জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সাংবাদিকরা। সংবাদপত্র মালিকরাও বেশকিছু বিষয়কে ইতিবাচকভাবে নেননি। তারা বলছেন, ২০১৮ সালের গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়ায় যা ছিল, তার প্রায় পুরোটাই বদলে ফেলা হয়েছে। প্রস্তাবিত এ আইনকে সাংবাদিক নেতা ও বিশিষ্ট সাংবাদিকরা ‘সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের স্বার্থবিরোধী কালো আইন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গত ২৮ মার্চ জাতীয় সংসদে নতুন গণমাধ্যমকর্মী আইনের বিল উপস্থাপন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, প্রস্তাবিত আইনে সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। টেলিভিশন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বার্তাকক্ষ বলে কিছুই রাখা হয়নি। বরং সাংবাদিকদের ‘করণিক’ উল্লেখ করে অমর্যাদা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সভা-সমাবেশের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং মালিকদের ইচ্ছামতো ছাঁটাইয়ের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আমরা এই নতুন আইনের অসংগতি পর্যালোচনা করছি। এর পর এটি সংশোধন করে তথ্যমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হবে।
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম সমকালকে জানিয়েছেন, তিনি প্রস্তাবিত আইনটি পড়ে দেখছেন। এটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের পর সম্পাদক পরিষদ থেকে বিবৃতি দেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে আইন করেছিলেন, সেটার পুনর্বহাল চাওয়া হয়েছিল। কারণ ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার সেটি বাতিল করেছিল। সাংবাদিক সমাজের দাবি ছিল, নতুন আইনে সময়ের বাস্তবতায় সাংবাদিকদের সুবিধা দ্বিগুণ করতে হবে। কিন্তু সংসদে যে আইন বিল আকারে এসেছে, সেখানে ১৯৬১ সাল থেকে পাওয়া সাংবাদিকদের সুবিধাও কর্তন করা হয়েছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়া হবে। সংশোধন না হলে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সাংবাদিকদের মর্যাদার প্রশ্ন: জাতীয় সংসদে বিল আকারে যে আইনটি উত্থাপন করা হয়েছে, তার ২(৪) ধারায় বলা হয়েছে- ‘গণমাধ্যমকর্মী অর্থাৎ গণমাধ্যমে পূর্ণকালীন কর্মরত সাংবাদিক, কর্মচারী এবং নিবন্ধিত সংবাদপত্রের মালিকানাধীন ছাপাখানাসহ নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমে বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত কর্মী।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যে ‘নিউজপেপার এমপ্লয়িজ (কন্ডিশন অব সার্ভিস) অ্যাক্ট’ করেছিলেন; সেখানে সংবাদপত্রে সম্পাদকীয় একটি প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছিল, যেখানে সম্পাদকের অধীনে একটি পূর্ণাঙ্গ সম্পাদকীয় ব্যবস্থাপনা ছিল। প্রস্তাবিত আইনে তা রাখা হয়নি। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা বলছেন, এর অর্থ প্রস্তাবিত আইনে সংবাদপত্রে সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালে আন্তঃমন্ত্রণালয় একটি কমিটির মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মী আইনের একটি খসড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। সে খসড়ায় সংবাদপত্রে সম্পাদকীয় ব্যবস্থাপনায় ‘সম্পাদক, প্রধান সম্পাদক, বার্তাপ্রধান, নির্বাহী সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক’ এবং টেলিভিশনে ‘বার্তা প্রযোজক, বার্তা সম্পাদক, সাব-এডিটর, নিউজরুম এডিটর’সহ কয়েকটি পদের কথা বলা হয়েছিল। প্রস্তাবিত আইনে গণমাধ্যমকর্মীর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘করণিক কাজে নিয়োগকৃত কোনো গণমাধ্যমকর্মীর শিক্ষানবিশকাল হইবে দুই বছর এবং অন্যান্য কর্মীর উক্ত সময়কাল হইবে ১ (এক) বৎসর।’ এখানে করণিক কর্মী কারা হবেন এবং অন্যান্য কর্মী কারা, তার কোনো সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া প্রস্তাবিত আইনে গণমাধ্যমকর্মীদের সপ্তাহে দৈনিক ৮ ঘণ্টা হিসেবে ৪৮ ঘণ্টা কাজের নিয়ম রাখা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম-সংশ্নিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারী আইনে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের নিয়মের কথা বলা আছে। বিশ্বজুড়েও সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের রেওয়াজ চালু হয়েছে। সুইডেনে সপ্তাহে ৩২ ঘণ্টা কাজের বিধান আছে। কিন্তু সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারী আইনের বিধানটিও রাখা হয়নি।
প্রস্তাবিত আইনে সাংবাদিকদের অবসর সুবিধার ক্ষেত্রে ৫৯ বছর রাখা হয়েছে। অবসরের সময় যত বছর চাকরি করেছেন, সে অনুযায়ী একটি করে মূল বেতনের সমান ভাতা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। আগে সাংবাদিকরা দুই মাসের করে ভাতা পেতেন। এর আগে নবম ওয়েজ বোর্ডে সাংবাদিকদের অবসর ভাতা এক মাসের সমান করা হয়। প্রস্তাবিত আইনেও তাই আছে। প্রভিডেন্ট ফান্ড ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
আইনের ১২ ধারায় ‘ছাঁটাই ও ছাঁটাইকৃত কর্মী পুনঃনিয়োগ’ শিরোনামে বলা হয়েছে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত কর্মীকে মালিকপক্ষ ছাঁটাই করতে পারবেন এবং ছাঁটাইয়ের সময় ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক মাসের বেতন এবং প্রতি বছর চাকরির জন্য এক মাসের মূল বেতন দিতে বলা হয়েছে। অথচ বিদ্যমান শ্রম আইনে ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে চার মাসের বেতন দেওয়ার বিধান আছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাঁটাইয়ের সময় কমপক্ষে তিন মাসের বেতন দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের ক্ষেত্রে এক মাসের বেতনের বিধান রেখে সরাসরি গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে বলে সাংবাদিক নেতারা মনে করেন। তারা বলছেন, এক মাসের বেতনের এই বিধান এই প্রস্তাবিত বিল ছাড়া প্রতিবেশী দেশের কোনো আইনেই পাওয়া যায়নি। এই ধারায় গণমাধ্যমকর্মীদের নূ্যনতম মানবিক অধিকারকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। একই সঙ্গে এখানে ‘অতিরিক্ত কর্মী’ বলতে কী বোঝায়, তা উল্লেখ করা হয়নি। ফলে মালিকপক্ষকে ইচ্ছামতো ছাঁটাইয়ের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া আইনে নূ্যনতম বেতনের চেয়ে কম দিলে এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখলেও নূ্যনতম বেতন কী হবে, তা বলা হয়নি। ফলে নূ্যনতম বেতন নির্ধারণের বিষয়টিও মালিকপক্ষের ইচ্ছাধীন রাখা হয়েছে।
আইনের ১৪ ধারায় ‘দশ বা ততোধিক গণমাধ্যমকর্মীর একসঙ্গে চাকরি অবসানের ক্ষেত্রে সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে’ সরকারকে মালিকপক্ষের অবহিত করার বিষয় রাখা হয়েছে। এ ধারা নিয়ে সাংবাদিক নেতারা বলছেন, ১০ জন কর্মী একসঙ্গে ছাঁটাই করলে তারা যেন প্রতিবাদ না করতে পারেন তার জন্য মালিকপক্ষকে আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
আইনের ধারা ২৬-এ গণমাধ্যমকর্মী কল্যাণ সমিতি গঠনের কথা বলা হলেও সাংবাদিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার বিষয়ে কোনো বিধান নেই। নেতাদের ভাষ্য, এই ধারার মাধ্যমে সাংবাদিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে।
প্রতিক্রিয়া: বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ১৯৭৪ সালে যে অ্যাক্ট হয়েছিল, সেখানে শুধু নিউজপেপার বা সংবাদপত্রের কথা বলা হয়েছিল। কারণ তখন এখনকার মতো ইলেকট্রনিক মিডিয়া ছিল না। এ কারণে ২০১৩ সাল থেকে উদ্যোগ নিয়ে একটি সমন্বিত গণমাধ্যমকর্মী আইন তৈরির জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়। অনেক আলোচনা, যাচাই-বাছাইয়ের পর ২০১৮ সালে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির মাধ্যমে একটি খসড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। সেই খসড়া যখন চার বছর পর গত ২৮ মার্চ সংসদে তোলা হলো, তখন দেখা গেল সেটা সম্পূর্ণ অচেনা। আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির ২০১৮ সালের খসড়ায় যা ছিল, প্রস্তাবিত বিলে তার অনেক কিছুই নেই। এক অর্থে ওই খসড়ার পরিবর্তে নতুন একটি আইন বিল আকারে তোলা হয়েছে। প্রস্তাবিত এই বিলের ধারায় ধারায় অসংগতি। এ কারণে সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এটি নতুন করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পর্যালোচনার পর প্রথম খসড়া বিএফইউজে এবং ডিইউজে নেতাদের কাছে দেওয়া হবে। এর পর সেটি তাদের পর্যালোচনার পর দ্বিতীয় খসড়া হবে। এর পর আরও পরিমার্জনের প্রয়োজন হলে তা করে তৃতীয় খসড়া দেওয়া হবে। এর পর এটি তথ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হবে। তথ্যমন্ত্রী এরই মধ্যে আশ্বাস দিয়েছেন, এই আইনে গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থবিরোধী কিছু থাকলে তা পরিমার্জন করা হবে।
বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, প্রস্তাবিত বিলে ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রণীত ১৯৭৪ সালের অ্যাক্টের কিছুই মূলত রাখা হয়নি। বরং সংবাদপত্র এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত করে দিয়ে ‘মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষ’ করা হয়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি বলেন, এ আইনের মাধ্যমে দেশের সাংবাদিকতা এবং সাংবাদিকতার মর্যাদা দুটোই ভীষণভাবে ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সভা-সমাবেশ করার অধিকার খর্ব করা হয়েছে, যা সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক আইনের পরিপন্থি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে যে খসড়া করা হয়েছিল, সেটা কারা পরিবর্তন করল, কেন করল- সেটা বের করা উচিত। যেভাবে বিল এসেছে, সেভাবে আইন পাস হওয়াটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এ আইন সম্পর্কে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনে গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত হয়নি। বরং গণমাধ্যম মালিকদের অতিরিক্ত কর্মী ছাঁটাই করার অধিকার দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া গত ৩০ মার্চ এক অনুষ্ঠানে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু আইন গণমাধ্যমে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে সম্পাদক পরিষদ, প্রেস ক্লাব, সাংবাদিকরা উদ্বেগের কথা জানিয়ে আসছেন। সংসদে উত্থাপন করা ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন’-এর বিভিন্ন ধারায় আপত্তি রয়েছে। নোয়াব মনে করে, সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
বিএফইউজের দাবি: গতকাল রোববার বিএফইউজের নির্বাহী কমিটির পূর্ণাঙ্গ সভায় সাংবাদিক নেতারা বলেন, সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাংবাদিক সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি অগ্রহণযোগ্য আইন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের বাধা সত্ত্বেও সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ কারণে সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংশোধন করে আইনটি সংসদে পাসের জন্য আহ্বান জানানো হয়। বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব দীপ আজাদের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মনজুরুল আহসান বুলবুল, মধুসূদন মণ্ডল ও খায়রুজ্জামান কামাল।
পর্যালোচনা করে দেখব: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সমকালকে বলেন, আইনটি আমরা পর্যালোচনা করে দেখব। অংশীজন যদি সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বসতে চায়, তাহলে আমরা তাদের সঙ্গে বসব; তাদের কথা শুনব। তারপর আমরা আমাদের মতামত জানাব।
তিনি বলেন, আমরা প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে বাইরে সমালোচনা শুনেছি। তবে অংশীজন এখনও আমাদের কিছু বলেনি। আমরা তাদের মতামত দেওয়ার আহ্বান জানাব। আমরা চাই আইনটি যেন গণমাধ্যমকর্মীবান্ধব হয়।