“দিজ অল আর ক্র্যাক বয়েজ ! ওদের বললাম , ঢাকার বাইরে বিস্ফোরণ ঘটাতে আর ওরা কিনা ইন্টারকন্টিনেন্টালেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ? ক্র্যাক! মাই ক্র্যাক বয়েজ !”
অবাক বিস্ময়ে ১৯৭১ সালের ৯ ই জুন সন্ধ্যায় বিবিসিতে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে হামলার খবর শুনে কথাগুলো বলেছিলেন তৎকালীন সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ; তৎকালীন মু্ক্তিযুদ্ধের অন্যতম দুর্ধর্ষ গেরিলা ফ্রন্ট , তরুণ ক্রাক বয়েজদের প্রতি যাঁর নির্দেশনা ছিলো কেবল ঢাকা শহরের আশেপাশে কিছু গুলি ছুঁড়তে হবে ও গ্রেনেড চার্জ করতে হবে , পুরো বিশ্বকে বুঝিয়ে দিতে হবে – হ্যাঁ! ঢাকাও মুক্তিবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত!
১৯৭১ সালের মার্চ থেকেই পাকহানাদার বাহিনী পুরো ঢাকা শহরে নিরাপত্তার বলয় তৈরি করেছিলো , এর মধ্যে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (পরবর্তীতে শেরাটন/ রূপসী বাংলা) ছিলো সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টিত । এখানেই আশ্রয় নিয়েছিলেন দেশী বিদেশী কূটনীতিকরা । পাক বাহিনীর অন্যতম টার্গেট ছিলো ঢাকা শহরকে মুক্তিবাহিনী মুক্ত রাখা , ঢাকা শহরে মুক্তিবাহিনীর যে কোনো আক্রমণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিহত করা , যাতে বহির্বিশ্ব কোনো ভাবেই আঁচ করতে না পারে মুক্তিযুদ্ধের তীব্রতা ।
ক্র্যাক বয়েজদের নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের দুই নং সেক্টরের অধীনে একটি স্বতন্ত্র গেরিলা দল গঠনে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম ও এটিএম হায়দার বীর উত্তম । গেরিলা বাহিনীটির ট্রেণিং হয়েছিলো ভারতের মেঘালয়ে । প্রচন্ড ক্ষিপ্র ও সাহসী মুক্তিকামী তরুণদের তৈরি করা হয়েছিলো এমন ভাবেই যে তারা মেশিনগান , এসএমজি সহ যে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে ছিলো সিদ্ধহস্ত ! তারা টার্গেটে নিঁখুত গ্রেনেড চার্জ করে মুহূর্তেই আক্রমণ স্হল হতে নিজেদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে আত্মগোপন করতে পারতো । মূলত তাদের আরবান গেরিলা ওয়ারফেয়ারের জন্যই প্রস্তুত করা হয়েছিলো । তাদের মূলমন্ত্র ছিলো – ‘ Hit and Run ‘ বা ‘ অতর্কিত আক্রমণ , শত্রুপক্ষের টার্গেটকে নিঁখুত নিশানায় ধ্বংস করা এবং দ্রুত স্হান ত্যাগ ! ‘
ক্র্যাক প্লাটুনের মোট সদস্য সংখ্যার তালিকা পাওয়া যায় না। তাছাড়া একেক সদস্য একেক সময়ে প্লাটুনে যোগ দিয়েছেন আবার এই প্লাটুনের সকল সদস্যও সবাইকে চিনতো না। তবে এই প্লাটুনের সসদ্যদের থেকে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতে সংখ্যাটা ১০০ এর চেয়ে সামান্য বেশি হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে মেঘালয় থেকে যে ১৭জন প্রশিক্ষন নিয়ে এসেছিলেন তারা হলেন – ০১) জিয়াউদ্দিন আলী আহমেদ ০২) মাহবুব আহমেদ শহীদ, ০৩) শ্যামল,০৪) আহমেদ মুনীর ভাষণ ০৫) আনোয়ার রহমান (আনু), ০৬) মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া,০৭) ফতেহ আলী চৌধুরী, ০৮) আবু সায়ীদ খান, ০৯) প্রকৌশলী সিরাজ, ১০) গাজী গোলাম দস্তগীর,১১) তারেক এম আর চৌধুরী,১২) শাহাদাৎ চৌধুরী, ১৩) রেজা, ১৪) আবদুস সামাদ, ১৫) জব্বার ১৬) নাজিবুল হক ও ১৭) ইফতেখার। পরবর্তীতে এদের সাথে যোগ দেন ঢাকা শহরের আরো কিছু সাহসী তরুণ যোদ্ধা।
ক্র্যাক প্লাটুন প্রথমে ৯ জুন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে হামলা চালায়। দ্বিতীয়বার হামলা চালায় ১১ আগস্ট। প্রথম হামলার সময় পাকিস্তান আর্মি হয়ত অতটা প্রস্তুত ছিল না কিন্তু এরপর থেকে তারা হোটেলের চারদিকে কড়া পাহারা বসায়। প্রয়োজনেও সেখানে ঢোকা ছিল বাংলাদেশিদের জন্য কষ্টকর। কিন্তু ক্র্যাক প্লাটুন এর সাহসী ক্র্যাকদের কাছে যেন কোন কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তারা সিদ্ধান্ত নিল হামলা চালানোই হবে। হামলার প্লান করেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সামাদ। আবদুস সামাদ নিয়নসাইন ও সাইনবোর্ড এর ব্যবসা ছিল। ব্যবসায়িক সুত্র থেকে খবর পান হোটেলের ভিতরে থাই এয়ারলাইনসের যে অফিস ছিল সেটা অন্য একটা কক্ষে স্থানান্তরিত হবে। এজন্য অফিসের কিছু কাজ হবে। কোনভাবেই যাতে অন্য কেউ কাজটা নিতে না পারে সেজন্য তিনি খুব কম টাকায় কাজটা নেন।
কাজের অজুহাতে হোটেলটা ভালোমত দেখে নেন তিনি। তার সঙ্গী ছিলেন আরেক যোদ্ধা আবু বকর। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় পুরুষদের টয়লেটের ভিতরে বিস্ফোরন ঘটানো হবে। ১১ আগস্ট থাই এয়ারের অফিসের কাজ শেষ হওয়ার কথা। ওইদিন তারা একটি ব্রিফকেসে টাইম বোমা স্থাপন করেন। বিকেলে গাড়িতে করে আবদুস সামাদ, আবু বকর, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও গোলাম দস্তগীর গাজী হোটেলে যান। এতদিন ধরে কাজের জন্য নিয়মিত আসা যাওয়া করায় হোটেলে ঢুকতে কোন সমস্যা হয়নি তাদের। গাড়ি হোটেলের পার্কিংয়ে রেখে আবদুস সামাদ ও বকর হোটেলের ভেতরে ঢোকেন। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও গোলাম দস্তগীর গাজী গাড়িতে স্টেনগান নিয়ে বসে থাকেন। ব্রিফকেসসহ দুজন সরাসরি যান টয়লেটে। টাইম বোমা চালু করে ব্রিফকেস রাখেন কমোডের পেছনে। কেউ যাতে ঢুকতে না পারে সেজন্য টয়কেটের দরজা ভিতর থেকে লক করে উপর দিয়ে বেরিয়ে আসেন। তারপর দুজন সোজা পার্কিং এ গিয়ে গাড়িতে উঠে দ্রুত সেটি চলে যান। আধাঘন্টা পর প্রচন্ড বিস্ফোরনে হোটেলের লাউঞ্জ ও আশপাশের কক্ষ কেঁপে ওঠে। আহত হয় বেশ কয়জন। বিশ্ব মিডিয়ায় দুঃসাহসিক এই গেরিলা আক্রমণের খবর প্রকাশিত হয় গুরুত্বসহকারে!
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের এই ২ হামলা ছাড়াও পাঁচ হতে ছয়জনের সমন্বয়ে তৈরি ক্রাক বয়েজের এক একটি দল ঢাকা শহরেই মোট ৮২ টি অপারেশন পরিচালনা করেছিলো। এদের মধ্যে-
অপারেশন হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল
অপারেশন গ্যানিজ পেট্রল পাম্প
অপারেশন দাউদ পেট্রল পাম্প
অপারেশন এলিফ্যান্ট রোড পাওয়ার স্টেশন
অপারেশন যাত্রাবাড়ী পাওয়ার স্টেশন
অপারেশন আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
অপারেশন সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
অপারেশন উলন পাওয়ার স্টেশন
অপারেশন ফার্মগেট চেক পয়েন্ট
অপারেশন তোপখানা রোড ইউএস ইনফরমেশন সেন্টার
অ্যাটাক অন দ্য মুভ – অন্যতম !
১১ আগস্টের হামলার পর পাকবাহিনী ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলাদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু করে। ২৯ আগস্ট ১৫জন গেরিলাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই ১৫ জনের ৯ জন পরবর্তী শহীদ হন । তাঁরা হলেনঃ
১) শহীদ শফি ইমাম রুমি, বীর বিক্রম ২) শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল, বীর বিক্রম ৩) শহীদ বকর, বীর প্রতীক ৪) শহীদ আলতাফ মাহমুদ ৫) শহীদ বদিউল আলম বদি, বীরবিক্রম৬) শহীদ সেকান্দর হায়াত ৭) শহীদ হাফিজ৮) শহীদ মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদ ৯) শহীদ আবদুল্লাহও-হেল-বাকী
শহীদ মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদঃ
শহীদ আজাদ ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট। রাতে আজাদের মগবাজারের বাড়িতে হামলা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। গুলিতে আহত হন আজাদের খালাতো ভাই জায়েদ। একই সময় ধরা পড়ে ক্র্যাক প্লাটুনের একদল সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। সেসময় আজাদকেও আটক করা হয়। তাকে ধরে নিয়ে রাখা হয়েছিলো নাখালপাড়ার ড্রাম ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এম.পি হোস্টেলের মিলিটারি টর্চার সেলে। এরপর রমনা থানায় ছুটে গিয়েছিলেন আজাদের মা ছেলের সাথে দেখা করার জন্য। মাকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আজাদ। মা জানতে চাইলেন ‘কেমন আছো’, আজাদ মাকে বললেন, ‘খুব মারে, ভয় হচ্ছে কখন সব স্বীকার করে ফেলি’। ছেলের সামনে তিনি ভেঙ্গে পড়েন নি। বরং ছেলেকে সাহস দিয়ে বলেছিলেন, ‘শক্ত হয়ে থেকো বাবা। কোন কিছু স্বীকার করবে না’।
সেদিন থানা হাজতে মায়ের কাছে আজাদ ভাত খেতে চান। আজাদ মায়ের কাছে ভাত খেতে চেয়ে বলেন, ‘মা কতদিন ভাত খাই না। আমার জন্য ভাত নিয়ে এসো’। মা ভাত নিয়ে যান থানায়। গিয়ে দেখেন ছেলে নেই। এই ছেলে আর কোনদিনও ফিরে আসে নি। ধরে নেওয়া হয় সেদিন-ই ঘাতকরা মেরে শহীদ আজাদকে।
ছেলে একবেলা ভাত খেতে চেয়েছিলেন। মা পারেননি ছেলের মুখে ভাত তুলে দিতে। সেই কষ্ট-যাতনা থেকে পুরো ১৪টি বছর ভাত মুখে তুলেন নি মা! তিনি অপেক্ষায় ছিলেন ১৪ টা বছর ছেলেকে ভাত খাওয়াবেন বলে। বিশ্বাস ছিলো তাঁর আজাদ ফিরবে। ছেলের অপেক্ষায় শুধু ভাতই নয়, ১৪ বছর তিনি বিছানায় শোননি। মেঝেতে শুয়েছেন শীত গ্রীষ্ম কোন কিছুতেই তিনি পাল্টাননি তার এই পাষাণ শয্যা। আর এর মুল কারণ আজাদ রমনা থানায় আটককালে বিছানা পায়নি।
১৯৮৫ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন আজাদের মা। ৩০শে আগস্ট ১৯৭১, শহীদ আজাদ সহ ক্র্যাক প্লাটুন খ্যাত ঢাকার অগ্রগামী গেরিলা দলটির ছয়জন সদস্য চিরদিনের মতো হারিয়ে যান। কি অবাক করা মিল, স্বাধীন দেশে সেই একই তারিখে ১৯৮৫ সালের ৩০শে আগস্ট (ঠিক ১৪ বছর পর) ছেলের কাছে চলে যান শ্রদ্ধেয় মোসাম্মাৎ সাফিয়া বেগম, শহীদ আজাদের মা। জুরাইন গোরস্তানে মায়ের কবরে লেখা আছে– শহীদ আজাদের মা।
শহীদ আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েল:
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মে মাসের শেষ দিকে ঢাকা থেকে পালিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের মেলাঘরে যান শহীদ জুয়েল । সেখানে তাঁকে মুক্তিবাহিনীর ক্র্যাক প্ল্যাটুনে অন্তর্ভুক্ত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকায় এসে গেরিলা অপারেশন শুরু করেন । ফার্মগেট ছাড়াও এলিফ্যান্ট রোডের পাওয়ার স্টেশন, যাত্রাবাড়ী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে গেরিলা অপারেশনে যথেষ্ট সাহসিকতার পরিচয় দেন তিনি ।
১৯ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে গেরিলা অপারেশনের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে জুয়েল আহত হন।ঢাকার বড় মগবাজার এলাকায় চিকিৎসারত অবস্থায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এ রাজাকারদের সহায়তায় ২৯ আগস্ট তাঁকে আটক করে। ৩১ আগস্ট পাকিস্তানি সেনারা তাঁকে হত্যা করে। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে।
শহীদ শাফি ইমাম রুমী:
৭১ এর ১৯শে এপ্রিল, রুমী যখন তার মায়ের কাছে যুদ্ধে যাবার অনুমতি নিতে এলো, তখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৬৪ সালে থেকে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ডিগ্রি নিয়ে আসা জাহানারা ইমাম বলেছিলেন, ” যা তুই যুদ্ধেই যা, দিলাম তোকে দেশের জন্যে কোরবানি করে! ”
১৯৭১ সালের ১৭ই ডিসেম্বর ! জাহানারা ইমামের এলিফেন্ট রোডের বাসা কণিকা’য়, কাঁধে স্টেনগান ঝুলিয়ে, মায়ের সাথে দেখা করেতে এসেছে, শাহাদাত, বাচ্চু, মেজর হায়দার, হাবিবুল আলমেরা! কারো কারো চুল বেশ লম্বা, খোঁচা খোঁচা দাড়ির মাঝ দিয়ে দেখা যাচ্ছে রোদে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া চামড়া! তাদের দেখে শহীদ জননী ভাবতে থাকেন, কেনো সেদিন তিনি ‘কোরবানি’ শব্দটা উচ্চারন করলেন? আল্লাহ মনে হয় শুধু তার কোরবানি শব্দটাই শুনেছেন! কিন্তু তিনি তো এটা বলতে চাননি, আল্লাহ তো অন্তর্যামী! তাহলে তিনি কেনো তার মনের কথাটা শুনলেন না! রুমির বিদায়ের দিন যদি জাহানারা ইমাম বলতেন যে, “যা রুমি, যুদ্ধ জয় করে, বীরের বেশে স্বাধীন দেশে আমার বুকে ফিরে আয়” তাহলে হয়তো আল্লাহ তার আদরের ধনকে কেড়ে নিতেন না! বাচ্চু, মেজর হায়দারদের সাথে তার রুমিও হয়তো কাঁধে স্টেনগান নিয়ে ফিরে আসতো! আচ্ছা, যদি রুমীও ফিরে আসতো তাহলে কি তার মুখেও খোঁচা খোঁচা দাড়ি থাকতো? খোঁচা খোঁচা দাড়িতে রুমিকে কেমন লাগতো? তার চুলগুলোও কি অনেক বড় হতো?
মুক্তিযুদ্ধ শেষ হবার ২৩বছর পরও যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্টয়েট নগরীর সাইনাই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ক্যান্সারের সাথে লড়তে লড়তে এসব ভেবেছেন, ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করার পর বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকতা করা এবং স্বাধীনতার পরে “শহীদ জননী” উপাধি পাওয়া শহীদ রুমির মা জাহানারা ইমাম!
ইন্টারনেট ও বই থেকে তথ্য সংগ্রহ ও সংকলনঃ আসিফ শুভ্র