বিধানসভায় এর আগেও একাধিকবার একাধিক বিষয়ে বিল পাশের প্রস্তাব আনা হলেও, শেষ পর্যন্ত তার গন্যই হয়নি। তবে এবার গো সংরক্ষণ বিল আসতে চলেছে অসমে। বলাবাহুল্য, অসমের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে যে গরু পাচারের ক্ষেত্রে যা কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে পথেই হাঁটার উদ্যোগ নিতে মরিয়া তাঁরা। তাই বলে গরুর মাংস কাটা বা বিক্রি করা কোনওভাবেই তা আইন করে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না। তবে বাইরে থেকে ও যাতে অসমের মধ্যে গরু প্রবেশ না করতে পারে,সেদিকে লক্ষ্য রেখে ও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
কী কী ক্ষেত্রে ছাড়পত্র মিলবে ?
শোনা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেবলমাত্র কৃষিক্ষেত্র ও পশুপালনের জন্য গরু নিয়ে আসার ছাড়পত্র সবদিক খতিয়ে দিতে পারে। তবে (Prevention of cruelty to animals Act) কে মান্যতা দিয়েই যাবতীয় কাজ করার কথাও বলা হয়েছে।
কী কী ছাড় দেওয়া হয়েছে ?
তবে এই বিলে কিছু ছাড়ও রয়েছে। যেমন জেলার মধ্যে গরু চরানোর জন্য নিয়ে যাওয়া, গরু লালন পালনের জন্য অথবা কৃষি জমিতে ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকমের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। তার পাশাপাশি নির্দিষ্ট বাজারে গরু কেনাবেচার জন্যও কোনও অনুমতির প্রয়োজন হবে না। তবে এই বিল চালুর ফলে খ্রীষ্টান প্রভাবিত এলাকাতে গো মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়তে পারে।
কী উল্লেখ করা হয়েছে বিলে ?
উল্লেখ করা হচ্ছে, যে সমস্ত এলাকায় হিন্দু, শিখ, জৈন ধর্মাবলম্বী বাসিন্দারা বাস করেন ও কোনও মন্দির অথবা অথবা কোনও ধর্মীক্ষেত্রের ৫ কিলোমিটারের আশেপাশে গো মাংস বিক্রি করা যাবে না। এই নিয়ম না মানলে ৩ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তার পাশাপাশি হতে পারে ৩ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। যার ফলে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক।