আগামী শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) গাজায় যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে ‘প্রোভিশনাল মেজারস’ ব্যবহার করে রায় দেবেন। রায়ে জরুরি আদেশ দিয়ে এই ধ্বংসলীলা থামানোর প্রত্যাশা করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এমন খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ওই সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিচার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিসপিন ফিরি এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে বলেছেন, আদালত কখন এ রায় ঘোষণা করবেন, তা নিয়ে আদালতের সঙ্গে আমাদের আনুষ্ঠানিক কোনও যোগাযোগ নেই।
তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
এর আগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা আদালতকে অনুরোধ জানিয়েছে, যেন যত দ্রুত সম্ভব ‘প্রোভিশনাল মেজারস’ ব্যবহার করে ইসরায়েলকে থামানো হয়। মূলত ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে এই জরুরি আদেশ দিয়ে ধ্বংসলীলা থামানো যায়। এ ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তার জন্য ‘জেনোসাইড কনভেনশনে’র লঙ্ঘনকারী ইসরায়েল যেন দায়মুক্তি না পায়, মামলায় সেটিও চেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রায়ের প্রতীক্ষায় ইতোমধ্যে নেদারল্যান্ডসের হেগে পৌঁছেছে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারি প্রতিনিধি দল। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স।
চলতি মাসের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতকে বলেছে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক সামরিক বাহিনীর অভিযানের বিরুদ্ধে জরুরি স্থগিতাদেশে দিতে। তারা এ-ও উল্লেখ করেছে যে এটি একটি রাষ্ট্র পরিচালিত গণহত্যা।
তবে ইসরায়েল আফ্রিকার পক্ষ থেকে গণহত্যার অভিযোগকে ‘মোটামুটিভাবে বিকৃত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছে যে তাদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তারা ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের নয়, হামাসকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
রয়টার্স আরও জানায়, প্রাথমিক রায়ে ইসরায়েল গণহত্যা করছে কি না, সেই মূল প্রশ্নটি মোকাবিলা করবেন না আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত। আদালত শুধু সম্ভাব্য জরুরি ব্যবস্থাগুলো দেখবে। কোনও নিষেধাজ্ঞার আদেশ হিসেবে আদালত যখন সম্পূর্ণ মামলাটি দেখে, এ জন্য সাধারণত কয়েক বছর সময় নেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ এনে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) বা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে এক মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা।