স্বাস্থ্য ডেস্ক: ক্যানসার বা কর্কটরোগ অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনো পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার সহজে ধরা পড়ে না। ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোনো চিকিৎসা নেয়াও সম্ভব হয় না।
এদিকে, অনেকটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না গেলে গলা ও মাথার ক্যানসার সহজে ধরা পড়ে না। তবে কয়েকটি লক্ষণ দেখে এই ক্যানসার আগেই টের পাওয়া সম্ভব। জীবন ঝুঁকিতে পড়ার আগে জেনে নিন কোন ক্যানসারে কী কী লক্ষণ দেখা দেয়।
মুখের ক্যানসার
গলা ও মাথার মধ্যেই পড়ছে মুখ। মুখে ক্যানসার হলে কোনো কারণ ছাড়াই মুখ ফুলতে থাকে। চোয়াল বড় হয়। ঠোঁট প্রায়ই অসাড় হয়ে যায়। বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে কথাও জড়িয়ে যেতে পারে। তাই এসব লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকের শরনাপন্ন হোন।
গলার ক্যানসার
গলার ব্যথা দুই সপ্তাহেও কমছে না। খাবার গিলতে রীতিমতো অসুবিধা হচ্ছে। এমনকি বারে বারে কাশি হচ্ছে ও কানে ব্যথা করছে। এগুলো গলার ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ। এসব লক্ষণ দেখলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে ভুল করবেন না।
নাকের ভেতরের ক্যানসার
বারবার নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, হঠাৎ হঠাৎ নাক থেকে রক্ত পড়তে থাকার মতো লক্ষণগুলো নাকের ভেতরের ক্যানসারের বড় লক্ষণ। ঠান্ডাজনিত সমস্যা ভেবে অনেকেই এই সমস্যাকে এড়িয়ে যান। কিন্তু এবার থেকে আর নয়। লক্ষণ দেখলেই ছুটুন ডাক্তারের কাছে।
ল্যারিংক্স ক্যানসার
খাবার গিলতে সমস্যা থেকে কানের ব্যথা। ল্যারিংক্স ক্যানসারে গলার আওয়াজও পাল্টে যেতে পারে। এছাড়াও অনবরত কাশি হতে থাকে এই মারণরোগে। লক্ষণগুলো অনেকটা নাকের ভেতরের ক্যানসারের মতোই।
স্যালাইভারি গ্ল্যান্ড ক্যানসার
স্যালাইভারি গ্ল্যান্ড অর্থাৎ লালাগ্রন্থির ক্যানসারও সাধারণ কিছু উপসর্গের মাধ্যমে ধীরে ধীরে মারণরোগের আকার নেয়। এই ক্যানসারে কানের ব্যথা থেকে চোয়াল বড় হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তাই বিপদের আঁচ পেলেই ডাক্তার দেখান।