিল।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ২১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ বছর নভেম্বরের শুরুতেই ঊনিশে নেমে গেল কলকাতার পারদ। আগামী কয়েক দিনে আরও নিচে নামবে তাপমাত্রা, অনুমান আবহাওয়াবিদদের। আগামী তিন থেকে চার দিনে ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশা ও বাংলায়।
অন্যদিকে, দূষণের মাত্রা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে । বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ থাকায় আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি হচ্ছে। জেলায় জেলায় পারদ অবশ্য বেশ কিছুটা নেমেছে। শীতের আমেজ কিছুটা হলেও বেশি জেলাগুলিতে। পশ্চিম বর্ধমানের অনেক এলাকায় এলাকায় ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির আশেপাশে রয়েছে তাপমাত্রা।
সারা দেশে যখন শুষ্ক আবহাওয়া, তখন ভিন্ন চিত্র দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে। আগামী তিন দিন তামিলনাডু, পুদুচেরি, কেরালা, এই রাজ্যগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা। মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানায়। দু-এক পশলা হালকা বৃষ্টি হতে পারে ওড়িশাতেও। হালকা বৃষ্টির সঙ্গে আগামী দু-তিন দিন কুয়াশা হতে পারে ওড়িশায়।
কোমোরিন এলাকায় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখা । লাক্ষাদ্বীপ, মালদ্বীপ হয়ে তা কর্ণাটক পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সিস্টেমের প্রভাব এবং উত্তর পূর্ব মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে আরও ৩-৪ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা।
তাপমাত্রা কমতেই দূষণের মাত্রা বাড়ছে রাজ্যে। শনিবার, সকাল ৭ টায় ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স অনুযায়ী, কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে দূষণের মাত্রা বেশি। কলকাতার রবীন্দ্রভারতীতে বাতাসে দূষিত ধূলিকণার পরিমাণ সর্বোচ্চ ২৮৪ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটারে। শিলিগুড়িতে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাপুপাড়ায় ২৮৮ মাইক্রো গ্রাম প্রতি ঘনমিটারে।





