দেশে প্রাণঘাতী করোনা যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ঠিক তখনই ধসে পড়েছে সরকারের স্বাস্থ্য খাত। করোনার প্রথম থেকেই শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা চাপাবাজি, গলাবাজি আর প্রতিদিন ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়ে ভেঙ্গে পড়া স্বাস্থ্য খাতের গুনাগুন মানুষের কাছে বর্ণনা করে আসছিল। এখন আর সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। জোড়া তালি দিয়ে চালানো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখন একেবারে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েছে।
এতদিন শুধু বিশিষ্টজনেরা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য খাতের সমালোচনা করতেন। পরিস্থিতির শিকার হয়ে এখন সরকারের লোকজনও সমালোচনা করছেন। এমনকি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমপি একরামুল হক চৌধুরী কয়েকদিন ধরে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন। এই স্বাস্থ্য খাতকে তিনি একটা আজব ডিপার্টমেন্ট হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
বিগত ১০ বছর ধরে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে চাপাবাজি করে আসছেন শেখ হাসিনা। করোনা এসে হাসিনার সবই উম্মোচন করে দিয়েছে। করোনা মোকাবেলার প্রথম ধাপই হলো বেশি বেশি টেস্ট করানো। কিন্তু দেশে এখন করোনা টেস্ট করানোর জন্য কিটই নেই। আর ল্যাবরেটরি সংকট তো আছেই।
জানা গেছে, করোনার হটস্পট হিসেবে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরে কিট না থাকায় ৬ দিন ধরে করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ বন্ধ আছে।
এসব জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ হাসপাতালে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে ফিরে আসছে। তারপর যাদের নমুনা নেয়া হয়েছিল তাদেরগুলোও পরীক্ষা করা করতে পারছে না। হাসপাতালগুলোতে এখন রোগীদের হাহাকার চলছে। কিন্তু সরকার কিংবা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যথাযথ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
এছাড়া, কবে থেকে যে এসব জেলায় পুনরায় পরীক্ষা শুরু হবে সেটাও নিশ্চিত করে কিছু বলছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর।
জানা গেছে, দেশের আরও বিভিন্ন জায়গায়ও কিট সংকট দেখা দিতে পারে। কারণ, যে পরিমাণ কিট আমদানি করার কথা ছিল তা করা হয়নি। আর এর পেছনেও কাজ করছে দুর্নীতি। এছাড়া এখন পর্যন্ত যে কিট আছে তা দিয়ে মাত্র দুই দিন পরীক্ষা করা যাবে। সংবাদ সূত্র: অ্যানালাইসিস বিডি