নিজস্ব প্রতিবেদক: টুঙ্গিপাড়া গোপালগঞ্জে খেসারিত বিনামূল্যে প্রণোদনার সার-বীজ পাচ্ছেন ৯৬০ জন কৃষক। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আসন্ন রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জেলার ৫ উপজেলার ৫০০ কৃষক সার-বীজ পাচ্ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপরিচালক আঃ কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বীজ-সার বিতরণ শুরু হয়েছে। ক্ষেত থেকে আমন ধান কাটা শেষ হওয়ার আগেই এসব বীজ-সার বিতরণ সম্পন্ন হবে। খেসারি আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১২০ জন কৃষক, মুকসুদপুর উপজেলায় ১১০ জন কৃষক, কাশিয়ানী উপজেলায় ১১০ জন কৃষক, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৮০ জন কৃষক ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮০ জন কৃষক প্রণোদনা পাবেন।
প্রত্যেক কৃষককে ১ বিঘা করে (৩৩ শতাংশ) জমি আবাদের জন্য ৫ কেজি করে খেসারি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ৫ কেজি করে এমওপি সার বিনামূলে বিতরণ করা হবে। সেজন্য ৪ হাজার কেজি খেসারি বীজ, ৫ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ২ হাজার ৫০০ কেজি এমওপি সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯৬০ কেজি খেসারি বীজ, ১ হাজার ২০০ কেজি ডিএপি সার ও ৬০০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে। মুকসুদপুর উপজেলায় ৮৮০ কেজি বীজ, ১ হাজার ১০০ কেজি ডিএপি সার ও ৫৫০ কেজি এমওপি সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কাশিয়ানী উপজেলায় ৮৮০ কেজি বীজ , ১ হাজার ১০০ কেজি ডিএপি সার ও ৫৫০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে। কোটালীপাড়া উপজেলায় ৪০০ কেজি খেসারি বীজ, ৮০০ কেজি ডিএপি সার ও ৪০০ কেজি এমওপি সারের সহায়তা পাচ্ছেন কৃষক। টুঙ্গিপাড়ায় ৪০০ কেজি বীজ, ৮০০ কেজি ডিএপি সার ও ৪০০ কেজি এমওপি সার পাবেন কৃষক ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-রিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, প্রণোদনার সার-বীজ পেয়ে কৃষক ৫০০ বিঘা জমিতে খেসারির আবাদ করবেন। ৫০০ বিঘা জমিতে খেসারির আবাদ করে কৃষক খেসারির উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন। এর মাধ্যমে দেশে ডাল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। কৃষক অধিক ফসল উৎপাদন করে লাভবান হবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১২০ জন কৃষক খেসারিতে প্রণোদনা পবেন। ইতোমধ্যে আমরা প্রণোদনার বীজ-সার বিতরণ শুরু করেছি। কৃষক ক্ষেত থেকে আমন ধান কেটে রবি শস্য আবাদ শুরু করবেন।