ময়ুখ বসু, কলকাতা: কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-দুতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে বিদেশের মাটিতে প্রথম কুটনৈতিক মিশন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে অতি উতসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস পালিত হয়।
দিনের শুরুতে সকাল ৮ টায় উপ হাইকমিশনার তৌফিক হাসান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু কর্নারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হয়। তারপর এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনস্থ বাংলাদেশ গ্যালারীতে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
এরপর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন উপ হাইকমিশন মসজিদের ইমাম।
দুই দিনব্যাপী বিজয় উতসবের উদ্বোধনী বক্তৃতায় উপ হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম মিশন কলকাতা। ফলে বাংলাদেশের ৫০ তম বিজয় দিবসে এই মিশনে বিজয় উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সরকারের প্রথম কার্যালয়ও এই মিশনটি। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেওয়ার পর ১৮ এপ্রিল কলকাতা মিশনে প্রথম পতাকা উত্তোলিত হয়।
তিনি বলেন, ভারতবর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে আমাদের ঋণের শেষ নেই। ৭২ লক্ষ শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলো। এই অঞ্চলের জনগণ তাদের খাবার ভাগ করে আমাদের দিয়েছেন। তাই বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের জনগণ এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বিজয় দিবসের দ্বিতীয় দিনে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুত দপ্তরের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্ণেল (অবঃ) কাজী সাজ্জাদ আলী জাহির, বীরপ্রতিক।
এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেবেন মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মানপ্রাপ্ত ও বিশিষ্ট সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত। বাংলাদেশের বিজয় উতসব ২০২০ উপলক্ষ্যে প্রতিদিনই পশ্চিমবঙ্গ ও শহর কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি ছাত্র ছাত্রীদের পরিবেশনায় থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোকচিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী।