পশ্চিমবঙ্গ নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকা। বহু গাছ উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়ি। এতে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা। আর আহত প্রায় অর্ধশতেরও বেশি। এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোক জানিয়েছেন ভারতেদর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (৩১ মার্চ) বিকেলের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর, ধূপগুঁড়ি, ময়নাগুঁড়ি এলাকা। যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে দু’জন জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা। একজন গোসালা মোড়ের বাসিন্দা। আর একজন সেন পাড়ার বাসিন্দা। বাকি দুইজন ময়নাগুঁড়ির বার্নিশ এলাকার বাসিন্দা।
প্রদেশের উত্তরবঙ্গে আগামী দুইতিন দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। সেই মতো উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় রবিবার বৃষ্টি হয়। বিকেল নাগাদ জলপাইগুঁড়ি জেলার একাধিক জায়গায় ঝড় শুরু হয়। কিছু ক্ষণের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের কিছু এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝড়ে।
এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, হঠাৎ ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়ায় আজ বিকেলে জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি এলাকায় বিপর্যয় নেমে আসে। মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, আহত হয়েছেন বহু মানুষ, ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জেলা ও ব্লক প্রশাসন, পুলিশ, ডিএমজি এবং কুইক রেসপন্স টিম বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজ করছে। ত্রাণ সরবরাহ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে সমস্ত ব্যবস্থা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এদিকে জলপাইগুড়ির ঝড় বিধ্বস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে পরিদর্শনে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাত ১০টা ৪০ নাগাদ তিনি বিশেষ বিমানে বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে নামেন। সেখান থেকেই সড়ক পথে জলপাইগুঁড়ি রওনা হন। সেখানে ঝড়ে আহতদের সঙ্গে জলপাইগুঁড়ি হাসপাতালে করেন মুখ্যমন্ত্রী।