।। ড. মাহফুজ পারভেজ ।।
১. ‘দেশে একটি রাজনৈতিক সংকট ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে’, এই সত্য উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে আড়াল করার মধ্যে কোনো বীরত্ব নেই। প্রকৃত সমস্যা তথা সত্য বা বাস্তবতাকে স্বীকার করে তা দূরীভূত করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণই বরং একটি কাঙ্ক্ষিত ও সাহসিক পদক্ষেপ রূপে বিবেচনার দাবি রাখে। কিন্তু সংকট দূর করার কার্যকরী ব্যবস্থা কে বা কারা করবেন? সরকার যে পন্থায় সমস্যার সুরাহা করতে চায়, বিরোধী দল তা মানতে নারাজ। একইভাবে, বিরোধী দলের প্রেসক্রিপশন সরকার কবুল করতে অনিচ্ছুক। এমতাবস্থায় সংকটের সমাধান কোথায়? কার হাতে?
২. সংকটের কারণ ও সমাধানের জটিল পরিস্থিতিকে সামনে রেখে বলা যায় যে, একটি দেশ মানে শুধু রাজনীতি নয়। সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, জনজীবন, নিরাপত্তা, সুশাসন ইত্যাদি বহু কিছুই একটি রাষ্ট্র বা দেশে আবর্তিত হয়। সরকার নামের একটি প্রতিষ্ঠান দেশটিকে সামগ্রিকভাবে পরিচালনা করে। তারপরও কোনো দেশের চালিকা শক্তি রূপে মোটাদাগে দুইটি কার্যকর পক্ষ থাকে। একটি ‘পলিটিক্যাল সোসাইটি’ আর অন্যটি ‘সিভিল সোসাইটি’। পলিটিক্যাল সোসাইটি বা রাজনৈতিক পরিসরে সরকারি দল, বিরোধী দল ইত্যাদি যাবতীয় রাজনৈতিক শক্তিগুলোর অবস্থান।
আর সিভিল সোসাইটিতে রাজনীতির বাইরের নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী তথা অরাজনৈতিক সকল পক্ষের অবস্থান। এখন প্রশ্ন হলো এই যে, ঘনীভূত সংকট যখন রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে হয়ে থাকে এবং রাজনৈতিক পক্ষসমূহ মীমাংসায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় বা বিলম্ব করে, তখন সমাধানের জাদুর কাঠি কার কাছে পাওয়া যাবে?
৩. এটাই স্বাভাবিক যে, পলিটিক্যাল সোসাইটি তথা সরকার, বিরোধী দল ও রাজনৈতিক শক্তিসমূহের মধ্য ঐক্য, সমন্বয় ও সমঝোতার বদলে দ্বন্দ্ব-সংঘাত দেখা গেলে সিভিল সোসাইটিকে সমাধানের প্রয়োজনে সহযোগী রূপে এগিয়ে আসতে হয়। বিশেষত, সিভিল সোসাইটির অন্যতম অংশ বুদ্ধিজীবীগণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতের পরিস্থিতিতে চুপ বা ভূমিকাহীন থাকতে পারেন না। কেননা, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে তৎপর হওয়াই বুদ্ধিজীবীদের নৈতিক দায়িত্ব। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, দেশে কোনো শাসনতান্ত্রিক সংকট বা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব উপস্থিতি হলে বুদ্ধিজীবীগণ এগিয়ে এসেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তারা বিবৃতি দিয়েছেন। বিবদমান রাজনৈতিক পক্ষগুলোকে চাপ দিয়েছেন। কিংবা সমাধানের পথ বাতলে দিয়েছেন। অনানুষ্ঠানিকভাবেও তারা পক্ষগুলোকে আলোচনার টেবিলে এনে সমাধানে উপনীত হতে সহযোগিতা করেছেন। অতীতে অধ্যাপক আহমদ শরীফ, ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ড. আকবর আলি খান প্রমুখের তৎপরতায় এমন ইতিবাচক দৃষ্টান্ত দেখা গিয়েছিল।
৪. এমন আশাবাদী দৃষ্টান্ত এখন দেখা যাচ্ছে না কেন? বিশেষত, দেশের রাজনীতি যখন আন্দোলন ও নির্বাচন প্রশ্নে মুখোমুখি, তখন রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যকার দূরত্ব ও বিভেদ তীব্রতর। সেসব রাজনৈতিক সংকট কমাতে কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসা উচিত। যখন রাজনীতিবিদগণ আত্মকলহে মগ্ন, তখন সিভিল সোসাইটির ভূমিকা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সংকট সম্পর্কে বা এর উত্তরণের ক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবীদের সুচিন্তিত বক্তব্য, পদক্ষেপ বা ভূমিকা কোথায়? ব্যক্তি বা সংঘবদ্ধভাবে যারা উভয়পক্ষের মাঝখানে দাঁড়িয়ে সংকট প্রশমন করবেন, সমাজের এমন মানুষগুলো কোথায়? কোথায় এমন বুদ্ধিজীবীগণ, যারা শক্তি ও ক্ষমতার বাইরে থেকে রাষ্ট্র, সমাজ ও মানুষের সমস্যাগুলো নিয়ে নিরপেক্ষভাবে আলোচনা করবেন, বিরাজমান ব্যবস্থা/সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন এবং সমাধানের পথ নির্দেশনা দেবেন?
৫. সমাজ থেকে বুদ্ধিজীবীগণ উবে গেছেন, তা তো নয়। নানা দলের ছদ্মাবরণে, নানা তরিকা ও মতলবে বহু বুদ্ধিজীবী নামধারী তৎপর। করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রি করা সাহেদও জেলে যাওয়ার আগে বুদ্ধিজীবী সেজে টকশো ও নানা স্থানে উদ্দেশ্যমূলক জ্ঞান বিতরণ করে নিজের ফায়দা হাসিল করেছেন। এদের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীমূলক কাজের দ্বারা সমাজে তাদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয় না এবং তারা গণব্যক্তিত্ব হিসেবেও সমাজে সম্মান পান না। বুদ্ধিজীবী নামে পরিচিতদের সম্পর্কে আলোচনাকালে এসব পটভূমির পাশাপাশি কেন তাদের সম্মানের জায়গাটা ও জনআস্থার বিষয়টি নড়বড়ে হয়ে গেছে, তা-ও বিবেচনা করা জরুরি। মূলত বুদ্ধিজীবীরা যখন থেকে তাদের দায়িত্বের স্বরূপ ভুলে, নিজেদের স্বাধীন ও শক্তিশালী মতপ্রকাশের অবস্থান থেকে পিছু হটলেন, ব্যক্তি-স্বার্থ হাসিলের জন্য দলীয়-স্বার্থের বশংগত ও তল্পিবাহক হলেন, চোখের সামনে অন্যায়-অবিচার ঘটতে দেখেও নীরব থাকলেন এবং নীতি নৈতিকতা ভুলে ক্ষমতাসীনদের অন্যায় আচরণের সঙ্গে সুর মেলালেন, তখন থেকেই মূলত তাদের অসম্মানের শুরু এবং তাদের প্রতি আস্থাহীনতার সূচনা।
৬. ফলে সমাজে বুদ্ধিজীবিতার মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানটাই এখন যেন বহুলাংশে পাল্টে গেছে? অধিকাংশ জনগণ বুদ্ধিজীবী ধারণাটিকে নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করে থাকেন? অন্যভাবে বলতে গেলে, মানুষের কাছে বুদ্ধিজীবী শ্রেণির সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রায়- নেই বললেই চলে? বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ওপর নির্ভর করে বুদ্ধিজীবীর পরিচয়? ফলে যাদের দেখা যায়, তারা দলীয় বুদ্ধিজীবী, যারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রশ্নহীন, নিষ্ক্রিয়, নীরব, অনুগত ? আবার তাদেরই কেউ কেউ হয়তো ক্ষমতার ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী হিসেবে রাষ্ট্রীয় সকল পদক্ষেপের পক্ষে সভা-সেমিনার ও টেলিভিশনের টকশোতে ওকালতি করে যান? এইসব কাজে স্বাধীন চিন্তাচর্চার আদৌ কোনো অস্তিত্ব নেই? আছে আত্মবিক্রীত বুদ্ধিজীবীর উল্লাস এবং অর্থ, বিত্ত, ক্ষমতা, পদ, পদবি, পদক আহরণের ধান্দা। এইসব তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের পক্ষে সাহসের সঙ্গে সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। আর তাদের প্রতি গণআস্থাও নেই। এদের পক্ষে অতীতের বুদ্ধিজীবীদের মতো সংকটকালে সরবে ভূমিকা পালন করার প্রশ্নই আসে না।
৭. বিদ্যমান বাস্তবতায় রাজনৈতিক পরিসরের মতো সিভিল সোসাইটি তথা বুদ্ধিজীবীগণও দলীয় আনুগত্যের মাধ্যমে বিভাজিত, এটাই সারকথা। কিন্তু এটাও বিশ্বাস করা কষ্টকর যে, দেশের সকল বুদ্ধিজীবীই দলীয় পরিচিতি মেনে নিয়েছে। নিশ্চয়ই স্বাধীন, দল নিরপেক্ষ, দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবী আছেন। তবে তারা সংখ্যায় অত্যল্প এবং দলীয় মচ্ছবে হাবুডুবু খাওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠদের সামনে সংখ্যালঘু। এরা যদি বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা চিন্তাবিদ-বুদ্ধিজীবী নোয়াম চমস্কি’র কথামতো ‘বুদ্ধিজীবীর দায়বদ্ধতা’ পালন করেন, তাহলে দলীয়ভাবে অনুগত বিভিন্ন পদের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী রে রে করে তেড়ে আসেন। কারণ, প্রকৃত বুদ্ধিজীবীদের উত্থানে তাদের ব্যবসা নষ্ট হয়। ফলে প্রকৃত বুদ্ধিজীবীদের কোণঠাসা ও আক্রান্ত করে কুৎসার মাধ্যমে চেপে রাখা হয়। তারা আর তখন দেশের কোনো শাসনতান্ত্রিক সংকট বা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারেন না। প্রসঙ্গত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দৃষ্টান্ত দেয়া যায়। ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন ২০০৬ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, তখন দেশবাসী এই বিজয়কে রাজপথে উদ্যাপন করেছেন। ১৯৮০ এর দশকে ছোট পরিসরে উচ্চ সুদে দরিদ্রদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ প্রবর্তন করেছিলেন ড. ইউনূস। তিনি এই পথের প্রবর্তন করায় বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যতা থেকে তুলে আনতে সহায়ক হয়েছে। দেশে ও বিদেশে তিনি হয়ে ওঠেন বহুল প্রিয় নাম। কিন্তু দেশে বিষয়টি পাল্টে গেছে। বর্তমান বাংলাদেশে তাকে উদ্যাপন করার চেয়ে বেশি শিকারে পরিণত হতে হয়। এ মাসে তাকে নিজের ব্যবসার বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে উপস্থিত হতে হবে দুর্নীতি দমন কমিশনে। তার সহযোগীদের ক্রমবর্ধমান তালিকার সঙ্গে তিনিও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ার ঝুঁকিতে আছেন।’
৮. তারপরেও, নোয়াম চমস্কি’র ভাষায়, ‘প্রকৃত ‘বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্র ও সরকারের মিথ্যাগুলোকে জনগণের সামনে উন্মোচন করা। বুদ্ধিজীবীরা যুক্তিভিত্তিক চিন্তা-ভাবনা অনুসরণ করে রাষ্ট্র ও সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও কাজের চুলচেরা বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ করবেন এবং সেসব নিয়ে কথা বলবেন?’ আদর্শিকভাবে এমন একদল ব্যক্তিকে প্রকৃত বুদ্ধিজীবী বলে ভাবা হয়, যারা সমাজ নিয়ে জটিল চিন্তা করেন? সমসাময়িক ঘটনাবলী নিয়ে মননশীল বিশ্লেষণ ও গবেষণা করেন এবং যাদের বিশিষ্ট ভাবনা ও চিন্তা সমাজকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে? বুদ্ধিজীবীরা তাদের সময়ের নৈতিক চেতনাকে বিনির্মাণ করেন, সমাজ ও রাজনীতিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেন এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের চেতনা অনুযায়ী এসব বিষয়ে মতামত দেন? যিনি প্রকৃত বুদ্ধিজীবী, ধরে নেয়া হয়, তিনি হবেন মানবিক, গণতান্ত্রিক, মুক্তমনা, দল নিরপেক্ষ এবং জনগণ ও সমাজের মঙ্গলকামী? তিনি হবেন অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী, আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনের বিরোধী? তিনি কথা বলবেন জনগণের পক্ষে, থাকবেন শান্তি, ন্যায়, কল্যাণ ও সত্যের সঙ্গে?
৯. শুধু বাংলাদেশেই নয়, কারা প্রকৃত বুদ্ধিজীবী- বিশ্বময় এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন বড় বড় পণ্ডিত ও চিন্তাবিদরা? ইতালীয় চিন্তাবিদ গ্রামসি লিখেছিলেন, ‘সব মানুষই বুদ্ধিজীবী, কিন্তু সব মানুষই সমাজে বুদ্ধিজীবীর কাজ করে না?’ তার মতে, ‘সমাজে অনেকে আছেন যারা ঐতিহ্যগতভাবেই বুদ্ধিজীবী যেমন, শিক্ষক, যাজক, পুরোহিত, ইমাম, সাংবাদিক? আরেক দল আছেন অর্গানিক বুদ্ধিজীবী, যারা সবসময়ই নিজ নিজ শ্রেণিগত অবস্থানে থেকে জগৎকে ব্যাখ্যা করেন? তারা পুঁজিবাদী অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও রাজনীতি বিশ্লেষণের মাধ্যমে চেষ্টা চালান জনমতকে প্রভাবিত করতে?’ আবার ফরাসি দার্শনিক জুলিয়েন বেন্দা মনে করেন, ‘প্রকৃত বুদ্ধিজীবী তারাই, যারা জাগতিক লাভের ঊর্ধ্বে উঠে নিঃস্বার্থ এবং আপসহীন জ্ঞানচর্চায় ব্যস্ত থাকেন? সত্য উচ্চারণে তারা থাকেন নির্ভীক, এমনকি সত্য প্রকাশের জন্য প্রাণ সংশয়ের মতো ঝুঁকি নিতেও তারা দ্বিধা করেন না? বরং জাতির সংকটে নিজের জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করেন?’ আরেক দার্শনিক এডওয়ার্ড সাঈদের মতে, ‘বুদ্ধিজীবী এমন একজন ব্যক্তি, যিনি স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের পক্ষে একটি নির্দিষ্ট বার্তা, একটি দৃষ্টিভঙ্গি ও একটি সুচিন্তিত মতামত জনগণের সামনে তুলে ধরেন? কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাকে সত্য প্রকাশ থেকে বিচ্যুত করতে পারে না?’
১০. বুদ্ধিজীবী কোনো উপাধি নয়, পেশাও নয়, এমনকি এটি স্বভাবজাত বিষয়ও নয় বরং অনেকটাই হয়ে ওঠার ব্যাপার? জ্ঞানে, কর্মে, মননে, চিন্তায় এবং তার প্রকাশের চর্চার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি ধীরে ধীরে বুদ্ধিজীবী হয়ে ওঠেন? যিনি বা যারা সত্য উচ্চারণে নির্ভীক, সত্য প্রকাশে দ্বিধাহীন। কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাকে সত্য প্রকাশ থেকে বিচ্যুত করতে পারে না? এমন প্রকৃত-আদর্শবাদী-নির্ভীক-নীতিনিষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের অনুপস্থিতি মানুষ ও সমাজের জন্য চরম বিপদের কারণ এবং সত্যনিষ্ঠা ও সুশাসনের জন্য ভয়ানক অমঙ্গলের বার্তাবহ। এমন প্রকৃত বুদ্ধিজীবীদের অভাবের জন্যই ঘনীভূত সংকট ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে বুদ্ধিজীবীদের কোনো দৃশ্যমান ভূমিকা নেই।
ড. মাহফুজ পারভেজ, অধ্যাপক-বিশ্লেষক