- বড় দলকে হারানোর মজাই আলাদা: তাইজুল
ক্রীড়া ডেস্ক: কিউইদের উড়িয়ে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করলো বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টের শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩ উইকেট। নাইম আর তাইজুল এই তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করে।
গতকাল বাংলাদেশের দেয়া ৩৩২ রানের টার্গেটে সেই লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে শুরতেই চাপে পড়ে কিউইরা। তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হয় নিউজিল্যান্ড। ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল সফরকারীরা। আর আজ শেষ দিনে ১৮১ রানের মধ্যে অলআউট হয় নিউ জিল্যান্ড। নাজমুল হোসেন শান্তর অভিষেক নেতৃত্বের ম্যাচে বাংলাদেশ ১৫০ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও স্পিনাররা তুলে নিয়েছে ৯টি উইকেট। এতে করে সফরকারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫০ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন শেষেই সিলেটে জয়ের সুবাস পেয়েছিল টাইগাররা। বাকি ছিল শুধু অপেক্ষার। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম।
এই জয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের নতুন চক্র দারুনভাবে শুরু করলো লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ মাহমুদুল হাসান জয়ের ৮৬ রানে ভর করে ৩১০ রান সংগ্রহ করে। জবাবে নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে কেন উইলিয়ামসনের ১০৪ রানে ভর করে ৩১৭ রান করতে সক্ষম হয়।
বড় দলকে হারানোর মজাই আলাদা: তাইজুল
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্ট। টাইগারদের দেয়া ৩৩২ রানের লক্ষ্যে আজ চতুর্থ দিনে ১১৩ রান তুলতে কিউইরা হারিয়ে বসে ৭ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের ১৭ উইকেটের মধ্যে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। দুই ইনিংসেই চারটি করে উইকেট নিয়ে দলকে জেতানো সুবাসে আনার মূল ভূমিকায় বাঁহাতি এই স্পিনার।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বিনিময় করেন দিনের অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘এখনও জিতি নাই, তবে ইনশাআল্লাহ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। বড় দলকে হারালে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, দল বদলে যাওয়ার আভাস থাকে। পুরো বছর যেন এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারি। কয়টা ম্যাচ জিতবো বা জিতবো না জানি না, তবে বাংলাদেশকে যেন ভালো কিছু দিতে পারি। বড় দলকে হারানোর মজাই আলাদা।’
এদিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে সাকিব আল হাসান দলে না থাকায় বাঁহাতি স্পিন সামলানোর ভার তাইজুলের কাঁধেই। যদিও ‘কে আছেন, কে নেই’— সেসব না ভেবে নিজের পরিকল্পনাতেই অটুট থাকেন তাইজুল।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার প্ল্যানেই থাকি। সাকিব ভাই থাকুক আর না থাকুক, আমার সঙ্গে আরও স্পিনাররা আছে। গেম বাই গেম প্ল্যান এরকম হয়- কেউ উইকেট নিবে কেউ রান আটকে রাখবে। আমি রান আটকালে হয়তো মিরাজ বা নাঈম উইকেট পেতো। যে থাকুক আর না থাকুক, আমরা ভালো খেলছি কিনা এটাই জরুরি।’