নিউজ ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৩ জন মারা গেছেন। এবং এ নিয়ে বাংলাদেশে করোনায় এখনো পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ, রবিবার ৯ জানুয়ারি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে করোনা সম্পর্কে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন মোট ১ হাজার ৪৯১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে। গতকাল যে সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১১৬ জন। এ নিয়ে মোট কোভিড শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭০০ জনে।
পরীক্ষাও চলছে পাশাপাশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৯৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশে। করোনা সারিয়ে সুস্থও হয়ে উঠছেন প্রচুর মানুষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২১৭ জন। এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত করোনা সারিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৯০৫ জন।
উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৩১০ জন।এবং পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ১৭৮ জন।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এবং এর ১০ দিন পর অর্থাৎ ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, করোনা বাড়লেও বাংলাদেশে এখনই লকডাউন দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের। এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। এদিন, রবিবার শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কোভিড-১৯ টিকার বুস্টার ডোজ প্রদানের উদ্বোধনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লকডাউন সম্পর্কে এ কথা জানান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিদেশ যাওয়া-আসার বিষয়ে আমরা সবাইকেই নিরুৎসাহিত করছি। বিশেষ করে আমাদের জনসাধারণকে বাঁচাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভ্রমণে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভালো খবর হচ্ছে ওমিক্রনের আক্রান্তদের মৃত্যুহার অনেক কম। অনেক মানুষ বেশি সাবধান থাকতে চায়, তাই তাঁরা লকডাউন চাইছেন।
‘কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের উপলব্ধি করিয়েছে যে, এটিকে আমরা একা সামলাতে পারব না। এ চ্যালেঞ্জ আমাদের একে অন্যের সহযোগিতায় মোকাবিলা করতে হবে’।